শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পাঠক মত

নতুনধারা
  ১৯ জুন ২০১৯, ০০:০০

চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ান

চট্টগ্রামে বাঁশখালীর প্রেমাশিয়া গ্রামের মরহুম ইউপি মেম্বার খলিলুর রহমানের বাড়িতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ পরিবার এখনও খোলা আকাশের নিচে রয়েছে। হতদরিদ্র এসব ৮ পরিবারের বাসগৃহ গত ২০ রমজান অগ্নিকান্ডে ভস্মীভূত হয়। উপজেলাধীর ৩নং খানখানাবাদ ইউনিয়নের প্রেমাশিয়া গ্রামের প্রাক্তন ইউপি মেম্বার খলিলুর রহমানের বাড়িসংলগ্ন ছৈয়দ আহমদ, আবদুল খালেক, আবদুল ছালাম, আবছার, ইউনুছ, আবদুর রশীদ, আবু ছাদেক ও ওবাইদুল হকদের পরিবার সবকিছু হারিয়ে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতরভাবে দিনাতিপাত করছে। একেতো দীর্ঘ ৪ যুগের কাছাকাছি সময় অত্র এলাকায় বেড়িবাঁধ না থাকার কারণে ঘূর্ণিঝড় ও সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে এবং স্বাভাবিক লবণাক্ত জোয়ারের পানিতে চাষাবাদ না হওয়াতে তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবর্ণনীয়ভাবে ক্ষয় ক্ষতির শিকার। তবে ৪২ বছর পর শেখ হাসিনার সরকারের নিকট এলাকাবাসীর জোড়ালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাঁধ নির্মাণের ফলে গত ২ বছর ধরে অত্র এলাকায় মানুষ জোয়ারের পানি হতে রক্ষা পেয়ে চাষাবাদ শুরু করে এবং অতীব কষ্টে বিধ্বস্ত বাড়িঘর সংস্কারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালায় এবং নূন্যতমভাবে বসতগৃহ তৈরি করে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে আসছে। ঠিক এমন সময়ে দুর্ঘটনাক্রমে রান্নার চুলার আগুনে উপরোক্ত ৮ পরিবার চোখের পলকে নগদ অর্থসহ মূল্যবান জিনিসপত্রসহ প্রায় ১ কোটি টাকার মতো ক্ষয়-ক্ষতির শিকার। এ পর্যন্ত যৎসামান্য আমাদের মতো কয়েকজন ব্যক্তি বিশেষের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সাহায্য ও স্থানীয় ইউপি কর্তৃপক্ষের সামান্য সাহায্যে আর্থিক উন্নয়ন ঘটেনি বিধায় জরুরি ভিত্তিতে নূ্যনতম বসতগৃহ নির্মাণের জন্য এককালীন নগদ অর্থ, গৃহ নির্মাণ সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় সাহায্য প্রদানের জন্য মাননীয় ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী, সাংসদ, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ বিনীতভাবে কামনা করছি।

এস এম ফরিদুল আলম

দামপাড়া, চট্টগ্রাম

শাসনের নামে শিশু নির্যাতন

বিশ্বে প্রতিদিন কতো শিশু নির্যাতিত হয় তার সঠিক হিসাব কারো কাছে আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু সব থেকে ঝামেলাময় প্রশ্ন হচ্ছে, শিশু নির্যাতন কাকে বলা হয়? ধরে নেয়া যাক, নিজের সন্তানকে যদি অন্য কেউ মারে, তাহলে তা অবশ্যই নির্যাতন বলে গণ্য হবে; কিন্তু নিজের সন্তানকে নিজেই প্রহার করলে তা হয়ে যায় 'শাসন'-অন্তত আমাদের দেশে। নিজের সন্তানের ওপর 'শাসন' কখনো নির্যাতনের পর্যায়ে চলে যাচ্ছে, তা দেখার বা প্রতিকার করার মানুষ বা সংস্থার বড় অভাব। এ নির্যাতন হতে পারে শারীরিক, কখনোবা মানসিক। এর কোনোটিই সমর্থনযোগ্য নয়। কিন্তু যে সন্তানদের আমরা প্রাণাধিক ভালোবাসি, তাদের মারধর করি কেন? শুধুই তারা অন্যায় করে বলে? পথে-ঘাটে তো আমাদের কতো অন্যায় সহ্য করতেই হয়। সেক্ষেত্রে তো আমরা মারধর করতে যাই না, এমনকি প্রতিবাদও করি না সবসময়। এর উত্তরটা কিন্তু সহজ হলেও মেনে নেয়া হয়তো কঠিন। পাঁচ-ছয় বা সাত বছরের শিশুদের গায়ে যখন আমরা হাত তুলি, তখন আমরা জানি তার প্রত্যাঘাত করার ক্ষমতা নেই, শারীরিকভাবে সে অনেক দুর্বল। রাস্তায় একজন শক্ত-সমর্থ মানুষ ধাক্কা মেরে গেলেও আমরা হজম করে নিই, কারণ মারের বদলে মার ফিরে আসবে বলে। অর্থাৎ যা এ পৃথিবীর নিয়ম, এক্ষেত্রেও তাই প্রযোজ্য- 'জোর যার মুলুক তার'!

বর্তমান বিশ্ব প্রতিযোগিতাময়। আর সেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্যই আজকের দিনের শিশুদের অনেক চাপের মধ্যে থাকতে হয়। পড়াশোনা, গান-বাজনা, খেলাধুলা, ছবি আঁকা- সবকিছুতেই আমরা শিশুদের উৎসাহ দেবো; কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা সময় তাদের মতো করেও কাটাতে দেবো; যে সময়টা হবে একান্তভাবে তাদের নিজেদের। বাবা-মা হিসেবে প্রত্যেকের দায়িত্ব নিজেদের সন্তানদের তাদের শৈশবটাকে উপভোগ করতে দেয়া।

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ

মিরপুর, ঢাকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<54202 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1