শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিশ্বে মৃত্যু বেড়ে তিন লাখ

২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৪৫ লাখ ইতালিতে আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ চারগুণ
যাযাদি ডেস্ক
  ১৫ মে ২০২০, ০০:০০
আপডেট  : ১৫ মে ২০২০, ১১:০১

চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার পর মৃতু্যর সংখ্যা তিন লাখে পৌঁছেছে। অথচ চার মাস পেরিয়ে গেলেও এটি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। ফলে প্রতিদিনই বাড়ছে প্রাণহানি। আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা 'ওয়ার্ল্ডোমিটারের' তথ্যমতে, ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা পর্যন্ত কোভিড-১৯-এ মারা গেছে তিন লাখ মানুষ। তবে এই ভাইরাস থেকে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ। সংবাদসূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা, এএফপি যদিও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে উঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। শতাধিক গবেষক এর টিকা আবিষ্কারে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে এ ভাইরাসে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভাইরাস মোকাবিলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন, জরুরি অবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ। কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে লকডাউন শিথিল করে বেকায়দায় পড়েছে। ফলে নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়েছে। জরিপ সংস্থাটির তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ৮৮ হাজারের বেশি। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ হাজারের বেশি মৃতু্য হয়েছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে। আক্রান্তদের মধ্যে বর্তমানে ২৩ লাখ ৯৮ হাজার চিকিৎসাধীন, যাদের অবস্থা স্থিতিশীল। আর ৪৫ হাজার ৯২১ জনের অবস্থা গুরুতর, যাদের অধিকাংশই আইসিইউতে রয়েছে। ভাইরাসটি চীন থেকে ছড়ালেও বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে আক্রান্ত ১৪ লাখ ৩০ হাজার হাজার ছাড়িয়েছে। সুস্থ হয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৫৯ এবং মারা গেছে ৮৫ হাজারের বেশি। যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও এক হাজার ৮১৩ জন প্রাণ হারিয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃতু্য ও আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রেই। এছাড়া স্পেনে আক্রান্ত প্রায় দুই লাখ ৭৩ হাজার। মারা গেছে ২৭ হাজারের বেশি। রাশিয়ায় আক্রান্ত দুই লাখ ৫২ হাজারের বেশি। মারা গেছে দুই হাজার ৩০৫ জনের বেশি। যুক্তরাজ্যে আক্রান্ত প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার, সেখানে কর্তৃপক্ষ সুস্থতার সংখ্যা প্রকাশ করেনি এবং মারা গেছে ৩৩ হাজারের বেশি। ইতালিতে আক্রান্ত দুই লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃতু্য ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। ফ্রান্সে আক্রান্ত এক লাখ ৭৮ হাজারের বেশি এবং মারা গেছে ২৭ হাজার ৭৪ জন। ব্রাজিলে আক্রান্ত এক লাখ ৯০ হাজার ছাড়িয়েছে। মারা গেছে ১৩ হাজারের বেশি। জার্মানিতে আক্রান্ত এক লাখ ৭৪ হাজার। আর মারা গেছে প্রায় ৮ হাজার। তুরস্কে আক্রান্ত এক লাখ ৪৩ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছে চার হাজারের বেশি। ইরানে আক্রান্ত প্রায় এক লাখ ১৫ হাজার, মারা গেছে প্রায় সাত হাজার। এদিকে, করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে আক্রান্ত ৮২ হাজার ৯২৬, সুস্থ হয়েছে ৭৮ হাজার ১৮৯ এবং মারা গেছে চার হাজার ৬৩৩ জন। পাকিস্তানে আক্রান্ত ৩৫ হাজার ২৯৮, সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ৮৯৯ এবং মারা গেছে ৭৬১ জন। ইতালিতে আক্রান্তের চেয়ে সুস্থ চারগুণ এদিকে, চীনের পর ভাইরাসটি প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র ছিল ইউরোপের ইতালি। টানা অনেকদিন আক্রান্ত ও মৃতু্যতে শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন কমতে শুরু করেছে ভাইরাসটির সংক্রমণ। গত একদিনে আক্রান্তের চেয়ে চারগুণ বেশি রোগী সুস্থ হয়েছে। বুধবার ইতালির সরকারি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, একদিনে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা আগের দিন; অর্থাৎ মঙ্গলবারের চেয়ে দুই হাজার ৮০৯ জন কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮৮৮ জন। বিপরীতে একই সময়ে সুস্থ হয়ে উঠেছে তিন হাজার ৫০২ জন কোভিড-১৯ রোগী। মারা গেছে ১৯৫ জন। ফলে গত ৩১ মার্চের পর ইতালিতে প্রথমবারের মতো সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮০ হাজারের নিচে নামলো। 'ইতালিয়ান সিভিল প্রটেকশন এজেন্সি'র দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, এই সুস্থতার হার সংক্রমণ কমার ইঙ্গিত। এছাড়া গত কিছুদিন যেখানে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হচ্ছিলে, তাও কমেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে