শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

হবিগঞ্জে কে পাচ্ছেন আ.লীগ-বিএনপির মনোনয়ন

মো. নূরুল হক কবির, হবিগঞ্জ
  ২০ জানুয়ারি ২০২১, ১০:৪৮

হবিগঞ্জ পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি (পঞ্চম ধাপে) অনুষ্ঠিত হবে। এ পৌরসভায় ভোটগ্রহণ হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমে)-এর মাধ্যমে। গত মঙ্গলবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে ইসি। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তফসিল ঘোষণা করেন ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আলমগীর। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ২ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা বাছাই ৪ ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১১ ফেব্রুয়ারি ও প্রতীক বরাদ্দ ১২ ফেব্রুয়ারি।

এদিকে, হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরই প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এমনকি ভোট নিয়ে আগ্রহ দেখা গেছে ভোটারদের মধ্যেও। টেলিভিশন, অনলাইন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তফসিল ঘোষণার বিষয়টি জানার পর থেকেই ভোটের আলোচনায় সরগরম হয়ে উঠেছে হবিগঞ্জ পৌরসভার চারপাশে। বিভিন্ন জন কষছেন বিভিন্ন হিসাব নিকাশ। কে হচ্ছেন কোন দলের প্রার্থী, ভোট কেমন হবে, কে কে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এই হিসেব এখন মানুষের মুখে মুখে। হবিগঞ্জ পৌরসভা সদরে হওয়ায় পূর্বের তুলনায় বেড়েছে নির্বাচনের উত্তাপও। এরই মাঝে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ হারিয়েছে ৩ টি পৌরসভা। তিনটি পৌরসভা হারিয়ে অনেকটা চাপে পড়েছে দলটির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। প্রশ্নবৃদ্ধ হয়েছে মনোনয়ন। মাধবপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগ এর জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর লড়েচড়ে বসেছে দলের হাইকমান্ড।

এখন শুধু আলোচনা চলছে কে পাচ্ছেন দলীয় মনোনয়ন। আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি, কোন প্রার্থীর উপর আস্থা রাখছে ভোটার। সে সাথে জয়-পরাজয়ের বিশ্লেষণও করছেন অনেকে।

জানা যায়, হবিগঞ্জ পৌরসভায় নৌকার মনোনয়নের জন্য ৯ প্রার্থীর নাম মনোনয়ন বোর্ডের কাছে প্রেরণ করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে সবার শীর্ষে রাখা হয়েছে ২০১৫ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে পরাজিত হওয়া জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিমকে। এছাড়া উপ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হওয়া বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান মিজান রয়েছেন তালিকার ৩ নম্বারে। ২ নম্বারে রয়েছেন, গত উপনির্বাচনে বিদ্রোহি প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্থ টিটু, গত উপনির্বাচনে বিদ্রোহি প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি সৈয়দ কামরুল হাসান,গত উপনির্বাচনে বিদ্রোহি প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মর্তুজ আলী, তরুন সমাজ সেবক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূর উদ্দিন চৌধুরী বুলবুল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শঙ্খ শুভ্র রায়, জেলা কৃষকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীন ওসমান ও পৌর আওয়ামী লীগ নেতা শেখ তারেক উদ্দিন সুমন।

অন্যদিকে, বিএনপি থেকে এখনও কেন্দ্রে প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠানো না হলেও বিভিন্নভাবে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা। এর মধ্যে রয়েছেন, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক মেয়র জিকে গউছ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এনামুল হক সেলিম, যুগ্ম আহবায়ক ইসলাম তরফদার তনু, জেলা যুবদল সভাপতি মিয়া মো. ইলিয়াছ, জেলা সেচ্ছাসেবকদলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুশফিক ও জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিব আহমেদ রিংগন। এখন ও পর্যন্ত স্বতন্ত প্রার্থী হিসেবে প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ি কল্যান সমতির সভাপতি শামসুল হুদা।

অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রার্থীতা ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে ভোটারদের সাথে করছেন মতবিনিময়। উঠান বৈঠক করে দোয়া, সহযোগীতা কামনা করছেন। বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান যায়যায়দিনকে বলেন উপ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে মাত্র ১৯ মাস কাজ করার সযোগ পেয়েছি। করোনা তিন মাস লকডাউন। ১৬ মাসে যে কাজ করেছি ৪ বছরে এর আগের মেয়র করতে পারেনি। আশা করি কাজের মূল্যায়ন দল এবং পৌরবাসী দিবে।

যাযাদি/এসএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে