শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রীমঙ্গলে শেষ সময়ে জমে উঠেছে ঈদের বাজার 

শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  ০৭ এপ্রিল ২০২৪, ২০:১৩
শ্রীমঙ্গলে শেষ সময়ে জমে উঠেছে ঈদের বাজার 

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে শেষ সময়ে জমে উঠেছে ঈদের বাজার কেনাকাটায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। ঈদের আর মাত্র দুদিন বাকি ফলে পবিত্র ঈদ উল ফিতরকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে ক্রেতাদের পদচারণায় সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মুখর থাকছে উপজেলার বিপনী বিতানগুলো।

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে এখন সরগরম শহরের প্রতিটি বিপনী বিতান। নিজেদের পছন্দের পোশাক কিনতে আগে থেকেই দোকানে ভীড় করছেন ক্রেতারা। নিজেদের সাধ্যমত কেনা কাটায় ব্যস্ত রয়েছেন ক্রেতারা।

সরেজমিনে এমবি ক্লথ স্টোর ও বিলাস ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে দেখা যায় কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ক্রেতারা। রোজার প্রথম সপ্তাহ থেকেই কেনাকাটা শুরু করেছেন ক্রেতারা ।

তবে এমবি ও বিলাসে ঈদের বাজারে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আকর্ষনীয় সব পোশাক। রয়েছে দেশী বিদেশী ব্রান্ডের আধুনিক ডিজাইনের কাপড়, জুতা, ও কসমেটিকস্ সহ বিভিন্ন সামগ্রী।

এমবি বিলাস ছাড়াও শ্রীমঙ্গলের সবচেয়ে পুরনো মার্কেট শাপলা সুপার মার্কেট, মিতালী ম্যানশন, খাতুন ম্যানশন, নিউ মার্কেট, সৈয়দ ফশিউর রহমান মার্কেট, মিদাদ শপিং সিটি, সাইফুর রহমান মার্কেটগুলোতে সাধারণ ক্রেতাদের ভীড় লক্ষ করা যায়। বাহিরের মৌসুমী ও ভ্রাম্যমান দোকানের নিম্ন বিত্ত মানুষদের আনাগোনা রয়েছে প্রতিটি দোকানেই ক্রেতারা দর-কষাকষি করে ঈদের কেনাকাটা করছেন।

ক্রেতাদের অভিযোগ এবার সবকিছুর দাম প্রায় দ্বিগুন জামা-কাপড়, জুতার এতটাই দাম যে, বাচ্চাদের কেনাকাটা করতেই সব টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এবারের ঈদে জামা-কাপড় কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। পণ্যের দাম বেশি থাকায় নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে সাধারণ ক্রেতারা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী গোলাম রহমান মামুন জানান, এবার পণ্যের দাম কিছুটা বেশি কারণ গতবারের তুলনায় আমরাও দাম দিয়ে ক্রয় করেছি। কেননা সব ধরনের জিনিসপত্রের দাম অনেক বেশি।

গত তিন মাস আগে যে কাপড় ৫০০-৮০০ টাকায় পাইকারি কিনেছি, সেগুলো ঈদ উপলক্ষে ৯০০-১২০০ টাকায় কিনেছি। এতে বাধ্য হয়েই বেশি দামে জামা-কাপড় বিক্রি করতে হচ্ছে। আমরা দামে কিনে সব খরছ সহ একটু দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে আমাদের খরছ বাদে ১০০-২০০ টাকা লাভ ত থাকতে হবে না হলে আমরা চলব কিভাবে। দাম বেশি হওয়ায় ক্রেতারা দেখে শোনে, কিছুটা সময় নিয়ে কেনাকাটা করছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, এবার প্রতিটি দোকানে গড়ে ৮০ হাজার থেকে লাখ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। ঈদের শেষ সময়ে বেচাকেনার চাপ আরও কয়েকগুণ বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা যায় নারী ও ছোট শিশুদের বিভিন্ন বিপনী বিতাগুলোতে। শহরের বিভিন্ন বিপনী বিতান গুলোর পাশাপাশি বাহিরের ভ্রাম্যমান খোলা দোকান গুলোতে কেনাকাটা করছেন সাধারণ ক্রেতারা।

ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী কামাল হোসেন জানান, এ বছর রমজানের শুরু থেকেই বেচাকেনার ধুম পড়েছে। আশা করছি এবার ঈদে দোকানগুলোতে বিক্রির পরিমাণ দ্বিগুণেরও বেশি ছাড়িয়ে যাবে। ডলারের দাম বাড়ায় দেশে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। আর ডলার সংকট থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা পণ্য আমদানী করতে খরছ বেশি থাকায় পণ্যের দাম বেড়েছে। আশা করি ডলারের দাম কমার সাথে সাথে দেশে পণ্যের দামও কমে যাবে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে