শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চারঘাটে গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা

গোয়ালন্দ, শ্রীপুর কোম্পানীগঞ্জ ও পার্বতীপুরে চার লাশ উদ্ধার
নতুনধারা
  ১৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক

রাজশাহীর চারঘাটে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, গাজীপুরের শ্রীপুর, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও দিনাজপুরের পার্বতীপুর থেকে স্কুলছাত্রীসহ চারজনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রতিনিধি ও সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর:

চারঘাট (রাজশাহী): রাজশাহীর চারঘাটে নাসিমা নামে তিন সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের ফতেপুর মন্ডলপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নাসিমা মন্ডলপাড়া গ্রামের তুফান শেখ ওরফে ভবেশের স্ত্রী। চারঘাট মডেল থানা পুলিশ নাসিমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নাসিমার বাবা সিরাজ আলী জানান, ভবেশ প্রায় ৩-৪ বছর ধরে ঋণে জড়িয়ে পড়ে। এ কারণে সংসারে অভাব দেখা দেয়। ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করা নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ভবেশ নাসিমাকে মারধর করে গলায় তার পেঁচিয়ে হত্যা করে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

চারঘাট মডেল থানার ওসি সমিত কুমার কুন্ডু বলেন, এ ঘটনায় নাসিমার বাবা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে হাজতে পাঠানো হয়েছে।

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী): রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া যৌনপলস্নী থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাথী আক্তার (২৮) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাথী পলস্নীর খুশী বাড়িওয়ালীর ভাড়াটিয়া ছিল। নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

জানা গেছে, ঠিকমতো আয় করতে না পারায় তার স্বামী সাহিনের সঙ্গে সাথীর প্রায় ঝগড়া হতো। সাহিনের বাড়ি উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাহিন সাথীকে পলস্নীর ভিতর মারধর করে। এরপর সাথী নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আশপাশের মেয়েদের সন্দেহ হলে তারা সাথীকে ডাকাডাকি করতে থাকে। কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে সাথীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার এসআই শরিফুল ইসলাম জানান, সাথীর আত্মহত্যার ব্যাপারে তাদের কাছে সঠিক কোনো তথ্য নেই। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের গাড়ারণ গ্রামে আন্নী আক্তার বাঁধন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় সে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। বুধবার সকালে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। বাঁধন ওই গ্রামের বাদল মিয়ার মেয়ে। সে শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শ্রীপুর থানার এসআই আবদুল মালেক জানান, মঙ্গলবার রাতে সে ঘরে ঘুমাতে যায়। সকালে তার কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলতে দেখে পরিবারের লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তার আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী): নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ। বুধবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে রাস্তার পাশে একটি ধানক্ষেতে স্থানীয়রা অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেয়। পরে কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার রাতে কেউ তাকে হত্যা করে লাশ ধানক্ষেতে ফেলে গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৫০) লাশ উদ্ধার করেছে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ। বুধবার দুপুরে পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশনের ২নং পস্নাটফরমের ওভার ব্রিজের নিচ থেকে তার লাশ উদ্ধার হয়।

পার্বতীপুর রেলওয়ে থানার ওসি সুকুমার চন্দ্র বর্মণ জানান, রেলওয়ে জংশনের ২নং পস্নাটফরমের ওভার ব্রিজের নিচে এক ব্যক্তির মৃতদেহ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার মৃতু্যর আসল কারণ জানা যায়নি। তার মুখে কাঁচাপাকা দাড়ি ও পরনে জরাজীর্ণ কাপড় ছিল। এ ব্যাপারে পার্বতীপুর রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃতু্য মামলা করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<75406 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1