শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাতিল হচ্ছে প্রাথমিকের শিক্ষক সংযুক্তি আদেশ

দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
  ০৩ মার্চ ২০২৪, ১১:০৪
ফাইল ছবি

যায়যায়দিনসহ একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর অবশেষে শিক্ষক সংযুক্তি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, খাগড়াছড়ি।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ খ্রিঃ স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করেন, খাগড়াছড়ি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম মন্ডল।

আদেশে বলা হয়, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলাস্থ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতকল্পে শ্রেণি কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার স্বার্থে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের সকল ধরনের সংযুক্তি আদেশ এতদ্বারা বাতিল করা হলো।

আদেশে আরো বলা হয়, সংযুক্তিকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ৩মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ মধ্যে মূল কর্মস্থল (বিদ্যালয়ে) যোগদান করবেন। পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় ও ৯টি উপজেলার ৮ম শ্রেণি চালুকৃত বিদ্যালয়ে সংযুক্তি আদেশে কর্মরত শিক্ষকগণ আগামী ৭মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ মধ্যে নিজ কর্মস্থলে যোগদান করবেন। এবং সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাগণ শিক্ষকদের যোগদানের তথ্যসহ প্রতিবেদন আগামী ১০মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ মধ্যে আবশ্যিকভাবে অত্র দপ্তরে প্রেরণ করবেন।

উল্লেখ্য, জেলার প্রতিটা উপজেলা থেকেই দুর্গম এলাকার বিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষকগণ নিজেদের সুবিধার জন্য নানা অজুহাত দেখিয়ে এবং ওপরমহলে তদবিরের মাধ্যমে সুবিধাজনক বিদ্যালয়ে সংযুক্তি নেন। যেকারণে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাহত হয় দুর্গম এলাকার বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষাকার্যক্রম। পিছিয়ে পড়ে বিদ্যালয় এবং এলাকার শিক্ষার মান। শিশুরাও বঞ্চিত হয় মানসম্মত শিক্ষা থেকে।

জানাযায়, জেলার দীঘিনালা উপজেলায় নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই বছরের পর বছর সংযুক্তিতে কাটাচ্ছেন একাধিক শিক্ষক। সরকারি নিয়মে তিন মাস থেকে একবছর পর্যন্ত সংযুক্তির নিয়ম থাকলেও মানছেন না কেউ। সরকারি নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই একাধিক শিক্ষক নিজ কর্মস্থল থেকে সুবিধাজনক বিদ্যালয়ে এবং উপজেলা থেকে জেলা সদরে অবৈধভাবেই বছরের পর বছর সংযুক্তি কাটাচ্ছেন একাধিক শিক্ষক।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এমন সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা এবং শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ। তারা মনে করেন, সংযুক্তি আদেশ বাতিলের মাধ্যমে শিক্ষকগণ তাদের মূল বিদ্যালয়ে ফিরলে সংকট কমবে শিক্ষকের। এতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা হবে শিক্ষাকার্যক্রম, শিক্ষার মান সমুন্নত থাকবে প্রতিটা বিদ্যালয়ের।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে