শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভাষা শহীদদের পরিচিতি ও মাতৃভাষার গুরুত্ব

একুশের চেতনা আমাদের বর্তমানের শক্তি, ভবিষ্যতের পাথেয়। আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয় ও ঐতিহ্য সমুন্বত রাখতে হবে। ভাষা শহীদদের আত্মদানের প্রতি সম্মান জানাতে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে।
মোহাম্মদ নজাবত আলী
  ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

আজ আমি শোকে বিহ্বল নই,

আজ আমি ক্রোধে উন্মাতাল নই,

আজ আমি রক্তের গৌরবে অভিসিক্ত।

যারা আমার অসংখ্য ভাইবোনকে হত্যা করেছে,

যারা আমার হাজার বছরের ঐতিহ্যময় মাতৃভাষায় অভ্যস্ত

মাতৃ সম্মোধনকে কেড়ে নিতে গিয়ে আমার এসব

ভাইবোনদের হত্যা করেছে,

আমি তাদের ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি। ফাঁসির

দাবি নিয়ে এসেছি।

(মাহবুব-উল আলম চৌধুরী)

একুশ আমাদের অহঙ্কার ও জাতীয় জীবনের ইতিহাসে একটি চিরস্মরণীয় দিন। রক্তে রাঙ্গা একুশে ফেব্রম্নয়ারি বাঙালি জাতির ইতিহাসে মুক্ত চেতনার উর্বর উৎস এবং একটি জ্বলন্ত অগ্নিশিখা। যে অগ্নিশিখা থেকে আলোকবর্তিকা ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। বিশ্ববাসীর জীবনে ২১ ফেব্রম্নয়ারি এক মহৎ দিন। এ দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস একুশ বলতে কোনো শতক নয়, বরং বাঙালির হৃদয়ে প্রথমেই উদ্ভাসিত হয়ে উঠে মহান একুশে ফেব্রম্নয়ারি ৫২ সালের ইতিহাসের এক বেদনাদায়ক ঘটনার কথা। এ দিনে মাতৃভাষা বাংলা মায়ের মর্যাদা রক্ষার্থে বাংলার দামাল ছেলেরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। ভাষা সৈনিকরা রক্ত দিয়ে ঢাকার রাজ পথে এঁকেছিল আলপনা। সালাম, বরকত, রফিক প্রমুখ ভাষা শহীদেরা বাঙালি জাতির গর্বিত সন্তান। তাদের দুর্জয় সাহস ও আত্মত্যাগ ইতিহাসের এক অতুলনীয় দৃষ্টান্ত।

মাতৃভাষা যে কোনো জাতির প্রাণশক্তি। কারণ মাতৃভাষার মাধ্যমে একজন মানুষ স্বপ্ন দেখে, কল্পনার জাল বিস্তার করে, মাতৃভাষার মাধ্যমেই তার সব চিন্তাভাবনা, আশা আকাঙ্ক্ষা, আবেক অনুভূতি প্রকাশ পায়। মূলত মাতৃভাষার মাধ্যমেই যে কোনো জাতির শিক্ষা সংস্কৃতি ও দেশ প্রেম গড়ে উঠে। আমাদের সংস্কৃতির মূল ভিত্তিই হচ্ছে মাতৃভাষা বাংলা। মাতৃভাষার প্রতি মানুষের টান, ভালোবাসা, শ্রদ্ধা সর্বজনীন। বিষটি সংশয়, তর্ক ও সমালোচনারও ঊর্ধ্বে। তাই মাতৃভাষার প্রতি অমর্যাদা কোনো জাতি সহ্য করতে পারে না। যেমন সহ্য করতে পারেনি বাঙালি জাতি। পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী কেড়ে নিতে চেয়েছিল বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে। তারা আমাদের ধ্বংস করার জন্য আমাদের ঘাড়ে চেপে দিতে চেয়েছিল উর্দু ভাষা। কিন্তু বাংলার গর্বিত ছাত্রসমাজ তাদের কাছে মাথানত করেনি। তাই একুশ মানে মাথা নত না করা। সঙ্গত কারণেই তারা প্রতিবাদে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। শত অত্যাচার নির্যাতন-নিপীড়ন রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে এ দেশের তরুণ ছাত্রসমাজ অকাতরে প্রাণ বির্সজন দেয়। ভাষা আন্দোলনের ৪৮ বছর পর বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ভাষা শহীদের চরম আত্মত্যাগ ও তাদের সুমহান আদর্শ বাঙালির অমর একুশকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ভাষা শহীদদের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করে বাঙালি জাতিকে ধন্য করেছেন। এ স্বীকৃতি অর্জনে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও ইতিহাসে অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

২১ ফেব্রম্নয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেস্কো বাঙালির একটি বিশিষ্ট অর্জনকে স্বীকৃতি দান করেছে। জাতি হিসেবে আমরা গর্বিত। কিন্তু সে সঙ্গে আমাদের অনুধাবন করতে হবে একুশের গুরুত্ব। তাই আত্মগৌরবের স্রোতে গা ভাসিয়ে দিলে আমাদের চলবে না। এ স্বীকৃতি লাভে আমাদের দায়িত্ব যে বেড়ে গিয়েছে তা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। কেননা, একুশের তাৎপর্য অত্যন্ত গভীর। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হলেও একুশের মূল চেতনা আমরা ৬৭ বছরেও বাস্তবায়ন করতে পারিনি। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্র ভাষা মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করায় একুশের মূল চেতনা সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং একুশের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ছিল সকল প্রকার জড়তা, অঙ্গতা, অন্যায় অবিচার শোষণ বঞ্চনার অবসান ঘটিয়ে ও কুসংস্কার থেকে জাতিকে মুক্ত করে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কাঠামো গড়ে তোলা এবং রাষ্ট্রের সর্বত্র বাংলা ভাষার ব্যবহার সুনিশ্চিত করা। ভাষা আন্দোলনের ৬৭ বছর পরও বাংলা রাষ্ট্র ভাষা হলেও রাষ্ট্রের ভাষা হয়নি। রাষ্ট্র ভাষা করার অর্থ হচ্ছে আমাদের সব কিছু বাংলা ভাষায় চলবে। সরকার, ব্যবসাবাণিজ্য, শিক্ষা, বিচারও আইন বিভাগ, সামরিক বিভাগ অর্থাৎ রাষ্ট্রের যত প্রতিষ্ঠান ও বিভাগ বাংলায় চলবে। বাংলা হবে এ অঞ্চলের সর্ব শ্রেষ্ট ভাষা। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও রাষ্ট্রের সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালু হয়নি। ফেব্রম্নয়ারি এলেই সরকার বাংলা ভাষার গুরুত্বের কথা বলেন, 'অথচ ১১ মাস বাংলা ভাষা নিজ দেশে-বিদেশি ভাষার মতো অবস্থায় থাকে। রবীন্দ্রনাথের সেজদা বলেছেন, আগে চায় বাংলা ভাষার গাঁথুনি তারপর ইংরেজি শেখার গোড়া পত্তন।' আমাদের নিজস্ব ভাষা সাহিত্য শিক্ষা, সংস্কৃতি ও যে ঐতিহ্য রয়েছে সে ঐতিহ্য স্বকীয়তাকে অক্ষুণ্ন রেখে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।

আমরা কোনোভাবেই নিজেদের ভাষা সংস্কৃতি স্বকীয়তাকে বিকিয়ে দেব না। ইংরেজি ভাষাকে বাংলার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। নিজ মাতৃ ভাষাকে অবজ্ঞা করে অন্য কোনো ভাষাকে গুরুত্ব প্রদান করলে স্বাভাবিক ভাবেই মাতৃভাষা বাংলা গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। আমরা প্রয়োজনে ইংরেজি ভাষা শিখব কিন্তু নিজ মাতৃভাষা বাংলাকে বিসর্জন দিয়ে নয়। আমাদের অফিস আদালতের ভাষা হবে বাংলা। কিন্তু কার্যত দেখা যাচ্ছে ইংরেজির ব্যবহার বেশি। বাংলা ভাষা চর্চা এবং বিকাশ করা প্রয়োজন। ভাষার উন্নতি কিন্তু ভাষা নিজে নিজেই করতে পারে না। কারণ ভাষার নিজস্ব কোনো গতি নেই। যে জাতি যে ভাষা ব্যবহার করে তার প্রতিভা অনুযায়ী ভাষার বিকাশ ঘটে। আমরা যদি উন্নত রাষ্ট্রগুলোর দিকে তাকাই তা হলে দেখতে পাব যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, জার্মান এ রাষ্ট্রগুলো তাদের নিজের দেশের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে ভাষার ও উন্নতি করেছে। ভাষার বিকাশ ঘটে বিচিত্র ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলা ভাষা চর্চা ও বিকাশের জন্য সৃজনশীল সাহিত্য কর্মের কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে বাংলা একাডেমিকে মানসম্পন্ন বই প্রকাশে উদ্যোগী হওয়া দরকার। সর্বোপরি ভাষা শহীদদের স্বপ্ন ও প্রত্যাশা পূরণে বাংলাকে রাষ্ট্রের ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে যা করণীয় তা সরকারকেই করতে হবে।

যা হোক, বাঙালির এ সমস্ত নির্ভীক গর্বিত সন্তানরা কে ছিলেন এবং তাদের পরিচয় সম্পর্কে জানা আজ সময়ের দাবি। তবে তাদের পরিচয় যাই-ই হোক না কেন, তাদের রক্ত যে ভাষা আন্দোলনে প্রাণ সঞ্চার করেছিল এটা অস্বীকার করা যায় না এবং তা করার মধ্যে কোনো গৌরবও নেই- বরং তা হবে চরম হীনম্মন্যতারই পরিচয়। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, দেশ বিভাগের পর থেকে ভাষা আন্দোলনের সূত্রপাত হয় এবং ৫২ সালের ২১ ফেব্রম্নয়ারি পরিণতি ঘটে। ওই দিন নুরুল আমিন সরকারের ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার জন্য ছাত্রছাত্রীরা একত্রিত হতে শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার শপথ নেয় এবং ১০ জন করে ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেন। পুলিশ প্রথম অবস্থায় ছাত্রদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করে, পরে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে। ওই দিন দুপুর ২টা পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকে। বিকেল ৩টার কিছু পর ছাত্রদের মিছিল প্রাদেশিক পরিষদে যাওয়ার পথে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনে আসতেই পুলিশ গুলি ছোড়ে।

মহান ভাষা আন্দোলনে কতজন শহীদ হয়েছিল তা সঠিকভাবে বলা যায় না। কারণ গুলিবর্ষণের পর পরই রাস্তায় পড়ে থাকা কিছু লাশ গায়েব করা হয় তার পরিসংখ্যান জানা যায় না। যারা আহত হয়ে মৃতু্যবরণ করেন তাদের সংখ্যা ও নির্ণয় করা যায়নি। তবে মরহুম হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত একুশের সংকলন ১ম সংস্করণ (১৯৫৩) ও পরবর্তীতে বিভিন্ন প্রাপ্ত তথ্য ৮ জনের মৃতু্যর কথা জানা যায়। তারা হলেন: রফিক উদ্দিন আহমদ, শহীদ হন ২১-২-১৯৫২। শহীদ রফিক ১৯৩২ সালে মানিকগঞ্জ জেলার অন্তর্গত সিংগাইর থানার পারিল নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ও মাতা যথাক্রমে মরহুম আব্দুল লতিফ ও রাফিজা খানম। রফিক মানিকগঞ্জ দেবেন্দ্র কলেজের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্র ছিলেন। ২১ ফেব্রম্নয়ারি গুলির আঘাতে শহীদ হন। আজিমপুর গোরস্থানে তাকে সমাহিত করা হয়। আব্দুল জোব্বার : শহীদ হন ২১-২-১৯৫২। আব্দুল জোব্বার ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত গফরগাঁও থানার পাচাইরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন (তার জন্ম তারিখ জানা যায়নি)। তিনি ছাত্র না অন্য পেশায় ছিলেন এ নিয়ে কিছু বিতর্ক থাকলেও ভাষা আন্দোলনকারীদের মতে ছাত্র ছিলেন। যা হোক, তার পিতার নাম মরহুম আব্দুল কাদের। মায়ের নাম শাফাতুন নেসা। শহীদ রফিকের সঙ্গে গুলিবিদ্ধ হন এবং ঘটনাস্থলে মারা যান। আবুল বরকত: শহীদ হন ২১-২-৫২। শহীদ আবুল বরকত মুর্শিদাবাদের অন্তর্গত ভতেপুর থানার বাবলা গ্রামে ১৯২৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তার পিতার নাম মরহুম সামসুদ্দীন। তিনি মিছিলে যোগদান করেন এবং গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন। ওই দিন রাত ৮টায় তিনি মৃতু্যবরণ করেন। আব্দুস সালাম : গুলিবিদ্ধ হন ২১-২-৫২ শহীদ হন ১৭-৪-৫২। শহীদ আব্দুস সালাম বর্তমান ফেনী জেলার লক্ষণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ফাজিল মিয়া। তিনি শিল্প ব্যাংকের একজন পিয়ন ছিলেন। ২১ ফেব্রম্নয়ারি পুলিশের নিষ্টুরতায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান ৫২ সালের ১৭ এপ্রিল। শফিউর রহমান : শহীদ হন ২২-২-৫২। শফিউর রহমান ১৯১৮ সালে ভারতের হুগলী জেলায় কোলস্নাঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মাহবুবুর রহমান। তিনি একই সঙ্গে হাইকোর্টের কর্মচারী ও আইনের ছাত্র ছিলেন। ২১ ফেব্রম্নয়ারি পরের দিন পাকি সরকারের অন্যায়, অত্যাচার, নির্বাচন, অগণতান্ত্রিক আচরণ ও হত্যার প্রতিবাদে মিছিল-সমাবেশে পুনরায় পাক সামরিক বাহিনী গুলি চলালে দুপুরের পূর্বেই তিনি গুলিতে আহত হন এবং সন্ধ্যায় হাসপাতালে মারা যান। তা ছাড়া অলিউলস্নাহ ও দু'জন অজ্ঞাত মারা যায়। যাদের সঠিক পরিচয় জানা যায়নি। তাদের মধ্যে অলিউলস্নাহর বয়স ছিল মাত্র ১০ বছর। তার পিতা হাবিবুর রহমান পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি ছিলেন। ২২ ফেব্রম্নয়ারি প্রতিবাদ মিছিলে অলিউলস্নাহ পুলিশের গুলিতে মারা যান। যা হোক, আমি আগেই উলেস্নখ করেছি ভাষা শহীদদের পরিচয় জানা আবশ্যক। তবে তারা সমাজের যেই স্তর থেকে আসুক না কেন, সেটা বড় পরিচয় নয়। বড় পরিচয় তাদের চরম আত্মত্যাগ ও আদর্শে বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে নতুন করে পরিচয় এনে দিয়েছে।

\হএকুশের চেতনা আমাদের বর্তমানের শক্তি, ভবিষ্যতের পাথেয়। আমাদের নিজস্ব সাংস্কৃতিক পরিচয় ও ঐতিহ্য সমুন্বত রাখতে হবে। ভাষা শহীদদের আত্মদানের প্রতি সম্মান জানাতে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে।

সালাম, বরকত, রফিকেরা জীবন দিয়েছিলেন বাংলা ভাষার জন্য, আমাদের সার্বভৌম সত্তার অবিকৃত রূপটি অক্ষুণ্ন্ন রাখার জন্য। আগামী দিনে আমাদের উচিত হবে তাদের আত্মদানের চেতনাকে লালন করা ও সমুন্নত রাখা। আজকের এ মহান দিনে বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানাই। সে সঙ্গে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা রেখে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।

মোহাম্মদ নজাবত আলী: কলাম লেখক ও শিক্ষক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<37701 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1