রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আলোচিত পাংশার সেই প্রতিবন্ধী স্কুল বন্ধের নির্দেশ দিল ইউএনও

রাজবাড়ী প্রতিনিধি
  ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮:০৪

রাজবাড়ীর পাংশায় এতিম প্রতিবন্ধী কল্যাণ ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে ”রাঁধের পরাণ” ও ” আহম্মদ আলী মোল্লা মেমোরিয়াল অরফ্যান্স ডিসএ্যাবল্ড স্কুল এন্ড কলেজ” বা অন্য কোন নামে সংস্থা বা বিদ্যালয় পরিচালনা সংক্রান্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৬ ডিসেম্বর পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী স্বাক্ষরিত ০৫.৩০.৮২৭৩.০০০.২৬.০০১.২৩-৯১২ (২) নং স্মারকের এক চিঠিতে এ নির্দেশ দেওয়া হয়। পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে অবস্থিত ওই প্রতিষ্ঠানটি ।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক উক্ত প্রতিষ্ঠানের -সংস্থার ছাড়পত্র বাতিল এবং এ সংক্রান্ত কোন কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না মর্মে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবগত করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থাসমূহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ-১৯৬১ এর ধারা-০৩ মোতাবেক নিবন্ধন ব্যতীত কোন সংস্থা প্রতিষ্ঠা বা চালু রাখা নিষেধ। একই ভাবে ” প্রতিবন্ধিতা সম্পর্কিত সমন্বিত বিশেষ শিক্ষা নীতিমালা-২০১৯ এর অনুচ্ছেদ ২ (২) মোতাবেক প্রতিবন্ধী স্কুল পরিচালনার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করা আবশ্যক।

স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থা সমূহ (রেজিষ্ট্রেশন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ, ১৯৬১ এর ধারা ১৪ মোতাবেক এরূপ সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনা করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একই সাথে সরকারি কর্মচারী কর্তৃক যথাযথ ভাবে জারীকৃত আদেশ অমান্য করা বাংলাদেশ দন্ডবিধি-১৮৬০ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

অতএব, যে কোন নামে নিবন্ধন ব্যতীত এতিম প্রতিবন্ধী কল্যাণ ও সমাজ উন্নয়ন সংস্থা পরিচালনা বা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পূর্বানুমোদন গ্রহণ করা ব্যতীত প্রতিবন্ধী স্কুল পরিচালনা করার কার্যক্রম অনতিবিলম্বে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার জন্য আপনাকে নির্দেশনা প্রদান করা হলো। অন্যথায় আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় নানা অনিয়মের অভিযোগ ছিল, প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের নামে অর্থ গ্রহণ, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ভাতার কার্ড করে নেওয়ার নামে অর্থ গ্রহণসহ বিভিন্ন অভিযোগ ছিল প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিকদের সাথে প্রকাশ্যে দ্বন্দে জড়িয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক পক্ষ।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আল মামুন সিদ্দিকীর কাছে মুঠোফোনে জানতে তাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে