রাষ্ট্রের একজন নাগরিক হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) থাকা খুবই জরুরি। বলতে গেলে জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপেই প্রয়োজন হয় জাতীয় পরিচয়পত্রের। আয়করদাতা শনাক্তকরণ নাম্বার, শেয়ার আবেদন ও বিও হিসাব খোলা, ড্রাইভিং লাইসেন্স তৈরি ও নবায়ন, পাসপোটের্র আবেদনের ও নবায়ন, যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, ট্রেড লাইসেন্স, চাকরির আবেদন, বীমা ও স্কিমে অংশগ্রহণ, বিয়ে বা তালাক রেজিস্ট্রেশন, স্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়, ব্যাংকের হিসাব, ব্যাংক ঋণ গ্রহণ বা পরিশোধ, নিবার্চনের ভোটার শনাক্তকরণ, সরকারি ভাতা উত্তোলন, সরকারি ভতুির্ক দেয়া, বিভিন্ন সাহায্য-সহযোগিতা, টেলিফোন-মোবাইলের সংযোগ, ই-টিকেটিং, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভতির্, আসামি ও অপরাধী শনাক্তকরণ, আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার পাওয়া, সিকিউরড ওয়েবে লগ-ইন করাসহ ব্যক্তিগত বিভিন্ন প্রয়োজনে জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু বহুল ব্যবহৃত এ জাতীয় পরিচয়পত্রে যদি ভুল থাকে তাহলেই ঘটে বিপত্তি। সকল কাজে ঘটে বিঘœ। অনেকসময় জাতীয় পরিচয়পত্রে ভুল থাকার কারণে অনেক গুরুত্বপূণর্ কাজ করতে পারে না অনেকে। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্র করার জন্য হালনাগাদের সময় নিভুর্ল তথ্য দিয়ে ফরম পূরণ করা হলেও অনেকের তথ্য এনআইডিতে ভুল আসে। বিশেষ করে পিতার নাম, মাতার নাম ও ঠিকানার ক্ষেত্রেই ভুল আসে বেশি। যার দরুন ভোগান্তিতে পড়তে হয় কাডর্ধারীর। আবার ভুল জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করতে গিয়েও দিতে হয় ধৈয্যের্র পরীক্ষা, পড়তে হয় বিভিন্ন সমস্যায়।
তাই জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করার সময় যেন খুব সতকর্তা অবলম্বন করা হয় সেদিকটি খেয়াল রাখতে হবে। তাহলেই একজন নাগরিক পেতে পারে একটি নিভুর্ল জাতীয় পরিচয়পত্র।