সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

ক্রীড়াঙ্গনে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী পালিত

ক্রীড়া প্রতিবেদক
  ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী গতকাল যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে। দেশের জনপ্রিয় ক্লাব আবাহনী লিমিটেড ও আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করে। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ধানমন্ডিস্থ ক্লাব প্রাঙ্গণে আবাহনীর প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান ক্লাবের পরিচালক, কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়রা। কর্মসূচির মধ্যে গতকাল দিনব্যাপী ছিল পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতও।

বিকেলে আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শেখ কামালের কর্মময় জীবন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ও স্মরণসভা এবং বিদেহি আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এছাড়া গতকাল ভোরে ক্লাব প্রাঙ্গণে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সকালে বনানী কবরস্থানে তার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আবাহনী সমর্থক গোষ্ঠী।

বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করেছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে আবাহনী ক্লাব প্রাঙ্গণে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিওএ মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা, সহ-সভাপতি শেখ বশির আহমেদ, ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল আশিকুর রহমান মিকুসহ অন্য কর্মকর্তারা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ১৯৪৯ সালের ৫ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানার ভাই শেখ কামাল বাংলাদেশের আধুনিক ফুটবলের অন্যতম প্রবর্তক এবং আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি ছিলেন তিনি।

আজাদ বয়েজ ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেটে এবং স্পার্স ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগে বাস্কেটবল খেলেছেন শেখ কামাল। একজন ক্রীড়া সংগঠক ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি।

ঢাকা থিয়েটার এবং লোকগানের মিউজিক্যাল ব্যান্ডদল স্পন্দন শিল্প গোষ্ঠীরও একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বিশিষ্ট ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শেখ কামাল। শেখ কামাল ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেন এবং যুদ্ধকালীন সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর এডিসির দায়িত্ব পালন করেন।

দেশ স্বাধীন হবার পর সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন এবং পড়াশোনায় মনোযোগ দেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যসহ মর্মান্তিক হত্যাকান্ডের শিকার হলে শেখ কামালের ঘটনাবহুল জীবনের সমাপ্তি ঘটে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে