তৈরি করুন ত্বক
পরিচর্যার জেল
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরা দিয়ে খুব সহজেই তৈরি করা যায় জেল। আর এই জেল দিয়ে রাতে ত্বক পরিচর্যায় মিলবে ভালো ফলাফল।
রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে রাতে ত্বকের প্রাকৃতিক যত্ন নেওয়ার উপায় সম্পর্কে জানানো হলো।
অ্যালোভেরা যে কোনো ধরনের ত্বকের জন্য উপকারী। তাই ত্বক আর্দ্র রাখতে ও ক্ষয় পূরণ করতে অ্যালোভেরার জেল ও ত্বক বান্ধব তেল ব্যবহার করে ত্বক সুরক্ষিত রাখা যায়।
উপকরণ: অ্যালোভেরা জেল এক টেবিল-চামচ, ল্যাভেন্ডার তেল এক চা-চামচ, প্রিমরোজ তেল চার ফোঁটা।
পদ্ধতি: সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে তা বায়ুরোধী কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন। প্রতিদিন রাতে মুখ পরিষ্কার করে ঘুমানোর আগে এই জেল ব্যবহার করুন। ত্বকে তা ভালোভাবে প্রবেশ করানোর জন্য রোলার ব্যবহার করেতে পারেন।
উপকারিতা: এই জেল ত্বকের ক্ষয় পূরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ কমায়। আর বাজারে যেসব 'নাইট ক্রিম' পাওয়া যায় তা রাসায়নিক দ্রব্য থাকে। বরং প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তৈরি এই জেলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
শিশুর নাকে পানি ঝরায় করণীয়
শিশুর নাক দিয়ে যখন প্রায়ই পানি ঝরে তখন বিষয়টি নিয়ে বাবা-মা চিন্তিত না হয়ে পারেন না। নাকের এই পানিকে সরাসরি পানি না বলে শ্লেষ্মা বলাই শ্রেয়। সাধারণত চার থেকে আট বছর বয়সের শিশুদের মধ্যে নাকে শ্লেষ্মা ঝরার সমস্যা দেখা যায়। এ বয়সে ঘন ঘন ঊর্ধ্ব শ্বাসনালির প্রদাহ আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি শিশুদের নাক দিয়ে শ্লেষ্মা ঝরার কারণ বলে মনে করা হয়। সাধারণভাবে অ্যালার্জি সমস্যায় আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে নাক দিয়ে শ্লেষ্মা ঝরার সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। তবে দরিদ্র পরিবারের অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের মধ্যেও এ ধরনের সমস্যা বেশি দেখা যায়। কারণ এ ধরনের শিশুদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। এ ছাড়াও শিশুদের আশপাশে ধূমপান করার ফলে অর্থাৎ পরোক্ষ ধূমপানের কারণেও অনেক শিশু নাকের শ্লেষ্মা ঝরার সমস্যায় ভোগে।
নাক দিয়ে পানি বা শ্লেষ্মা ঝরার অন্যতম কারণ : ভাইরাসজনিত নাকের ইনফেকশন। অ্যালার্জিজনিত নাকের ও সাইনাসের প্রদাহ। সাইনোসাইটিস। শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা। নাকের গহ্বরে কোনো বস্তু আটকে থাকা। নাকের ঝিলিস্নস্থ সিলিয়ার অস্বাভাবিক গতিময়তা, অস্বাভাবিক শ্লেষ্মা, ঝিলিস্নস্থ গ্রন্থির অস্বাভাবিকতা ইত্যাদি। অনবরত কিংবা প্রায়শ নাকের পানি বা শ্লেষ্মা ঝরা একটি সমস্যা হলেও নাকের ঝিলিস্নর এই নিঃসরণের রয়েছে প্রতিরোধ ক্ষমতা। নাকের কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে এবং বাহ্যিক প্রতিকূল পরিবেশ থেকে নাককে রক্ষা করতে ভূমিকা রাখে এই শ্লেষ্মা। এ ধরনের সমস্যা মাসের পর মাস চলতে থাকলে একজন নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে বের করতে হবে সমস্যার কারণ। রোগ নির্ণয় হলে, নির্ণীত কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করলেই সমস্যার সমাধান খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।
য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক
ডায়াবেটিস কিংবা
উচ্চ রক্তচাপ
দূর করবে এলাচ
সুগন্ধযুক্ত মসলা হিসেবে এলাচের সুনাম রয়েছে। বিরিয়ানি থেকে মিষ্টান্ন- প্রায় সবকিছু রান্নায় এর ব্যবহার চোখে পড়ার মতো। এটি শুধু খাবারে সুঘ্রাণই যোগ করে না, স্বাদও বাড়ায়। সেই সঙ্গে শরীরের নানা উপকারেও লাগে। উচ্চ রক্তচাপ থেকে মেদ ঝরানো, এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত কমিয়ে দিতে পারে এলাচ।
সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে খুব বেশি ঝামেলা না করে বরং ঘরোয়া উপায়ে এলাচের মাধ্যমেই সারিয়ে ফেলতে পারেন কঠিন রোগ। চলুন জেনে নেয়া যাক এলাচের কিছু উপকারিতা-
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি পত্রিকায় বলা হয়েছে, যারা উচ্চ কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় খাবার খান, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা উচ্চ রক্তচাপের শিকার হন। এ ক্ষেত্রে ভারী কিছু খাবারের পর যদি এলাচ খাওয়া আপনার অভ্যাসে থাকে, তাহলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে আপনার বস্নাড সুগার লেভেলও।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এলাচ ফ্যাটি লিভার কমাতেও বেশ কার্যকরী। এটি আমাদের শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল কমায় পাশাপাশি ভালো রাখে হার্টকেও।
এলাচ খেলে স্থূলতার মতো সমস্যা কমে, সেইসঙ্গে কোমরের অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে, আপনাকে সুন্দর ও স্স্নিম করে তোলে দ্রম্নতই।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এলাচ হজমের সমস্যাও মেটায়। 'জার্নাল অব এনথোফার্মাকোলজি' নামের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, পাকস্থলীর আলসার বা ঘা নিরাময়েও কাজ করে এলাচ।
২০১২ সালে জার্নাল অব মেডিসিনাল ফুড -এ বলা হয়েছে, এলাচ গুঁড়া শরীরের মধ্যে কিছু উৎসেচক তৈরি করে- যা ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।
উপকারী মসলা এলাচ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ হওয়ায় তা শরীরের সেলগুলোকে রক্ষা করে এবং শরীর থেকে টক্সিনগুলো বের করে দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
য় সুস্বাস্থ্য ডেস্ক