আজকের যায়যায়দিন

'বাংলার বস' আর 'বাংলার সম্রাট' নিয়ে কোরবানির পশুহাট বাজিমাত করার স্বপ্ন দেখছেন খামারি আসমত আলী গাইন। বিশালাকার দুই ষাঁড়কে মোটাতাজাকরণ করে প্রস্তুত করেছেন কোরবানির জন্য। দুই গরুর দাম হাঁকিয়েছেন ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বড় হাতির সমান 'বাংলার বস'র দাম নির্ধারণ করেছেন ৫০ লাখ টাকা। ব্যাপারিরা ৩০ লাখ পর্যন্ত দাম উঠিয়েছেন। 'বাংলার বস' আর 'বাংলার সম্রাট'কে দেখতে প্রতিদিনই আসমতের খামারে ভিড় করছেন উৎসুক দর্শনার্থীরা।

খামারি আসমত আলী গাইন যশোরের মণিরামপুর উপজেলার হুরগাতি গ্রামের মৃত রজব আলী গাইনের ছেলে। গত ২৫ বছর ধরে তিনি গরু পালন করেন। মীম ডেইরি ফার্মের নামের খামারে ইতোপূর্বে দুধের গাভী পালন করে আসছিলেন। গত বছর শখের বশে উন্নত জাতের এঁড়ে গরু কিনে সুষম খাদ্য, উপযুক্ত চিকিৎসা, নিয়মিত পরিচর্যা শুরু করেন।

খামারি আসমত আলী গাইন জানান, গত বছর কোরবানির ঈদের কয়েকদিন আগে যশোরের নিউমার্কেট এলাকার হাইকোর্ট মোড়ের খামারি মুকুলের কাছ থেকে 'বাংলার বস'কে ১৭ লাখ টাকায় কেনেন। আর 'বাংলার সম্রাট'কে কেনেন ৮ লাখ টাকায়। দানাদার ও লিকুইড খাদ্য হিসেবে খৈল, গম, ভুট্টা, বুট ও ছোলার ভুষি, চিটাগুড়, ভিজানো চাল, খুদের ভাত, খড়, নেপিয়ার ঘাস ও কুড়া মিলে দিনে দু'বার মোট ৮০ থেকে ৯৫ কেজি খাদ্য খাওয়ানো হয়। এছাড়া নিজের প্রশিক্ষণ থাকায় তিনি নিজেই গরুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা চিকিৎসা করেন।

তিনি আরও জানান, 'বাংলার বস' নামের ষাঁড়টি ফ্রিজিয়ান জাতের। এর ওজন এখন ২৬০০ কেজি অর্থাৎ প্রায় ৬৫ মণ। তার ধারণা, এবারের ঈদের পশুহাটে এর চেয়ে বড় গরু আর উঠবে না। আর 'বাংলার সম্রাট'র দাম উঠেছে ১৫ লাখ টাকা। এটির দাম ৩০ লাখ টাকা হাঁকিয়েছেন তিনি। মণিরামপুরের ভোজগাতি গ্রামের বৃদ্ধ সালাম বিশ্বাস বলেন, তার ৮০ বছর বয়েসে এত বড় গরু দেখেননি। একই কথা জানান, গরু দেখতে আসা উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের আমিনপুর গ্রামের শাহেরা বেগম, জয়পুর গ্রামের আকতার আলী।

সেচপাম্প বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত চার জেলার কৃষক লক্ষাধিক নলকূপে উঠছে না পানি / পদ্মা ও গড়াই নদী এখন ধু-ধু বালুর চর