শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চরের জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার মানোন্নয়ন

উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে চরাঞ্চলের ৩৪ হাজার দরিদ্র পরিবারে উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বৃদ্ধি পাবে প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন, সরবরাহ ও গ্রহণের পরিমাণ। নারীরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হবে।
মো. শামীম সিকদার
  ০৮ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণে এবং চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প নামে তিন বছর মেয়াদি একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাণিসম্পদ খাতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণের মাধ্যমে প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য বিমোচন ত্বরান্বিতকরণ। উপকূলীয় চরাঞ্চলের লোকজন বিভিন্ন দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকে। এসব দুর্যোগের ফলে উপকূলীয় চরের অধিবাসীদের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়। ফলে তাদের জীবনমান পিছিয়ে যায়। সার্বিকভাবে এসব পিছিয়ে পড়া মানুষদের জীবনমান বৃদ্ধি করতেই উপকূলীয় চরাঞ্চলে দরিদ্র পরিবারের পুষ্টি এবং আয় বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনযাত্রার মানোন্নয়নই এ প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। এ ছাড়াও উপকূলীয় নারীদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করে গড়ে তোলা ও লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস করা এবং মুরগি, হাঁস ও ভেড়ার ক্ষুদ্র খামার স্থাপন করে ডিম ও মাংসের উৎপাদন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে কাজ করবে এ প্রকল্প।

উপকূলীয় অঞ্চলের নিজস্ব উৎপাদন থেকে পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণ না হওয়ায় ঘাটতি থাকে। ফলে এখানকার মানুষ অপুষ্টিতে ভোগে। বিশেষ করে চরের অধিবাসীদের অপুষ্টির মাত্রা বেশি থাকে। তারা আর্থিকভাবে দুর্বল থাকায় এ অভাব কোনোভাবেই পূরণ করতে পারে না। চরের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

এ প্রকল্পের আওতায় দেশের ২টি বিভাগের ৭টি জেলায় ১৬টি উপজেলায় ৬৮টি ইউনিয়নে ৩৪ হাজার ৪০৮টি দরিদ্র পরিবার সরাসরি উপকৃত হবে। ৯৫ কোটি ৩৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩ বছর মেয়াদি এ প্রকল্প শেষ হবে ২০২১ সালের ৩০ জুন। বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলার বেতাগী, পাথরঘাটা, তালতলী ও বরগুনা সদর, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া, গলাচিপা ও রাঙ্গাবালি এবং ভোলা জেলার চরফ্যাশন, দৌলতখান ও লালমোহন উপজেলা। চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মহেশখালী, নোয়াখালী জেলার কবিরহাট, ফেনী জেলার সোনাগাজী এবং লক্ষ্ণীপুর জেলার লক্ষ্ণীপুর সদর, কমল নগর ও রামগতি উপজেলায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। প্রকল্পভুক্ত এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রকল্প কর্তৃপক্ষ যৌথভাবে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সুফলভোগী বাছাই করা হবে। ইতোমধ্যে সুফলভোগী বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রকল্পের উপকরণ বিতরণ এবং মনিটরিংয়ের জন্য স্থানীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটির উপস্থিতিতে সুফলভোগীদের মাঝে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হবে। ইউনিয়নে নিয়োগকৃত লাইভস্টক ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর, সুফলভোগীদের প্রদেয় উপকরণসমূহের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করবেন। এ ছাড়াও এ কমিটি, সুফলভোগীরা যেন উপকরণসমূহের কোনো ধরনের অপব্যবহার করতে না পারে সে বিষয়ে মনিটরিং করবেন।

এ প্রকল্পের আওতায় ভেড়া, মুরগি, হাঁস, কবুতর ও ঘাসের প্রদর্শনী পস্নট এই ৫টি প্যাকেজের আওতায় ২৫ জন সুফলভোগী নিয়ে লাইভস্টক ফার্মার গ্রম্নপ গঠন করা হবে। প্রতি ইউনিয়নে সর্বোচ্চ ২০টি গ্রম্নপে ৫০০ জন সুফলভোগী প্রকল্পভুক্ত হবে। ইউনিয়নের প্রকল্পভুক্ত সুফলভোগীর মধ্যে একশ জনকে দেয়া হবে ৩টি করে ভেড়া, ২৫০ জনকে ২০টি করে খাকি ক্যাম্বেল হাঁস এবং ১৫০ জনকে ২০টি করে সোনালি মুরগি দেয়া হবে। এ ছাড়াও কবুতর পালনকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতি ইউনিয়নে ১ জনকে কবুতর এবং ৫ জনকে উন্নতমানের ঘাস উৎপাদনের প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ করা হবে। প্রতি সুফলভোগীর এসব প্রাণি রাখার জন্য একটি করে সেড সরবরাহ করা হবে। সুফলভোগীদের উন্নত প্রযুক্তি, সঠিক খামার ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা, এবং বাসস্থান সম্পর্কিত সব ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। সুফলভোগী প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে ভেড়া পালনকারীদের ৫০ ভাগ এবং হাঁস ও মুরগি পালনকারীদের মধ্যে শতভাগ নারীর অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। এসব প্রাণি পালন টেকসই করার জন্য বর্ষাকালে মুরগি ও ভেড়া এবং শুকনো মৌসুমে হাঁসের জন্য ৪ মাস খাবার ও প্রয়োজনীয় মেডিসিন ও ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে। উৎপাদিত ঘাস বিক্রির জন্য প্রতি উপজেলায় একটি করে ঘাসের বাজারের অবকাঠমো নির্মাণ করা হবে। এ বাজার স্থাপনের প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার প্রকল্প বহন করবে। সুফলভোগীদের এনিমেল হেলথ কার্ড প্রদান করা হবে। ইউনিয়ন পর্যায়ের কার্যক্রম দেখভাল করার জন্য প্রতি ইউনিয়নে ১ জন করে লাইভস্টক ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর নিয়োগ করা হয়েছে। প্রতিমাসে কমপক্ষে একবার লাইভস্টক ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর ও লাইভস্টক ফার্মার গ্রম্নপ সদস্যদের সমন্বয়ে উঠান বৈঠক করা হবে। বৈঠকে আলোচিত সমস্যাবলি লাইভস্টক ফিল্ড ফ্যাসিলিটেটর সমাধানের উদ্যোগ নেবেন।

প্রকল্পের কার্যক্রম জনগণকে অবহিত করার জন্য বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধি ও সরকারি- বেসরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রকল্পভুক্ত উপজেলাসমূহে মতবিনিময় শুরু হয়েছে। বরগুনার বেতাগী উপজেলায় আয়োজিত এ ধরনের একটি মতবিনিময় সভায় আয়োজকদের আমন্ত্রণে অংশ নিয়েছিলাম। এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত সকল পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গ এ প্রকল্পকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। এ সভার সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান এ প্রকল্পকে চরের মানুষের ভাগ্যন্নোয়নের মাইলফলক হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ফলে এ অঞ্চলের অসহায় ও দুঃস্থ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন ও জনগণের পুষ্টি ও আমিষের চাহিদা পূরণ হবে। তিনি সততার সঙ্গে সকল কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানান। সভায় উপস্থিত প্রধান অতিথি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় উপ-পরিচালক কানাই লাল স্বর্ণকার বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে এবং ভিশন-২১ বাস্তবায়নে এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উদ্যোগে উপকূলীয় চরাঞ্চলের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকার মানোন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প চালু করা হয়েছে।

চরাঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা আবর্তিত হয় নদীকে ঘিরেই। চরের মানুষের সুখ-দুঃখের শেষ নেই। কেননা, চরের জীবন মূল ভূখন্ড থেকে অনেকটাই আলাদা। স্বাস্থ্য, শিক্ষার মতো মৌলিক চাহিদা, জীবন-জীবিকা, অন্যান্য সেবা ও সুযোগ থেকে প্রায় বিচ্ছিন্ন চরের লাখো মানুষ। মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় চরাঞ্চলের স্বাস্থ্য সেবার অবস্থা খুবই করুণ। চরে কর্মসংস্থান ও আয়ের উৎস সীমাবদ্ধ। এমনো অনেক চর আছে সেখানে বংশানুক্রমে অনেক পরিবার শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। শুষ্ক মৌসুমে সুখের মুখ দেখলেও বর্ষা মৌসুমে ভাসমান জীবনযাপনে কষ্টের শেষ নেই তাদের। খরা শুষ্ক মৌসুমে বিশাল বিশাল চর জেগে উঠলে সেখানে আবাদ হয় মরিচ, ধান, শাক-সবজি ও মৌসুমি ফসল। চরের জনগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকার জন্য কৃষি, মৎস্য, গবাদি পশু ও পাখি লালন-পালনের ওপর নির্ভশীল। হাঁস, মুরগি ও ভেড়া চরাঞ্চলের প্রাকৃতিক পরিবেশ ও পরিবর্তনশীল জলবায়ুর সঙ্গে সহজে অভিযোজিত হতে সক্ষম। প্রচুর পরিমাণ চারণ ভূমি থাকায় চরে গড়ে ওঠে গরু-ছাগল পালনের খামার। চরের অধিবাসীর অধিকাংশই বেকার থাকায় অর্থনৈতিকভাবে তারা দুর্বল থাকে। এসব বিবেচনায় সরকার সম্পূর্ণ নিজস্ব উদ্যোগে উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে।

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট-এসডিজির ১৭টি অভীষ্টের ১৬৯টি লক্ষ্য মাত্রার ২৩২টি সূচকের মধ্যে উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে ৫টি অভীষ্ট সরাসরি যুক্ত রয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে এসডিজির যে সব অভীষ্ট অর্জন হবে তার মধ্যে রয়েছে : সর্বত্র সব ধরনের দারিদ্র্যের অবসান হবে (অভীষ্ট-১), ক্ষুধার অবসান, খাদ্য নিরাপত্তা ও উন্নত পুষ্টিমান অর্জন এবং টেকসই কৃষির প্রসার হবে (অভীষ্ট-২), জেন্ডার সমতা অর্জন এবং সকল নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন ঘটবে (অভীষ্ট-৫), সকলের জন্য পূর্ণাঙ্গ ও উৎপাদনশীল কর্মসংস্থান এবং শোভন কর্মসুযোগ সৃষ্টি, এবং স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে (অভীষ্ট-৮) এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও এর প্রভাব মোকাবেলায় জরুরি কর্মব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে (অভীষ্ট-১৩)। এ প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য এসডিজির উপরোক্ত অভীষ্ট বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে চরাঞ্চলের ৩৪ হাজার দরিদ্র পরিবারে উপার্জনের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বৃদ্ধি পাবে প্রাণিজ আমিষের উৎপাদন, সরবরাহ ও গ্রহণের পরিমাণ। নারীরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হবে।

এখানের নারীরা আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হবে, লিঙ্গ বৈষম্য হ্রাস পাবে এবং নারীর উন্নয়ন ঘটবে। চরাঞ্চলে ক্ষুদ্র খামারিরা ব্যবসায় উদ্যোগ গ্রহণে অনুপ্রাণিত হবে। অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সচেতনতা ও নৈপুণ্য বৃদ্ধি পাবে। প্রকল্পভুক্ত উপজেলা সদরে ঘাসের বাজার চালু হবে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। চরাঞ্চলের খামারিদের জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব হবে এবং খামারিরা বৈরী আবহাওয়ায় টিকে থাকার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবে। এ প্রকল্পের ফলে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় ক্ষতিগ্রস্ত চরবাসীর দুঃখ কষ্ট অনেকাংশে লাগব হবে।

প্রকল্প শেষে কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য সুফলভোগীদের নিয়ে লাইভস্টক কমিউনিটি বেসড অর্গানাইজেশন গঠন করে এর সদস্যরা উপকরণের নির্ধারিত মূল্য সঞ্চয় করবে। পরবর্তী সময়ে জমাকৃত এ অর্থ আয়বর্ধক কোনো প্রকল্পে বিনিয়োগ করা হবে। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ শেষে প্রকল্পের সুফলভোগী পরিবারগুলো লাইভস্টক কমিউনিটি বেসড অর্গানাইজেশনের মাধ্যমে প্রকল্পের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে। এই কমিটিকে সমবায় সমিতি আকারে নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে।

উপকূলীয় চরাঞ্চলের প্রাণিসম্পাদ নিয়ে এ ধরনের প্রকল্প এই প্রথম গ্রহণ করা হলো এবং এটা পাইলট প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত হবে। এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য সফলভাবে বাস্তবায়ন হলে হয়তো পরবর্তী সময়ে সারাদেশে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হতে পারে। তাই সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে অত্যন্ত আন্তরিকতা এবং সততার সঙ্গে কাজ করা প্রয়োজন। বর্তমানে আলোচিত রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎ প্রকল্পের বালিশ তোলার মতো যেন না হয়। আমার বিশ্বাস, এ প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সকল কর্মকর্তারা কৃচ্ছ্রতা ও সততার সঙ্গে কার্য সম্পাদন করবেন। নিজস্ব অর্থায়নে এ প্রকল্প গ্রহণ করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সুফলভোগীরা যেন প্রকল্প শেষে কার্যক্রম চলমান রাখতে প্রকল্পের পক্ষ থেকে লাইভস্টক কমিউনিটি বেসড অর্গানাইজেশনকে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধন করে দিলে সংগঠনের লক্ষ্যে পৌঁছা সহজ হবে। উপকূলীয় এলাকায় চরের লোকজনের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং পুষ্টি ও প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি মোকাবেলায় উপকূলীয় চরাঞ্চলে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। আমি এ প্রকল্পের কাঙ্ক্ষিত সফলতা কামনা করি।

মো. শামীম সিকদার : কলেজ শিক্ষক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<57155 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1