শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
জটিলতার অবসান

সহসাই ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৬ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ সাড়ে আট মাস পর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জটিলতা দূর হয়েছে। সংগঠনটির বর্তমান ও সাবেক শীর্ষ নেতাদের মধ্যে যেসব বিষয় নিয়ে মতানৈক্য ছিল তা কেটে গেছে। গত এক সপ্তাহ ধরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটির ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছায়। এরইমধ্যে বিভিন্ন তালিকা ও প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে একটি খসড়া তালিকা প্রধানমন্ত্রী বরাবর জমা দিয়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার ব্রম্ননাই থেকে ফেরার আগেই ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়, যা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমাও দেয়া হয়েছে। শ্রীলঙ্কার জঙ্গি হামলার কারণে কমিটি ঘোষণায় কয়েকদিন সময় লাগতে পারে বলে জানা গেছে। সবকিছুই নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মতির উপর।

আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ৭ দিনের মধ্যে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় নেতাদের তাগিদ দেন। ১৬ এপ্রিল রাতে ছাত্রলীগের নেতারা দেখা করতে গণভবনে গেলে এমন নির্দেশনা দেন তিনি।

সূত্রমতে, গত ১৮ এপ্রিল আওয়ামী লীগের শীর্ষ চার নেতা বর্তমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে দ্রম্নত কমিটি গঠনের বিষয়ে নির্দেশনা দেন। ১৯ এপ্রিল রাতে আওয়ামী লীগের যৌথসভা শেষে ধানমন্ডির কার্যালয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে নিয়ে আবার জরুরি বৈঠকে বসেন দায়িত্বপ্রাপ্ত চার নেতা। ওই বৈঠকে সমন্বয়ের জন্য উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগের চার নেতা হলেন- দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহা উদ্দিন নাছিম ও বিএম মোজাম্মেল হক।

এরপর গত রোববার ধানমন্ডি কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় নেতার উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের বর্তমান ও সাবেক নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বৈঠক হয়। কিন্তু কমিটি গঠনের বিষয়ে সমাধান হয়নি। সাবেক নেতারা রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এমন কিছু নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু কয়েকজনকে পদ দিতে আপত্তি তোলেন বর্তমান নেতারা। ওইদিন সুরাহা না হওয়ায় বিষয়টি নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় আবারও বৈঠকে বসেন ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা। সেখানেও দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার বিকালে বৈঠক করার কথা থাকলে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরায় ওই বৈঠক হয় রাতে। সেখানে সবাই ঐকমত্যে পৌঁছান বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মূলত ছাত্রলীগের শীর্ষ দুই নেতার দ্বন্দ্বে আংশিক কমিটি গঠন করার সাড়ে ৮ মাস পর ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার তোড়জোড় শুরু হয়। সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী দীর্ঘ সময়েও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে না পারায় আওয়ামী লীগের উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপে কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয় সদ্য বিদায়ী সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনকে। তবে এতেও সাড়া না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরইমধ্যে ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে কমিটি নিয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতারা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<46885 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1