আজকের যায়যায়দিন

ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর ধুনটমোড়, হামছায়াপুর, শেরুয়াবটতলার দুই পাশে ড্রেন না করায় চলতি মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় সেসব পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। বাসস্ট্যান্ড পৌরসভার আওতায় থাকায় ড্রেন থাকলেও তা সংস্কার না করার ফলে রাস্তার দুই পাশে ময়লা-আবর্জনা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি জমিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়ছে জনগণ।

জানা যায়, শেরুয়াবটতলা থেকে ধুনটমোড় এলাকা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে গত কয়েক বছর পূর্বে রাস্তার দু'পাশে কিছুটা খুঁড়ে দেয়া হলেও তা যথেষ্ট নয়। বর্তমানে এসব ড্রেন ময়লায় ভর্তি হয়ে যাওয়ায় কোনোভাবেই পানি নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বিভিন্ন ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানের সামনে নিজের উদ্যোগে ব্যবসায়ীরা তাদের মতো করে ড্রেন করছে। আর তারপরেও অনেক জায়গায় ড্রেন করা হয়নি। আবার অনেকে মাটি ঢেলে ড্রেন বন্ধ করে দিয়েছে। বর্তমানে দেখা গেছে, দু'পাশে ড্রেনের পানি চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। চলতি বৃষ্টি মৌসুমে এখন পর্যন্ত যেটুকু পানি হয়েছে সব পানিই ময়লা-আবর্জনার কারণে ড্রেনের মধ্যে জমা হয়ে আছে। ফলে ধুনটমোড়, হামছায়াপুর, শেরুয়াবটতলা, এলাকায় পানির মধ্যে থাকা ময়লা-আবর্জনা পচে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে এবং বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌরসভার আওতায় হওয়ায় ড্রেন থাকলেও সেগুলোর সংস্কার না করায় পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না। রাস্তার দু'পাশে জলাবদ্ধ সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় এলাকাবাসী দাবি করেন, রাস্তার দুই পাশে ড্রেন নির্মাণ না করলে চলমান প্রবল বর্ষায় ওই খুঁড়ে দেয়া ড্রেন দিয়ে পানি নিষ্কাশন হওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। বর্তমানে এসব ড্রেনে ময়লায় ভর্তি হয়ে আছে সেগুলোও কেউ পরিষ্কার না করায় পচে গিয়ে আরও দুর্গন্ধ সৃষ্টি হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিয়াকত আলী সেখ জানান, বিভিন্ন জায়গায় পানি জলাবদ্ধতার কথা শুনেছি। অতি শিঘ্রই এর সমাধান করা হবে।