কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা এবং আবাসিক মেডিকেল অফিসারের সরকারী কোয়াটারে দুধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হাসপাতালে এম্বুলেন্স ড্রাইভারসহ ৪ জনকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে আটক ওই চারজনকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করে।
জানা গেছে, বুধবার সকালে ইউএইচএফপিও ডাঃ শামছুন্নাহার ও আরএমও ডাঃ ফজিলাতুন্নেছা বর্ণা কোয়াটারের দরজায় তালা দিয়ে অফিসে চলে আসেন।
দুপুর ২টায় ডাঃ ফজিলাতুন্নেছা বর্ণা কোয়াটারে ফিরে দেখতে পান দুই দরজার তালা কাটা, জিনিসপত্র এলোমেলো এবং তার শোকেচের ড্রয়ারে রাখা নগদ ২০ হাজার টাকা নেই। খবর পেয়ে ডাঃ শামছুন্নাহারও কোয়াটারে গিয়ে দেখতে পান তার ঘরের শোকেচের ড্রয়ারে রাখা নগত প্রায ১ লাখ টাকা ও তার ব্যবহৃত ৬ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার তালা ভেঙ্গে চোরেরা নিয়ে গেছে। পরে তিনি কোয়াটারে চুরির ঘটনা পুলিশকে জানান। পুলিশ এসে হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বুধবার রাতেই ৪ জনকে আটক করে।
আটককৃতরা হলেন হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক (ড্রাইভার) একাব্বর আলী (৪৬) তার সহযোগী চন্দ্রখানা হাসপাতাল পাড়ার শরিয়ত উল্লার ছেলে শাহ আলম (৫২) হাসপাতালের স্বেচ্ছাসেবক ও চন্দ্রখানা জুম্মাপাড়া গ্রামের মৃত গোপাল চন্দ্র দাসের ছেলে প্রদীপ চন্দ্র দাস (২৮) ও চন্দ্রখানা মুছল্লিপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম অপি (২৭)।
এ ব্যাপারে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাজিব কুমার রায় জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরির ঘটনায় জড়িতদের আটক করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মালামাল উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
যাযাদি/এস