সীমান্ত হত্যা বন্ধের দাবীতে কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ থেকে লাশ কাঁধে মিছিল শুরু করেছে হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ গণশক্তি পার্টির ৫ জন্য সদস্য।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় টেকনাফ সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে এ যাত্রা শুরু করেন।
এসময় হানিফ বাংলাদেশী বলেন, এই মিছিল বাংলাদেশে-ভারত ও মিয়ানমার সীমান্ত আছে এমন সব জেলা, উপজেলা প্রদক্ষিণ করে যশোরের বেনাপোলে গিয়ে শেষ হবে। বাংলাদেশের প্রতিবেশি ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে, সীমান্তে নিরিহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে, গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। মানবাধিকার সুত্রে, ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করেছে, ১১৮৩ জন আহত হয়েছে। আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারী মিয়ানমারের অভ্যান্তরীন যুদ্ধে মর্টারশেলে এক বাংলাদেশী নারীসহ দুইজন নিহত হয়েছে। সীমান্ত আগ্রসনের বিরুদ্ধে ২০২০ থেকে প্রতিকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম পদযাত্রা করেছি।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ সব সময় প্রতিবেশি ও বন্ধু দেশ গুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় কিন্তু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে বৈরি আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর চোরাকারবারি, হতে পারে এরা গরু চোর চোরাকারবারি এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারিদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারিরা এমনিতে বন্ধ হয়ে যাবে। এই কর্মসূচিতে দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা ও অংশ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি।