আজ তোমাদের জন্য বাংলা থেকে যোগ্যতাভিত্তিক
(পাঠ্যবই বহির্ভূত) অনুচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা করা হলো
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নাম্বার প্রশ্নের উত্তর দাও:
বাংলাদেশের জাতীয় খেলা হাডুডু। এই খেলার আরেকটি নাম কাবাডি। ক্রিকেট, ফুটবল বা হকি খেলার প্রচলন যখন এ দেশে ছিল না, তখন হাডুডু খেলাই ছিল সর্বাধিক প্রচলিত ও জনপ্রিয় খেলা। এটি বাংলাদেশের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলা। এই খেলার উৎপত্তিস্থল ফরিদপুর জেলা। হাডুডু হচ্ছে মুক্ত মাঠের উপযোগী খেলা। এ খেলায় আছে প্রচুর আনন্দ ও উত্তেজনা। হাডুডু খেলায় দুটি দল থাকে। প্রতি দলের অধীনে খেলোয়াড় থাকে ১২ জন। প্রতিবার সাতজনের দল নিয়ে খেলতে হয়। বাকি পাঁচজনকে রাখা হয় অতিরিক্ত হিসেবে। হাডুডু খেলার মাঠের মাপ ৪২ ফুট লম্বা ও ২৭ ফুট চওড়া। মাঠের ঠিক মাঝখানে দাগ কেটে মাঠকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। এই ভাগকে 'কোট' বলে। শিশু-কিশোরদের উপযোগী এ খেলাটি খেলতে প্রয়োজন হয় তীক্ষ্নবুদ্ধি, ক্ষিপ্রগতি, প্রবল শক্তি, সুচতুর কায়দা, দীর্ঘস্থায়ী দম ও সঠিক সিদ্ধান্ত। আমাদের গ্রামেগঞ্জে, পাড়ায়-পাড়ায়, মহলস্নায়-মহলস্নায়, বিদ্যালয়ে-বিদ্যালয়ে হাডুডু খেলার প্রতিযোগিতা হয়। বর্তমানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এই খেলার প্রচলন রয়েছে। আমাদের উচিত এই খেলাকে আরও জনপ্রিয় করে তোলা।
৩। নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেয়া হলো। নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দটি লেখো।
শব্দ শব্দার্থ
সর্বাধিক- সবচেয়ে বেশি
উৎপত্তি - জন্ম
মুক্ত - খোলা
কায়দা - কৌশল
দম - গৃহীত শ্বাস বা প্রশ্বাস
প্রচুর - অনেক
ক. নদীর - পাহাড়ে।
খ. পদ্মায় - ইলিশ মাছ পাওয়া যায়।
গ. মা আমাকে - স্নেহ করেন।
ঘ. - জীবন সবাই চায়।
ঙ. ইমন অনেকক্ষণ - ধরে রাখতে পারে।
৩। নাম্বার প্রশ্নের উত্তর :
ক. উৎপত্তি খ. প্রচুর গ. সর্বাধিক ঘ. মুক্ত ঙ. দম।
৪। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো
ক. হাডুডু খেলা শিশু-কিশোরদের জন্য উপযোগী কেন? পাঁচটি বাক্যে লেখো।
খ. একজন হাডুডু খেলোয়াড়ের পাঁচটি যোগ্যতা উলেস্নখ কর।
গ. হাডুডু খেলাকে কীভাবে আরও জনপ্রিয় করে তোলা যায়?
৪। নাম্বার প্রশ্নের উত্তর
(ক) হাডুডু খেলায় প্রচুর আনন্দ ও উত্তেজনা বিরাজ করে। এই খেলা শিশু-কিশোরদের শরীর গঠনে সাহায্য করে। প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি করে। মানসিক দৃঢ়তা অর্জিত হয়। এ কারণে খেলাটি শিশু-কিশোরদের জন্য উপযোগী।
(খ) হাডুডু বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। এই খেলাটি খেলতে একজন খেলোয়াড়ের বেশ কিছু যোগ্যতার প্রয়োজন হয়। তীক্ষ্নবুদ্ধি ও ক্ষিপ্রগতি এই খেলার অন্যতম যোগ্যতা। এ ছাড়াও প্রবল শক্তি, দীর্ঘস্থায়ী দম এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা। এই খেলার বিশেষ যোগ্যতা হিসেবে গণ্য করা হয়।
(গ) হাডুডু বাংলাদেশের জাতীয় খেলা। কিন্তু বর্তমানে ক্রিকেট, ফুটবল প্রভৃতি খেলার ব্যাপক প্রসারের ফলে হাডুডু খেলা হ্রাস পাচ্ছে। আমাদের সবার উচিত গ্রামেগঞ্জে, পাড়ায়-পাড়ায়, মহলস্নায়-মহলস্নায়, বিদ্যালয়ে-বিদ্যালয়ে এই খেলার আয়োজন করা। এ ধরনের আয়োজন করলে এই খেলার জনপ্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পাবে।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নাম্বার প্রশ্নের উত্তর দাও।
নিপা ধামরাই পাঠানটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। সে ও তার বন্ধুরা মিলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি বাগান তৈরি
করেছে। এ কাজে শিক্ষক আব্দুলস্নাহ হেল কাফী তাদের সহায়তা করেছেন। বাগানে তারা গোলাপ, বেলি, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা প্রভৃতি সুগন্ধি ফুলের গাছ লাগিয়েছে। এ ছাড়া বেগুন, টমেটো, পেঁপে ইত্যাদি সবজির গাছও আছে। প্রতিদিন টিফিনের সময় তারা গাছে পানি দেয়, আগাছা পরিষ্কার করে। গাছগুলো নিরাপদে বড় হওয়ার জন্য ওরা বাগানের চার পাশে বাঁশের কঞ্চির বেড়াও তৈরি করে। সেই বেড়া দিয়ে ওরা বাগান ঘিরে রাখে। এই কাজে বিদ্যালয়ের দপ্তরি আবুল ভাইও সাহায্য করে থাকেন। সবার পরিচর্যায় একসময় বাগান বিভিন্ন রঙের ফুলে ভরে ওঠে। ফুলের গন্ধে মৌমাছি ও বিভিন্ন রঙের প্রজাপতিরা এসে ভিড় করে। হঠাৎ দেখলে মনে হবে বাগানে প্রজাপতির মেলা বসেছে। সবজিগুলোও সবার নজর কাড়ে। সব মিলিয়ে বাগানের সৌন্দর্য তাদের মনকে আনন্দে ভরিয়ে তোলে।
৩। নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেয়া হলো। নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দ লেখ।
শব্দ - শব্দার্থ
প্রাঙ্গণ - উঠান
সহায়তা - সাহায্য
বন্ধু - অতি আপনজন
আগাছা - অপ্রয়োজনীয় গাছ
নজর - দৃষ্টি
পরিচর্যা - যত্ন
ক. রীমা তার মাকে রান্নায় - করে।
খ. রাতের তারা সবার - কাড়ে।
গ. একজন প্রকৃত - সুখে-দুঃখে পাশে থাকে।
ঘ. বিদ্যালয়ের সবুজ ঘাসে - ভরে উঠেছে।
ঙ. বাগানের - তুলে ফেলতে হয়।
৩। নাম্বার প্রশ্নের উত্তর:
ক. সহায়তা খ. নজর গ. বন্ধু ঘ. প্রাঙ্গণ ঙ. আগাছা।
৪। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখ।
ক. বাগান পরিচর্যা করার পাঁচটি নিয়ম লেখ।
খ. কীভাবে বাগানের সৌন্দর্য বাড়ানো যায়? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
গ. বাগান করার পাঁচটি উপকারিতা লেখ।
৪। নাম্বার প্রশ্নের উত্তর :
(ক) বাগান পরিচর্যা করতে হলে যা যা করতে হবে তা হলো বাগানের গাছগুলোতে নিয়মিত পানি দিতে হবে। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। বাঁশের কঞ্চির বেড়া তৈরি করে চারপাশ ঘিরে রাখতে হবে। বাগানের গাছের মাটি নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে। প্রয়োজনে বাগানের মাটির উর্বরতা বাড়ানোর জন্য জৈব সার ব্যবহার করা যেতে পারে।
(খ) যেভাবে বাগানের সৌন্দর্য বাড়ানো যায় তা হচ্ছে-
১. নতুন নতুন গাছ লাগিয়ে।
২. নানা রকমের ফুল, ফল ও সবজির চারা রোপণের মাধ্যমে।
৩. নিয়মিত পরিচর্যার মাধ্যমে।
৪. চারপাশের আগাছা পরিষ্কার করে।
৫. চারপাশে বাঁশের কঞ্চির বেড়া দিয়ে।