রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

বরগুনায় চাঞ্চল্যকর হৃদয় হত্যা মামলায় ১৬ শিশুর আটকাদেশ

বরগুনা প্রতিনিধি
  ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৫:২২

বরগুনার আলোচিত কিশোর হৃদয় হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ১৯ শিশুর মধ্যে ১৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে আটকাদেশের রায় দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মশিউর রহমান খান এ রায় দেন। এসময় পলাতক তিন অভিযুক্ত ছাড়া বাকি সকল শিশু আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষনার পর অভিযুক্ত শিশুদের স্বজনদের আহাজারিতে আদালত প্রাঙ্গণে হৃদয় বিদারক পরিবেশ তৈরি হয়।

আদেশে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১২ জনকে সর্বোচ্চ ১০ বছর, ৪ জনকে ৭ বছর আটকাদেশ দেন। এই মামলায় অপর তিন অভিযুক্ত শিশুকে অব্যহতি প্রদান করা হয়। রায়ে বাদি পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেন। আটকাদেশ দেয়া তিন অভিযুক্ত পলাতক রয়েছেন।

নিহত কিশোর হৃদয়ের মা ও মামলার বাদি ফিরোজা বলেন, আমি এই রায়ে খুশি। বাকি প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।

শিশু আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৫ মে ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে সুজন হৃদয় তার কিছু বন্ধুসহ বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া বাজার সংলগ্নœ উত্তর পাশে জাফর সিকদারের বাড়ীর পূর্ব পাশে পায়রা নদীর তীরে চায়না প্রজেক্টের বøক ইয়ার্ডে বেঢ়াতে যায়। সেখান এক দল কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা হামলা চালায়। এতে গুরুতর আহত ওই কিশোরকে প্রথমে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর সকাল ১০ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মারা যাওয়া কিশোর বরগুনা শহরের চরকলোনি এলাকার চাঁদশী সড়কের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। সে বরগুনা সরকারি টেক্সটাইল ও ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটে দশম শ্রেণির ছাত্র।

অভিযুক্ত এক শিশুর বাবা বলেন, আমার ছেলেকে ষড়যন্ত্র করে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এই হত্যার সাথে সে জড়িত না।

বরগুনার বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন হৃদয় হত্যা মামলাটি বরগুনার আলোচিত ঘটনা ছিলো। ঈদুল ফিতরের দিন বিকেল সুজন হৃদয় তার কিছু বন্ধুসহ বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের গোলবুনিয়া বাজার সংলগ্ন উত্তর পাশে জাফর সিকদারের বাড়ীর পূর্ব পাশে পায়রা নদীর তীরে চায়না প্রজেক্টের ব্লক ইয়ার্ডে বেড়াতে যায়। তখন তার প্রতিপক্ষ যারা তারা তাকে নির্মম ভাবে ইটরে টুকরো দিয়ে পিটিয়ে হৃদয়কে হত্যা করে। আদালত মামলার তদন্ত ও স্বাক্ষ প্রমাণের আলোকে আদালত আজ রায় প্রদান করেন। আমরা এই রায়ে খুশি।

আসামি পক্ষের আইনজীবী হুমায়ূন কবির বলেন, আমার এই রায়ে ক্ষুব্ধ। আমরা এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে