শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাড়ছে নদীর পানি, বন্যার শঙ্কা

জিল্লুর রহমান পলাশ, গাইবান্ধা
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ০০:০০
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়ায় যাতায়াতে দুভোর্গ বেড়েছে মানুষের Ñযাযাদি

উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার নদনদীর পানি বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে নদীর তীরবতীর্ নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলসহ বেশকিছু এলাকা প্লাবিত হয়ে তলিয়ে গেছে রোপা আমন ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলি জমি। এ ছাড়া ক্ষেতে বিভিন্ন এলাকায় তীব্র আকার ধারণ করছে নদী ভাঙন। এতে নদী তীরবতীর্ এলাকার মানুষের মধ্যে বন্যা ও ভাঙন আতষ্ক দেখা দিয়েছে।

সোমবার সকালে গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি ঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ৭ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়া শহর রক্ষা বঁাধ ঘাঘট পয়েন্টে পানি বিপদসীমা ছুঁইছুঁই করছে। তিস্তা, যমুনা, করতোয়া ও ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

পানি বাড়ার কারণে গাইবান্ধার সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বেশকিছু চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বিভিন্ন চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার আমন ক্ষেত, বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। এ ছাড়া তলিয়ে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কঁাচা রাস্তাঘাট। ফলে এসব এলাকার মানুষ এখন নৌকা ও ভেলায় যোগাযোগ করতে দুভোর্গ পোহাচ্ছেন।

প্রতিদিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বড় ধরনের বন্যার আতষ্কে রয়েছেন চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দারা। এ ছাড়া পানিতে তলিয়ে যাওয়া রোপা আমনসহ বিভিন্ন জাতের ফসলের ক্ষয়ক্ষতির আশষ্কায় দুশ্চিন্তা ও দিশেহারা কৃষকরা।

এদিকে, কয়েকদিনে পানি বৃদ্ধি আর স্রোতে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদীর তীরবতীর্ এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অন্তত শতাধিক পরিবার ভাঙনের শিকার হয়ে তাদের বসতবাড়ি ও অবাদি জমি হারিয়েছেন। হুমকির মুখে শতশত বসতভিটে, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানসহ গুরুত্বপূণর্ স্থাপনা।

তবে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে সদরের কামারজানি, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, লালচামার, ফুলছড়ির উড়িয়া ও সাঘাটার হলদিয়াসহ বেশ কিছু এলাকায় ভাঙন আতষ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। অনেকে বসতভিটে ছড়িয়ে ছুটছেন উঁচু জায়গা আর নিরাপদ আশ্রয়ে। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল জানান, বন্যায় মানুষের জানমাল রক্ষা সকল ধরনের প্রয়োজনী প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় ত্রাণ সহায়তার দেয়া হবে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোডের্র উপ-সহকারী প্রকৌশলী এটিএম মোনায়েম হোসেন জানান, ভাঙন এলাকা ও ঝুঁকিপূণর্ এলাকা চিহ্নিত করে জরুরি ভিত্তিতে কাজ করাসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<13016 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1