সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

জাজিরায় সংঘর্ষে আহত ১০ জন, অর্ধ-শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর

জাজিরা (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি
  ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৯:৫৫
জাজিরায় সংঘর্ষে আহত ১০ জন, অর্ধ-শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর

মাস না পেরুতেই শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ব্যাপক আলোচিত-সমালোচিত বিলাসপুর ইউনিয়নে ফের সংঘর্ষে অন্তত দশজন আহত হয়েছে। এছাড়াও উভয় পক্ষের অর্ধ-শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। বুধবার (২৪-এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে বিলাসপুরের মুলাই বেপারি কান্দি, সারেং কান্দি ও মেহের আলী মাদবর কান্দি সহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, উভয় পক্ষের সমর্থকেরা প্রতিপক্ষের অন্তত অর্ধ-শতাধিক ঘরবাড়িতে তান্ডব চালিয়েছে। ঘরের দরজা-জানালা সহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে ফেলা রাখা হয়েছে এদিক-সেদিক। তবে এলাকাটিতে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি থাকায় পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে।

আহতদের জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সহ বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়েছে। কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় নেয়া হয়েছে উন্নত চিকিৎসার জন্য। আহতদের মধ্যে অন্তত ৫ জন চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারি তার সমর্থক বলে দাবী করেছেন তিনি।

এদিকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল জলিল মাদবর প্রশাসনকে দোষারোপ করে বলেন, চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারি গ্রুপ কয়েকদিন আগে সজিব মুন্সিকে হত্যা করে হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসেই ফের তান্ডব চালালো আমাদের ঘরবাড়িতে। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে শক্ত পদক্ষেপ নিলে তারা হয়তো এই সাহস করতো না।

বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ: কুদ্দুস বেপারি বলেন, সজিব মুন্সিকে তারা নিজেরাই পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে লুটপাট করেছে। আমরা জামিনে আসা মাত্রই ফের উত্তেজনা তৈরি করে আ: জলিল মাদবর গ্রুপ এই সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটালো।

নড়িয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ আহসান হাবিব জানান, আমরা নিয়মিত বিলাসপুরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করার পাশাপাশি টহলের ব্যবস্থা করে রেখেছি। তবুও তারা ক্ষেতের মধ্যে গিয়ে মারামারি করছে। এই ঘটনায় আমরা দু'জনকে আটক করেছি আর ভুক্তভোগীদের অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত প্রায় দুই বছর মোটামুটি শান্ত থাকার পরে গত (২৮-মার্চ) আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠলে বিলাসপুরে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে।

এসময় বিলাসপুর ইউনিয়নের মিয়াচাঁন মুন্সী কান্দি এলাকার মোহাম্মদ আলী মুন্সির ছেলে সজিব মুন্সী(২৫) ককটেল বিস্ফোরণে পেটের নারী-ভুঁড়ি বেরিয়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। কয়েকদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর (১-এপ্রিল) সজিব মুন্সি মারা গেলে একটি হত্যা মামলা হয়।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে