রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

আমার যাওয়ার সময় হয়ে গেছে : শামীম ওসমান

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
  ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:১৬
আপডেট  : ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১৮:১৮

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, এবার সংসদ নির্বাচনে আমি যখন ফিল্ড ওয়ার্কে নামবো, তখন হয়তো বা আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করতে পারে। তারা আমাকে পিছন থেকে আঘাত করতে পারে। সামনে থেকে আঘাত করার সাহস তাদের নেই। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, কাপুরুষের মতো বোমা হামলা কইরেন না। ২০০১ সালে আমার জন্য ২০টা মানুষ মারা গেছেন। ওই পরিবারগুলো দেখে আসেন। বাচ্চা বাচ্চা মেয়ে৷ গুলো বিধবা হয়েছে। মারতে চাইলে আমাকে ডাইরেক্ট গুলি করেন, কিন্তু বোমা হামলা করবেন না। সাহস থাকলে সরাসরি মারেন।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ শহরের একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন। নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন, আব্বা-আম্মা ও আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের কবর জিয়ারত করে প্রচার শুরু করবেন বলে তিনি বলেন।

শামীম ওসমান আরো বলেন, আমার যাওয়ার সময় হয়ে গেছে। আমার পরিবারের সদস্যরা এই বয়সেই চলে গেছেন। আমার বয়স ৬২ বছর ৯ মাস। যেকোনো সময় আল্লাহর ডাক আসতে পারে। তাই আল্লাহকে খুশি করে যাওয়া উচিত। প্লিজ আমাকে কাজ করার সুযোগ দিন। মানুষ মাত্রই ভুল করে। আমি কোনো ভুল করে থাকলে আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন। মৃত্যুর পরে যেন সূরা ফাতিহা পড়ে মরতে পারি। আমার জন্য দোয়া করে একজন মানুষ হিসেবে এটিই আমার চাওয়া।

তারেক রহমানকে খলনায়ক আখ্যা দিয়ে শামীম ওসমান বলেন, তার (তারেকের) মায়ের প্রতিই টান নেই। তারেক খলনায়ক হিসেবে পারফেক্ট। ২১ আগস্ট বোমা হামলা করে ২৪ জনকে মেরেছেন, তালেবান- উলফাদের আশ্রয় দিয়েছেন। সিনিয়র নেতাদের সাথে তারেকের কোনো মতই মেলে না। নারায়ণগঞ্জ বিএনপির যেসব ছেলে পেলে আছেন তারা প্লিজ কারো কথা শুনে নাচবেন না। আগামী ১৫-২০ দিন কিছু নির্মম ধ্বংসাত্মক কাজ করার চেষ্টা হবে। হয়তো এ কথা বলার জন্য আমি থাকবো না।

অবসরের সময় এসেছে উল্লেখ করে শামীম ওসমান বলেন, এখন চলে যাওয়ার সময়। আগামীবার হয়তো ইলেকশন করবো না। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে যে ব্রেইন দরকার তা আমার নেই। এটা গড়বেন সজীব ওয়াজেদ জয়। যারা স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য কাজ করবেন, সেই তরুণ প্রজন্মের হাতে আগামীতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিয়ে বিদায় নেব, দুনিয়াটা ঘুরে দেখবো।

শামীম ওসমান আরো বলেন, একেএম শামসুজ্জোহা সড়ক ও নাগিনা জোহা সড়ক সম্পন্ন হওয়ার পরে মানুষ ঘুরতে যাবে সেখানে। ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ, আইটি ইনস্টিটিউট, টেকনিক্যাল কলেজ হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে। মুন্সীগঞ্জ অভিমুখী ২৬০০ কোটি টাকার রাস্তা হচ্ছে। ৫৮টি স্কুলের নতুন ভবন নির্মিত হয়েছে। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়ক আরসিসি হবে। ডাবল রেললাইন করেছি। মেট্রোরেলকে নারায়ণগঞ্জ অবধি নিয়ে আসবো। নারায়ণগঞ্জের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আলাদা টান, অনুভূতি আছে। এটি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের নমিনেশন দেখলেই বুঝবেন। অনেকেই ডিএনডির কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অসংখ্য মামলা ছিল এটা নিয়ে। সেনাবাহিনী কাজটি করছে বিধায় কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। আরও ২০০-৩০০ কোটি টাকা আনতে পারলে আরও দারুণ কিছু হবে।

এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা, সিনিয়র সহসভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, আওয়ামীলীগ নেতা খাদেম সানাউল্লাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে