ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার বগাদানাতে টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল পুরস্কার পেয়েছে ২২ কিশোর। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জুমার নামাজ শেষে মসজিদের সামনে মুসল্লিদের উপস্থিতিতে তাদের পুরস্কৃত করা হয়।

এর আগে শিশু-কিশোরদের মসজিদমুখী করতে উপজেলার বগাদানা জামে মসজিদ কমিটি এই পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছিল।

বাইসাইকেল পাওয়া কিশোরেরা হল- মেহেদি হাসান, সাফাত আল তাওসিপ, মো. আশরাফুল হক, মেহেদি হাসান, তামিম উদ্দিন সোহান, মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মো. রহিম, তাসনিমুল ইসলাম, নুরের জামান মারুফ, মো. সাজেদুল ইসলাম, সাজেদুল ইসলাম, আরমান আলা উদ্দিন, ওমায়ের হোসেন, তাজুল ইসলাম, শাখাওয়াত হোসেন, ইমরান হোসেন মেহরাজ, রিয়াদুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, তানবীরুল ইসলাম। এ ছাড়া ২ হাজার টাকা করে পুরস্কার পেয়েছে ছালেহ আহমেদ, মো. ইয়াছিন. মো. ইউসুফ, আতিকুল ইসলাম, আতিকুর রহমান ও মো. দুলাল।

এ বিষয়ে বগাদানা জামে মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি ডা. এম এ ইউসফ বলেন, ‘মূলত শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি উৎসাহ দিতে এমন আয়োজন করা হয়েছে। আমরা বলেছিলাম, ১০ বছর থেকে ১৮ বছরের শিশু-কিশোরেরা যদি ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আদায় করে, তাহলে প্রত্যেককে একটি করে বাইসাইকেল পুরস্কার দেয়া হবে। এ ঘোষণায় উৎসাহিত হয়ে এলাকার শিশু-কিশোরেরা মসজিদে নামাজ আদায় শুরু করে। তাদের মধ্য থেকে ৪০ দিন জামাতে নামাজ পড়া যাচাই-বাছাই করে সাইকেল এবং বাকিদের টাকা পুরস্কার দেয়া হয়।’

২১ জন শিক্ষকের অধীনে ২১ জন শিক্ষাথী ফেল

পুরস্কারপ্রাপ্ত মেহেদি হাসান অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, আমরা এই পুরস্কার পেয়ে অত্যন্ত খুশি। এ ধরনের প্রতিযোগিতা আমাদের ভবিষ্যতে নামাজ পড়তে আরও উৎসাহ জোগাবে।’

স্থানীয়রা জানায়, ‘এই কার্যক্রম বাচ্চাদের নামাজের প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। আমরা কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি যে ছেলেরা নামাজে নিয়মিত আসছে। তাদেরকে আমরা পুরস্কৃত করেছি। এতে করে বিষয়টি অনুকরনীয় ও দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

যাযাদি/এসএস