বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

মেঘনার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে শান্তি শৃঙ্খলার লক্ষ্যে যা যা করা দরকার তাই করা হবে: এমপি আবদুল মজিদ

মেঘনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
  ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৩৮
আপডেট  : ৩১ জানুয়ারি ২০২৪, ২০:১১
মেঘনার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে শান্তি শৃঙ্খলার লক্ষ্যে যা যা করা দরকার তাই করা হবে: এমপি আবদুল মজিদ

কুমিল্লার মেঘনায় যুবলীগ কর্মী কামরুল হত্যায় কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

আজ সকাল ১১ টায় নিহত কামরুল ইসলাম এর পরিবারে সাথে দেখা করতে যান কুমিল্লা ২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ এমপি।

সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে তিনি বলেন, চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে শান্তি শৃঙ্খলার লক্ষ্যে যা যা করা দরকার তাই করা হবে এবং কামরুল হত্যার সাথে যারা জড়িত যারা তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বললেন অধ্যক্ষ আবদুল মজিদ এমপি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল আলম, জেলা পরিষদের সদস্য কাইয়ুম হোসেন বড় কান্দা ইউনিয়নের রিপন চেয়ারম্যান, ছাত্রলীগ নেতা রবিন ও কামরুজ্জামান সালাম সহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল আলম বলেন, যতদিন পর্যন্ত এ চালিভাঙ্গায় কোম্পানির সাথে মিলে বালি ভরাট নামে আধিপত্য বিস্তার লাভ বন্ধ না হবে ততদিন অবধি এই এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আশা সম্ভব নয়।

উল্লেখ, গত সোমবার প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন যুবলীগ কর্মী কামরুল। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তবে সহিংসতা দমনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বালু ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। দেড় বছর আগে একটি কোম্পানির জায়গা ভরাট করেন চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি।

পরে কাইয়ুম সহ তার কয়েকজন সহযোগীকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিছু দিন পর জামিনে ছাড়া পান তারা। তবে হুমায়ুন চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজনের কারণে এলাকায় ফিরতে পারছিলেন না আসামিরা। গত রোববার নিজাম সরকার হত্যা মামলার আসামিদের থানায় ডেকে নিয়ে এলাকায় যেতে বলেন এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে আশ্বস্ত করেন মেঘনা থানার ওসি। তাঁর কথায় কাইয়ুমের লোকজন গত সোমবার দুপুরে বিভিন্ন গ্রামে ফিরতে শুরু করলে বাগবাজার এলাকায় তাদের ওপর হামলা করেন হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ভাই টিটু ও তাঁর লোকজন। আহত হন কামরুলসহ আটজন। তাদের ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান কামরুল।

কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য কাইয়ুম জানান, কয়েক মাস ধরে কয়েক গ্রামের মানুষ এলাকায় যেতে পারছিল না। কুমিল্লা পুলিশ সুপারের নির্দেশে ১০ জন পুলিশ চালিভাঙ্গায় একটি পুলিশ ক্যাম্প করে, যাতে এলাকায় নিশ্চিন্তে মানুষ ফিরতে পারে।

গত রোববার মেঘনা থানার ওসি লোকজনকে ডেকে আশ্বস্ত করেন- 'আপনারা এলাকায় যান, পুলিশ রয়েছে।' তাঁর কথায় মানুষ এলাকায় এলে তাদের ওপর হামলা করা হয়। ঘটনার সময় পুলিশ উপস্থিত ছিল। তাদের সামনে হামলা হলেও কোনো ভূমিকা নেয়নি। পুলিশের গাফিলতির কারণে কামরুলকে মরতে হয়েছে।

মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহা, দেলোয়ার হোসেন বলেন, 'আমি ও আমার সার্কেল এসপি দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলি। যারা এলাকার বাইরে ছিল, তাদের আশ্বস্ত করি এলাকায় যেতে। বাজারে পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করি। হুমায়ুন চেয়ারম্যান ও তাঁর ভাই সানাউল্লাহ আমাদের কথা দিয়েছিলেন- কোনো রকম ঝামেলা করবেন না। কিন্তু তারা তলে তলে পরিকল্পনা করে এই কাজটা করেছেন। ঘটনার সময় পুলিশ পাশে ছিল না; একটু দূরে ছিল। বাজারে ছিল পুলিশ; আর ঘটনা ঘটেছে নদীর পাড়ে। পুলিশ যাওয়ার আগেই তারা ঘটনা ঘটিয়ে পালিয়ে যায়। আমি আশ্বস্ত করেছিলাম ঠিকই। কিন্তু হুমায়ুন চেয়ারম্যান ও তাঁর ভাই সানাউল্লাহ কথা না রাখার কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।' তিনি জানান, মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযোগের কপি জমা দিলেই মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে