রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের আবির্ভাব-বর্ষ-স্মরণ মহোৎসব

পাবনা প্রতিনিধি
  ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৯
ছবি-যায়যায়দিন

পুণ্য দোল-পূর্ণিমা তিথিতে যুগ-পুরষোত্তম, পরমপ্রেমময় শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের ১৩৬তম আবির্ভাব-বর্ষ-স্মরণ মহোৎসবে পাবনার হিমাইতপুর সৎসঙ্গ প্রাঙ্গণ হয়ে উঠেছে লাখ ভক্তের পদচারণায় মুখরিত। বিভিন্ন বয়সের ভক্তবৃন্দ আবির খেলায় অংশনেন। প্রাণের ঠাকুরের জন্মস্থানের ধুলির স্পর্শ পেতে দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে এসেছেন অগনিত ভক্ত। উৎসব প্রাঙ্গনে যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই।

উৎসবের দ্বিতীয় দিন সোমবারের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত পাবনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স উৎসব প্রাঙ্গন পরিদর্শন করেন। এছাড়া পাবনা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মামুন, ১৫ নং ওয়ার্ড কমিশনার মো: শাহীন শেখ উৎসব পরিদর্শন করেন।

সন্ধ্যায় ধর্ম সভায় বক্তব্য রাখেন, ভারত থেকে আগত প্রলয় মজুমদার, প্রীতিগোপাল দত্তরায়, সম্পদ নারায়ণ বন্দোপাধ্যায়, যুগল চন্দ্র ঘোষ, সজীব কুমার সিংহ রুবেল, মদন দাস, প্রশান্ত দেবনাথ, চন্দনময় নন্দী টিটু, এ্যাড. চিরন্তন মল্লিক প্রমুখ।

সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক শ্রী গোপীনাথ কুন্ডু। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ড. নরেশ মধু, হিরন্ময় ঘোষ, বিশ্বজিৎ সাহা।

আয়োজকরা জানান, তিন দিনের মহোৎসবের অনুষ্ঠানমালায় থাকছে ঊষালগ্নে মাঙ্গলিকী, তারকব্রহ্ম নাম সঙ্কীর্তন, সকাল-সন্ধ্যা বিরতিহীন নাম-ধ্যান, সমবেত প্রার্থনা, সদ্‌গ্রন্থাদি পাঠ, ভক্তি সংগীত, পুরুষোত্তমের আবির্ভাবলগ্নের স্মতিচারণ।(পুষ্পাঞ্জলি, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, শঙ্খধ্বনি, বন্দেপুরুষোত্তমম্ ধ্বনি ও উলুধ্বনি) বিশ্ব কল্যাণে বিশেষ প্রার্থনা, পুরুষোত্তম প্রণাম ও অর্ঘ্যাঞ্জলি নিবেদন। জাতীয় সঙ্গীত সহযোগে জাতীয় পতাকা ও মাতৃবন্দনা সহযোগে সৎসঙ্গ পতাকা উত্তোলন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা, লীলাকীর্ত্তন, শ্রীশ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর ৫৩৯ তম আবির্ভাব দিবসের পুণ্যলগ্নের স্মৃতিচারণ, শ্রীশ্রীঠাকুরের জন্মস্থান প্রদক্ষিণ ও শ্রীশ্রীঠাকুরের প্রতিকৃতিসহ আশ্রম অঙ্গন প্রদক্ষিণ, কিশোরমেলা, ঋত্বিক সম্মেলন, মাতৃ সম্মেলন, যুব সম্মেলন, প্রার্থনান্তে ধর্মসভা, আন্দোবাজারে মহাপ্রসাদ বিতরণ, রাত্রে লোকরঞ্জন অনুষ্ঠান।

এদিকে লাখ ভক্তের পদচারণায় মুখরিত উৎসব প্রাঙ্গণ। সবৃক্ষণ শঙ্খধ্বনি, বন্দেপুরুষোত্তমম্ ধ্বনি ও উলুধ্বনি ভেসে আসছে বাতাসে। তরুণ-তরুণীসহ বিভিন্ন বয়সের ভক্তবৃন্দ আবির লেখায় মেতে উঠেন দোল-পূর্ণিমার দিন সকাল থেকেই।

প্রথম দিনের চেয়ে দ্বিতীয় দিন ভক্তসমাগম আরো বেশি হয়েছে বলে আয়োজকরা জানান। এবছর লক্ষাধিক ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটবে বলে তাদের আশা। প্রথম দিনেই তা কিছুটা আঁচ করা গেছে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে