পিরোজপুরের নেছারাবাদের আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখর শিকদারের হত্যা মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে স্থানান্তর, সকল আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি ও খুনিদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটায় আটঘর-কুড়িয়ানা বাজারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ কুড়িয়ানা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সমবেত হয়।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগের নেতা স্বপন দেউরি, দ্বিগবিজয় সমাদ্দার, সুমন্ত মজুমদার, বিকাশ রায়, দিলীপ শিকদার, সুবল সিকদার, সবুজ মজুমদার, দীনেশ মন্ডল, শৈলেন মন্ডল ও উত্তম মণ্ডল সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ সময়ে প্রয়াত শেখর শিকদারের স্ত্রী মালা সিকদার বলেন, প্রকাশ্য দিবালোকে আমার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু সব আসামীদেরকে এখনো পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারায় আমি এবং আমার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যারা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি তারা আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। গ্রেফতারকৃতদের যদি ফাঁসি না হয় তাহলে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে।
আওয়ামী লীগ নেতা স্বপন দেওরী বলেন, অবিলম্বে সকল খুনিদের গ্রেফতার করে বিচার করতে হবে। খুনিদের গ্রেফতার করা না হলে রাজপথে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। তিনি আরো বলেন, নেছারাবাদ উপজেলায় একটি খুনেরও বিচার হয়নি, যদি হতো তাহলে খুনিরা শেখর শিকদার হত্যা করতে সাহস পেত না।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় পিরোজপুরের নেছারাবাদের কুড়িয়ানা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখর কুমার শিকদার এক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য নিজ বাড়ি থেকে রওনা করেন। কুড়িয়ানা বাজারের পশ্চিম প্রান্তে পৌঁছা মাত্রই আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা মিঠুন হালদারের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন দলবদ্ধভাবে তার পথ রোধ করেন। এ সময় তাকে লাঠি ও ইট দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ে ভিকটিম নিস্তেজ হয়ে মাটিতে পড়ে থাকলে আসামিরা মৃত মনে করে চলে যান। পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রথমে নেছারাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। তারপর তাকে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই হত্যার ঘটনায় আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার সহ ১৫ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। প্রধান আসামি মিঠুন হালদার সহ এ পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
যাযাদি/ এসএম