উশৃঙ্খল চলাফেরা ও অনৈতিক কর্মকান্ডের জন্য তারু মিয়াকে-(৬২) হত্যা করা হয়েছে বলে ১৬৪ ধরায় আদালতে জবানবন্দী প্রদান করেছেন তারু মিয়া হত্যাকান্ডে গ্রেপ্তারকৃত তিন আসামী। নিহত তারু মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বড়হাটি গ্রামের চিনু মিয়ার ছেলে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নিহত তারু মিয়ার স্ত্রী হাদিসা বেগম-(৫২), তার কন্যা তানজিনা আক্তার-(৩০) ও চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাহপুর বড়বাড়ি এলাকার সুমন-(৪৫)।
গত শনিবার ভোর রাতে সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের বুধল গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসেন গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে জানান, তারু মিয়া উশৃঙ্খল চলাফেরা করতো ও অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলো বলে সন্দেহ করতো তার মেয়ে তানজিনা আক্তার। অনৈতিক কর্মকান্ড নিয়ে প্রায় সময়ই তারু মিয়ার সাথে তার স্ত্রী হাদিসা বেগমের ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। স্ত্রীকে প্রায়ই মারধোর করতো তারু মিয়া।
এ নিয়ে তারু মিয়ার স্ত্রী ও মেয়ে তানজিনা আক্তারের মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষোভ থেকে তানজিনা আক্তার তার পিতাকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক গত ২৪ এপ্রিল রাতে তানজিনা আক্তার তার পিতার খাবারের সাথে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয়। সেই খাবার খেয়ে তারু মিয়া গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। পরে তারু মিয়ার মেয়ে, স্ত্রী পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামি সুমন ও আরো ৪ জন আসামি মিলে ২৪ রাত দেড়টার দিকে তারু মিয়ার গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বাড়ির পাশের ডোবার মধ্যে থাকা ঝোপ ঝাড়ের মধ্যে তারু মিয়ার লাশ লুকিয়ে রাখে। ২৫ এপ্রিল তানজিনা আক্তার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় এ ঘটনায় একটি জিডি (সাধারণ ডায়রি) করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোঃ মহিউদ্দিন শেখ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় তারু মিয়ার মেয়ে তানজিনা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে তারু মিয়ার স্ত্রী হাদিসা বেগম ও সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার বিকেলে আসামিরা ১৬৪ ধারায় আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়ছেন। বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
যাযাদি/এস এস