শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা সমাবেশ এক অশনি সংকেত

রোহিঙ্গাদের নিয়ে সরকারের ভাবার প্রয়োজন। যে সব আন্তর্জাতিক সংস্থা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছে তাদের উদ্দেশ্যটাও ক্ষতিয়ে দেখার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটি অগ্রগতির ধারার দেশ। বাংলাদেশে প্রতি বছরই প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। রোহিঙ্গা সমস্যা তীব্র হলে এই ইতিবাচক ধারা বাধাগ্রস্ত হবে।
শাহ মো. জিয়াউদ্দিন
  ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

কক্সবাজারে কুতুপালংয়ে গত ২৫ আগস্ট সম্পন্ন হয়ে গেল রোহিঙ্গাদের সমাবেশ। পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল একটি ঘটনা। সারা পৃথিবীর কোথাও শরণার্থী হিসেবে আশ্রিতরা এত বড় সমাবেশ করতে পেরেছে বলে জানা নেই। রোহিঙ্গাদের এই সমাবেশটি বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে হয়নি বরং রোহিঙ্গারাই পরোক্ষভাবে বাংলাদেশ সরকারকে হুমকি দেখালো। এ জন্য রোহিঙ্গা সমাবেশকে বিরল ঘটনা বলা যায় এই কারণ যে, রোহিঙ্গারা আশ্রিত দেশের প্রতি কৃতজ্ঞ না হয়ে আশ্রয়দাতা দেশটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানের শরণার্থী শিবিরে থাকা পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা কুতুপালংয়ের সমাবেশে মিলিত হয়। এই সমাবেশটি দেখে মনে হলো, রোহিঙ্গারা অবাধে এ দেশে চলাফেরা করছে। শরণার্থী হিসেবে রোহিঙ্গারা তাদের জন্য নির্মিত একেকটি শরণার্থী শিবিরে থাকার কথা। শরণার্থী শিবিরে আশ্রিতদের শিবির থেকে অন্য কোথাও গেলে শিবির নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে অনুমতিহীন এতবড় সমাবেশটি রোহিঙ্গারা সম্পন্ন করল কিভাবে? সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, তারা সমাবেশটি সম্পর্কে জানেন না। রোহিঙ্গাদের এত বড় সমাবেশ দেখে প্রশ্ন জাগে, রোহিঙ্গারা কেন বাংলাদেশে এলো? রোহিঙ্গারা কি মিয়ানমারে নিপীড়িত শোষিত জনগণ ছিল? তারা কি শোষণ নির্যাতন আর মিয়ানমারের জুলুমের হাত থেকে নিজেদের বাঁচানোর জন্য সে দেশ ছেড়েছে? তারা কি প্রকৃতার্থে অসহায় ও নির্যাতিত জনগোষ্ঠী? কোনো উদ্বাস্তুদের নিয়ে মানুষের মনে উপরোলিস্নখিত প্রশ্ন দেখা যায় না। পৃথিবীর সব উদ্বাস্ুত্মরাই অসহায়। কিন্তু রোহিঙ্গাদের বেলায় এই সমস্ত প্রশ্নগুলোর উদ্রেক হচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। রোহিঙ্গাদের সার্বিক কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করলে, প্রশ্ন জাগে রোহিঙ্গারা অন্য কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশে এসেছে? প্রকৃতার্থে রোহিঙ্গারা যদি অসহায়, নির্যাতিত ও নিপীড়িত উদ্বাস্তু হতো তাহলে বাংলাদেশে এরা যে সমস্ত অসামাজিক কার্যকলাপ চালাচ্ছে তা চালানোর মনমানসিকতা তাদের থাকত না। তা ছাড়া সরকার এই রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসান চরে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করেছে, সেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে রোহিঙ্গারা যেতে রাজি হচ্ছে না। কক্সবাজারে আশ্রয় কেন্দ্রগুলো কাঁচামাটির ঘর সঁ্যাতসেঁতে ঘিঞ্জি বস্তি অপরদিকে ভাসান চরে কোটি টাকা ব্যয়ের নির্মাণ করা হয়েছে পাকা বাড়ি। পাকা বাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্য জীবনযাপনের চাইতে কেন রোহিঙ্গারা কাঁচামাটির ঘিঞ্জি বস্তিতে জীবনযাপন করতে চায়। এ থেকে কি বুঝা যায়? বাংলাদেশে আসার পেছনে রোহিঙ্গাদের অন্য কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে? এটা ভাবলে কি ভাবনাটা অমূলক হয়ে যাবে?

\হরোহিঙ্গাদের জন্য শরণার্থী শিবির স্থাপন করতে গিয়ে কক্সবাজারের পরিবেশ মারাত্মকভাবে বিপন্ন হয়ে পড়ছে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার একর বনভূমি উজাড় হয়ে গেছে কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায়। অনুরূপভাবে হাজার হাজার একর ভূমির পাহাড় কেটে সমতল করে আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপনের উপযোগী করা হয়েছে। সরকারের প্রায় বাহাত্তর হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এই রোহিঙ্গাদের পেছনে। অথচ আজ এই রোহিঙ্গরা এ দেশের জন্য একটি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা নেতারা যে সমস্ত দাবি উপস্থাপন করেছেন তাদের মহাসমাবেশে তা কোন দেশের সরকারকে হুমকি দেখানোর জন্য? মিয়ানমারে তো রোহিঙ্গারা একটি নির্দিষ্ট এলাকায়ই বসবাস করতেন। মিয়ানমার ত্যাগের আগেও তারা সংগঠিত ছিলেন, তাহলে কেন তারা এই পাঁচ লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ মিয়ানমারের রোহিঙ্গা প্রদেশে ঘটাতে পারেনি। রোহিঙ্গারা ২৫ আগস্ট যে সমাবেশটি ঘটালো তা যদি মিয়ানমারে অভ্যন্তরে ঘটিয়ে মিয়ানমার সরকারকে হুমকি দেখাতে পারতো তাহলে তো তাদের আর দেশ ছাড়তে হতো না। রোহিঙ্গা সমস্যাটি মিয়ানমারের একদিনের ঘটনা না, ১৯৬২ সালে বার্মায় সামরিক জান্তা নে উইন ক্ষমতা দখলের পর থেকে চলে আসা একটি সমস্যা। এই সমস্যাটি রোহিঙ্গা নেতারা মিয়ানমারে থেকেই আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন করতে পারতেন। রোহিঙ্গারা যখন মিয়ানমারে ছিলেন তখন তারা নিজেদের নাগরিকত্ব ও মানবাধিকার বিষয়টি নিয়ে কতটা গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। এই বিষয়গুলো নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। কারণ রোহিঙ্গাদের যতটা অসহায় আর নিপীড়িত ভাবা হচ্ছে আসলে কি তারা ততটা অসহায় আর নিপীড়িত জনগোষ্ঠী। রোহিঙ্গরা এ দেশে এসে যেভাবে অস্ত্র তৈরিসহ নানা সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালাচ্ছে। তাতে কি প্রমাণ হয় তারা অসহায়, নির্যাতিত?

বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা নানা অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত। টেকনাফ ও উখিয়ার স্থানীয় অধিবাসী অর্থাৎ সাধারণ মানুষ রোহিঙ্গাদের আচরণে ক্ষুব্ধ। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত স্থানীয়দের মতামত থেকে ক্ষুব্ধ হওয়ার মূল কারণগুলো জানা যায়। স্থানীয় অধিবাসীরা বলছে, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অপহরণ, খুন, নারীর দেহব্যবসা, নারী পাচার, মাদক, ইয়াবা, চোরাকারবার অস্ত্র ব্যবসাসহ নানা রকমের অপরাধমূলক কাজে রোহিঙ্গারা জড়িত। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ৪৭১টি মামলা রয়েছে স্থানীয় থানায়। এই মামলাগুলোতে ১০২৮ জন রোহিঙ্গা আসামি হিসেবে আছেন। গত ২২ আগস্ট ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়। এই সমস্ত অপরাধমূলক কাজে রোহিঙ্গারা জড়িত থাকায় স্থানীয়দের দাবি রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে দেয়া, আর ঘিরে দিতে পারলে রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে না, আর অপরাধ অনেকটা কমে যাবে। বিভিন্ন অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা যায়, রোহিঙ্গারা চাচ্ছে, যে কোনো প্রকারে তারা টেকনাফ এবং উখিয়ার মূল ভূ-খন্ডে ঢুকে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিভিন্ন মৌলবাদী রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, এনজিওরগুলোর সঙ্গে রোহিঙ্গা নেতাদের যোগাযোগ রয়েছে আর তাদের মাধ্যমেই রোহিঙ্গরা এ দেশে অস্ত্র পাচ্ছে। এর ফলে স্থানীয়দের উদ্বেগ এবং আশঙ্কা হলো যে, যে কোনো সময় স্থানীয়রাই উদ্বাস্তু হয়ে পড়বে আর রোহিঙ্গরা তাদের অঞ্চল দখল করে নেবে। সরকার ইতোমধ্যেই ৪১টি এনজিওর কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছেন। এই এনজিওগুলোর মাধ্যমেও কিছু রোহিঙ্গা নাকি মূল ভু-খন্ডে প্রবেশ করেছে। রোহিঙ্গা শিবির বা শরণার্থী ক্যাম্প উখিয়া এবং টেকনাফে স্থাপন করায় সমগ্র এলাকাটিই এক অপরাধ জগতে পরিণত হয়ে গেছে। রোহিঙ্গরাদের হাতে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন- ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন। এই মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের মাদক ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সহজেই যোগাযোগ রাখতে পারছে। বাংলাদেশের মোবাইল ফোনের পরিসেবা মিয়ানমারের অভ্যন্তরে নয় কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। অপরদিকে মিয়ানমারের মোবাইল ফোনের পরিসেবাও বাংলাদেশের নয় কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। রোহিঙ্গাদের কাছে আছে উভয় দেশের মোবাইল ফোনের সিম। সুতরাং, উভয় দেশের অভ্যন্তরে এদের রয়েছে যোগাযোগ। বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদ থেকে জানা যায় রোহিঙ্গাদের কাছে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন কোম্পানির পাঁচ লাখের অধিক মোবাইল সিম রয়েছে। গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে এগার লাখ রোহিঙ্গা রয়েছে আর মোবাইল সিম ব্যবহারকারী সংখ্যা পাঁচ লাখ। তাতে কি প্রমাণ হয়। মোট রোহিঙ্গারা সংখ্যা ১১ লাখের অনেক বেশি হবে। কারণ শিশুরা তো মোবাইল ফোন ব্যবহারের কথা না। আশ্রিত রোহিঙ্গা শিবিরে বসবাসরতদের মধ্যে ৪৫ শতাংশের বেশিই শিশু এবং ১০-১৫ শতাংশ বৃদ্ধ। সুতরাং আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মোট সংখ্যা সম্পর্কে যে পরিসংখ্যান দেয়া হচ্ছে তাও সঠিক বলে মনে হয় না। তা ছাড়া একটি মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীকে দৈনিক ১০-২৫ টাকা কমপক্ষে ব্যয় করতে হয়, এই হিসেবে মাসে খরচ পড়ে ৩০০-৭৫০ টাকা। এনজিওরা বলে থাকেন রোহিঙ্গারা আর্থিকভাবে অসহায়, তাই যদি হয় তাহলে এই পাঁচ লাখ মানুষ শুধু মাত্র মোবাইল ফোনেই ব্যয় করেন মাসে উপরোলিস্নখিত টাকা। তাদের এ ধরনের ব্যয়ের কতটা প্রয়োজন আছে আর এই ব্যয়ের অর্থের জোগান আসে কোথা থেকে। বাংলাদেশের মোবাইল কোম্পানিগুলোর সিম ব্যবহার করা এবং সিম কেনার বিষয়ে কতগুলো নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ গ্রাহকরা মোবাইল পরিসেবা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে কিছু শর্তসাপেক্ষ থাকে। দেশের অভ্যন্তরে যে কোনো কোম্পানির মোবাইল সিম কিনতে হলে গ্রাহককে জাতীয় পরিচয়পত্র, ছবি, বায়োমেটিকস পদ্ধতি, আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে সংশ্লিষ্ট মোবাইল কোম্পানির কাছ থেকে সিম কিনে ব্যবহার করতে হয়। এখানে প্রশ্ন হলো, রোহিঙ্গারা কিভাবে এই সিমগুলো পেল? কাদের মাধ্যমে বা কিভাবে সিমগুলো রোহিঙ্গাদের হাতে গেল তার অনুসন্ধান করা প্রয়োজন। বিটিআরসি ইতোমধ্যেই মোবাইল কোম্পানিগুলোকে রোহিঙ্গাদের মোবাইল পরিসেবা গ্রহণ করার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এই নির্দেশ কতটা কার্যকর হবে তাও দেখার বিষয়। কারণ গত বছর ৯ অক্টোবর বিটিআরসি মোবাইল কোম্পানিকে এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে বলেছিল, কার্যত কোনো ফল হয়নি, বরং দেখা যায়, গত বছরের চাইতে এ বছর রোহিঙ্গা শিবিরে বাংলাদেশের মোবাইল সিম ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। রোহিঙ্গা আসার পর দেশের অভ্যন্তরে বেড়েছে ইয়াবা ব্যবসায়ীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে পাল্টে যাচ্ছে দেশের অভ্যন্তরে সংঘটিত হওয়া অপরাধের ধরন। রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে দেশের কিশোর অপরাধ বেড়ে গেছে আর কিশোর অপরাধ বাড়ার অন্তর্নিহিত কারণ কিশোররা নেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। রোহিঙ্গারা আসার পর থেকে সারাদেশে বেড়ে গেছে নেশার প্রভাব। নেশা জাতীয় দ্রব্য বিশেষ করে মিয়ানমারে তৈরি ইয়াবার সহজলভ্যতার কারণে কিশোররা আসক্ত হয়ে পড়ছে নেশার প্রতি দিন দিন।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে সরকারের ভাবার প্রয়োজন। যে সব আন্তর্জাতিক সংস্থা রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় হাত বাড়িয়েছে তাদের উদ্দেশ্যটাও ক্ষতিয়ে দেখার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ বর্তমান বিশ্বে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে একটি অগ্রগতির ধারার দেশ। বাংলাদেশে প্রতি বছরই প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। রোহিঙ্গা সমস্যা তীব্র হলে এই ইতিবাচক ধারা বাধাগ্রস্ত হবে।

অর্থনীতির এই প্রবৃদ্ধির বৃদ্ধির জন্য মূল কাজটি করে যাচ্ছে এ দেশের শ্রমসম্পদ। আর এই শ্রমশক্তির মূল জোগানদার হলো যুবকরা, এই যুবকরা যদি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে তাহলে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। আর দেশের মূল সম্পদ তরুণদের এভাবে নষ্ট করে দিতে পারলে দেশের আর্থিক অগ্রগতির চলন্ত গতিটা থেমে যাবে। রোহিঙ্গাদের কারণে দেশের পরিবেশ প্রতিবেশ নষ্ট হচ্ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে সামাজিক অপরাধ, এদের কারণে দেশের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়ছে নেশার জগৎ। সুতরাং, রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সরকারের সত্বর পদক্ষে নেয়ার প্রয়োজন। তা ছাড়া রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কি করে এভাবে সংগঠিত হয়ে পড়লো তার পেছনের শক্তিটি কোথায় তাও দেখা জরুরি। অনতিবিলম্বে রোহিঙ্গাদের এ দেশ থেকে তাড়াতে না পারলে দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেবে।

শাহ মো. জিয়াউদ্দিন: কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<66564 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1