ফেনীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের পৃথক অভিযানে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার ও কৃষি জমির মাটি সংরক্ষণ আইনে দুইটি ইটভাটা ও পাঁচটি পোল্ট্রি খামারিসহ ৮ জনকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জেলার পৃথকস্থানে এসব অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট লিখন বণিক এবং সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুপুরে সদর উপজেলার মেসার্স শাপলা ব্রিকফিল্ড ও বিরিঞ্চি ব্রিক ওয়ার্কসে অভিযান চালায় উপজেলার সহকারী কমিশনার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট লিখন বণিক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো: শাওন শওকত অনিকের নেতৃত্বে একটি টিম।
এসময় পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অমান্য করে ইট প্রস্তুত,মাটি সংগ্রহ, ইট বিক্রি সহ নানা অপরাধে শাপলা ব্রিকফিল্ডকে ২ লাক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও বিরিঞ্চি ব্রিক ওয়ার্কসকে ৩ লাক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেট লিখন বণিক জানান, জনসার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যহত থাকবে।
এসময় আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের খুরশিদ আলমের ছেলে বিসমিল্লাহ পোল্ট্রির মালিক মিলন হোসেনের ১০ হাজার টাকা, জহিরুল হকের ছেলে একরাম এগ্রো ফার্মের মালিক একরামুল হকের ২০ হাজার টাকা, এনামুল হকের ছেলে বিসমিল্লাহ পোল্ট্রির মালিক কামরুল হাসানের ১০ হাজার টাকা, আবদুল গফুরের ছেলে মিহির পোল্ট্রির মালিক শহীদুল ইসলামের ২০ হাজার টাকা, সফরপুর গ্রামের সাঈদুল হকের ছেলে ইমন পোল্ট্রির মালিক জাহিদুল আলমের ১০ হাজার টাকা এবং চরকৃষ্ণজয় গ্রামের বজলের রহমানের ছেলে মাটি ব্যবসায়ী জামশেদ আলমের ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভোক্তা অধিকার, কৃষি জমির মাটি সংরক্ষণ ও ইটপ্রস্তুত আইনে ৬ জনের কাছ থেকে এ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা নেবু লাল দত্ত প্রমূখ।
যাযাদি/ এসএম