রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মিঠাপুকুরে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় শিক্ষকের একমাসের কারাদণ্ডসহ জরিমানা

মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৯:৪৮

রংপুরের মিঠাপুকুরে চলমান এসএসসি পরিক্ষায় ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এক শিক্ষকের একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রামমাণ আদালত। প্রশ্নপত্র ফটোকপি করার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। এসময় প্রশ্নপত্র ফটোকপি করতে সহযোগিতা করায় ফটোকপির দোকানদার খায়রুল বাশার নামে একজনকে দুইশত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই কেন্দ্রে ইতিপূর্বে এক ভূয়া শিক্ষার্থীকেও একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছিলো ভ্রামমাণ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২২-ফেব্রুয়ারি) মিঠাপুকুর উপজেলার ০২ নং রানীপুকুর ইউনিয়নের এরশাদ মোড়স্থ মেসার্স বাশার এন্টারপ্রাইজ নামক একটি ফটোকপির দোকানে এই প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটে। ফটোকপির দোকান থেকে প্রায় দুইশত গজ সামনেই রানীপুকুর স্কুল এন্ড কলেজে এসএসসি পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অভিভাবকদের ধারণা ওই শিক্ষক প্রশ্নপত্র ফাঁস করে উত্তরপত্র কেন্দ্রে পাঠিয়ে শিক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, খোড়াগাছ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক রবিউল ইসলাম, রানীপুকুর স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে থেকে এসএসসি ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র কেন্দ্র থেকে কৌশলে বাহির করে ফটোকপির দোকানে নিয়ে গিয়ে ফটোকপি করছিলেন। এসময় মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিকাশ চন্দ্র বর্মন, মেসার্স বাশার এন্টারপ্রাইজ নামক দোকানে গিয়ে প্রশ্নপত্র সহ রবিউল ইসলামকে হাতেনাতে আটক করেন। পরে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা প্রমানিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষক রবিউল ইসলামকে ভ্রামমাণ আদালতে একমাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ওই শিক্ষককে সহযোগিতা করায় দোকানটির স্বত্বাধিকারী খায়রুল বাশারকে দুইশত টাকা জরিমানা করা হয়।

একই দিনে বৈরাতী দ্বী-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে মুঠোফোনে প্রশ্নপত্র ফাঁস ও উত্তর পত্র সংগ্রহের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে এবারে চলমান এসএসসি পরীক্ষায় অভিভাবক সহ শিক্ষানুরাগীরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাদের দাবি, কয়েকটি কেন্দ্র এরকম ঢিলেঢালা পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং কেন্দ্র সচিব সহ দায়িত্বরত শিক্ষকরা স্কুলের পাশের হার বাড়াতে এমন অসদাচরণ উপায় অবলম্বন করছেন। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা নাহলে প্রকৃত মেধাবীরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিকাশ চন্দ্র বর্মন-যায়যায়দিনকে বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে কারাদণ্ড সহ জরিমানা করছি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া প্রশ্নপত্রের বিষয়েও অনুসন্ধান চলছে।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে