শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কুতুবদিয়ায় বন্ধকী জমি ফিরিয়ে দিলেও অলিখিত স্ট্যাম্পে চাষীর বিরুদ্ধে মামলা 

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৯:১৪
আপডেট  : ২৮ মার্চ ২০২৪, ২১:৩৯

কুতুবদিয়ায় বন্ধকী জমির টাকা পরিশোধে জমি ফিরিয়ে দিলেও অলিখিত স্ট্যাম্প আটকিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে এক লবণ চাষীকে। গত ২০১৭ সালে অভাবের কারণেই অলিখিত স্ট্যাম্পের মাধ্যমে সাড়ে ৬ গন্ডা জমি বন্ধকী দেয় হারুনুর রশিদ। যে বন্ধক নিয়েছেন তিনি উত্তর ধূরুং ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুদ্দৌলাহ। দুজনেই একই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের বাইঙ্গাকাটা এলাকার বাসিন্দা।

বন্ধকী দেয়ার পর ২০২০ সালে ১৫ জুলাই সব টাকা পরিশোধিত হলে জমি ফেরত দিলেও অলিখিত স্ট্যাম্পটি হারিয়ে গেছে বলে বিভিন্ন তাল-বাহানা শুরু করে। পরবর্তীতে ওই অলিখিত স্ট্যাম্প পূরণ করে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুদ্দৌলাহর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন লবণ চাষী হারুনুর রশিদ ।

লবণ চাষী হারুনুর রশিদ বলেন, ছেলের কাজের জন্য ২০১৭ সালে মাত্র ২৫ হাজার টাকায় সাড়ে ৬ গন্ডা জমি বন্ধকি দিয়ে ২০২০ সালে ১৫ জুলাই ওই টাকা পরিশোধ করি। কিন্তু বন্ধকি জমি ফেরত দিলেও অলিখিত স্ট্যাম্পটি বিভিন্ন কৌশলে রেখে দেন।

পরবর্তীতে ওই জমি থেকে উৎপাদিত ১০০ মণ (যার বাজার মূল্য ৫০ হাজার) লবণ বাকীতে ক্রয় করে সিরাজুদ্দৌলাহ। ওই টাকা চাইতে গেলে অলিখিত স্ট্যাম্প পূরণ করে মিথ্যা মামলা করে দিয়েছে ওই প্রভাবশালী জনৈক সিরাজুদ্দৌলাহ। সঠিক তদন্ত পূর্বক তাকে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তিনি।

অভিযুক্ত সিরাজদ্দৌল্লাহ জানান, সে আমাকে কোন টাকা পরিশোধ করে নি। সে টাকা পরিশোধ করলে স্ট্যাম্প ফেরত দেয়া হতো। তাঁর অভিযোগটি সম্পন্ন মিথ্যা বলে জানান।

মামলা তদন্তকারী কুতুবদিয়া থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, এটা এখনো রিপোর্ট প্রদান করা হয়নি। তদন্ত চলমান রয়েছে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে