রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলাবাসীর ভোগান্তির আরেক নাম বিদ্যুৎ। পবিত্র মাহে রমজান মাসেও চরম বিদ্যুৎ সংকটে নাকাল রাজস্থলীবাসী। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গেছে, যা একেবারে অসহনীয়।
সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ লোডশেডিং ও বিভ্রাটসহ নানা ত্রুটি এবং ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া পরিস্থিতি মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এতে তীব্র গরমে অতিষ্ঠ ও এলাকার জনসাধারণ।
এ কারণে ব্যাহত হচ্ছে রাজস্থলী উপজেলার স্বাভাবিক জনজীবন ও অফিসিয়াল কাজকর্ম। প্রতিনিয়ত দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিংয়ের অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
গত কয়েকদিন ধরে সকাল, দুপুর, সন্ধ্যায় বিদ্যুতের ভেলকিবাজী ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে মানুষ। বিশেষ করে পবিত্র রমজান মাসে সেহেরী, ইফতার, তারাবি নামাজে তীব্র গরমের মাঝে বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজি ও লোডশেডিংয়ের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
এতে ধর্মপ্রাণ মুসলমান রোজাদাররা পড়েছে বিপাকে। গত কয়েক মাস রাজস্থলীতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের তেমন কোনো সমস্যা পোহাতে হয়নি। তবে গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুতের ভেল্কিভাজি ও লোডশেডিং বেড়ে চলেছে। কয়েকদিন ধরে এ সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে। লোডশেডিংয়ের পাশপাশি একটু বাতাস-বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে।
পরে দীর্ঘসময় পর আসছে বিদ্যুৎ। অনেক সময় ঝড়বৃষ্টি ছাড়াই দীর্ঘসময় ধরে বন্ধ থাকছে সরবরাহ। তাছাড়া পবিত্র মাহে রমজান মাসেও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাট হওয়া নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গ্রাহকরা বলছেন, এই কয়েকদিন থেকেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট বেড়েছে। রমজান মাসে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ও লোডশেডিংয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন উপজেলার সর্বস্তরের জনগন।
বাঙালহালিয়া বাজার ব্যাবসায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল আলম জানান, আমরা ব্যবসায়ীসহ এ উপজেলার মানুষ সবাই বিদ্যুৎ নিয়ে মহাবিপদে রয়েছি। দিনরাত সর্বক্ষণ বিদ্যুৎ যাওয়া আসার মধ্যে থাকে। কেবল দিনের বেলাতে ৭-৮ বার বিদ্যুৎ চলে গিয়ে আসে দীর্ঘক্ষণ পরে। এভাবে দিনরাত টানা দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎহীন থাকায় জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। ঘনঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া একেবারে অসহণীয়। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
রাজস্থলী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জয়নুল তালুকদার মেম্বার জানান, কারণে অকারণে যখন তখন বিদ্যুতের নাজুক অবস্থা সৃষ্টি করা হচ্ছে রাজস্থলী উপজেলার বাঙালহালিয়া, ইসলামপুর, সফিপুর, সহ সদর উপজেলা।
প্রতিনিয়ত দীর্ঘক্ষণ লোডশেডিং ও ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে বিপর্যস্ত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। যা ঘন ঘন বিদ্যুৎ আসা-যাওয়ার বিভ্রাট একেবারে অসহণীয়। ফলে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক ও দৈনন্দিন কাজকর্ম।
এ বিষয়ে চন্দ্রঘোনা আবাসিক বিদ্যুৎ বিভাগের উপ প্রকৌশলী আশিস সরকারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাই এলাকাবাসী নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যাতে সরবরাহ অব্যাহত থাকে তার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-নজর দেয়ার আহবান জানান।
যাযাদি/ এম