আজকের যায়যায়দিন

'নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ'- সেস্নাগান নিয়ে আজ থেকে শুরু হচ্ছে অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব-২০২০। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে এবারের আয়োজনে থাকছে ৭৪টি দেশের ২২০টি চলচ্চিত্র।

এ উৎসব ঘিরে নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো জমে উঠেছে। ব্যানার, ফেস্টুন ও আলোকসজ্জায় সাজানো হয়েছে জাতীয় জাদুঘর, কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগার, শিল্পকলা একাডেমি, অঁলিয়াস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন, মধুমিতা সিনেমা হল ও বসুন্ধারা সিটি স্টার সিনেপেস্নক্স ও সীমান্ত স্কোয়ার। এসব প্রতিষ্ঠানের মিলনায়তনে একযোগে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রদর্শিত হবে চলচ্চিত্রগুলো। চলচ্চিত্র প্রেমীদের মধ্যেও আনন্দ বিরাজ করছে। দেশ-বিদেশের নামকরা পরিচালক ও সিনে তারকারাও উপস্থিত থাকবেন এ উৎসবে।

অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, এমপি। উদ্বোধনীর পর প্রদর্শিত হবে স্পেন ও গ্রিসের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত চলচ্চিত্র 'উইন্ডো টু দ্য সি'। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল জিমেনেজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও তিনি উৎসবে উপস্থিত থাকবেন এবং এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগে জুরির দায়িত্ব পালন করবেন।

বরাবরের মতোই এবারের উৎসবেও রয়েছে এশিয়ান ফিল্ম প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, বাংলাদেশ প্যানারোমা, সিনেমা অফ দ্য ওয়ার্ল্ড, চিলড্রেন ফিল্মস, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম এবং উইমেন্স ফিল্ম মেকার বিভাগ। ২২০টি চলচ্চিত্রের মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য (৭০ মিনিটের বেশি) চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১১৭টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্রের সংখ্যা ১০৩টি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র আছে ২৬টি যার মধ্যে ১৮টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন এবং ৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য।

সাফল্যের পথে আদর-পুজার 'লিপস্টিক'

বাংলাদেশ প্যানোরমা বিভাগে বাংলাদেশের আটটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রচার-প্রসার ও আন্তর্জাতিক বাজার উন্নয়নের লক্ষ্যে উৎসব কমিটি এই বিভাগ পুনরায় সংযোজন করেছে। এই বিভাগে বাংলাদেশের নির্মাতাদের নির্মিত বাছাইকৃত ১০টি চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতার সুযোগ পাবে। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সমালোচক ফেডারেশন-ফিপ্রেসি বাংলাদেশ প্যানোরমা বিভাগে সমালোচক পুরস্কার দেবে। ফিপ্রেসির তিন সদস্যবিশিষ্ট জুরিবোর্ড নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলো থেকে 'শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র' জন্য একটি পুরস্কার প্রদান করবে। পুরস্কার হিসেবে থাকছে সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট।

এছাড়া চিলড্রেনস বিভাগে ১৫টি শিশুতোষ চলচ্চিত্র, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস বিভাগে ৩৮টি ছবি, উইমেন ফিল্ম মেকারস সেশনে দেশ ও বিদেশের নারী নির্মাতাদের ২৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং প্রামাণ্যচিত্র, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্মস বিভাগে ৫৮টি ছবি প্রদর্শিত হবে।