শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লবণবোঝাই গাড়িতে করে ঢাকায় দুই লাখ ইয়াবা

যাযাদি রিপোটর্
  ০৯ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০
রাজধানী ঢাকার পূবার্চল এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ছবিটি বুধবার র‌্যাবের মিডিয়া সেল থেকে তোলা Ñযাযাদি

রাজধানী ঢাকার পূবার্চল এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)। মঙ্গলবার রাতে ইয়াবার এই বিপুল চালান আটক করা হয়।

র‌্যাব জানায়, লবণবোঝাই দুটি গাড়িতে করে দুই লাখ ছয় হাজার পিস ইয়াবা কক্সবাজার থেকে ঢাকায় আনা হয়েছিল। পূবার্চল এলাকায় আনা এসব ইয়াবার বাজারমূল্য সাত কোটি ২১ লাখ টাকা।

বুধবার সকালে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। তিনি বলেন, কক্সবাজার থেকে লবণবোঝাই দুটি গাড়িতে ইয়াবার বড় চালান ঢাকায় এসেছেÑ এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের গোয়েন্দারা গোপনে ওই গাড়ি দুটি শনাক্ত করেন। গাড়ি দুটির গতিবিধি অনুসরণ করতে থাকেন তারা। এভাবেই ধরা পড়ে ইয়াবার এই চালান। এ ঘটনায় চার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা ওই দুই গাড়িচালক ও সহকারী।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. মানিক মিয়া (২৭), মো. আরিফ (২২), মো. মাসুম মিয়া (৪০), আবদুল খালেক (২৮)।

মুফতি মাহমুদ খান বলেন, বিশেষ কৌশলে ইয়াবার চালানটি ঢাকায় এনেছিলেন মাদক ব্যবসায়ীরা। একসঙ্গে দুটি গাড়িতে ইয়াবার চালান আনা হয়। প্রথম গাড়িতে ১০ হাজার পিস ও পরের গাড়িতে প্রায় দুই লাখ পিস ইয়াবা আনা হয়। এসব ক্ষেত্রে দেখা যায়, প্রথম গাড়ি ধরা পড়লে সেটি নিয়ে ব্যস্ত থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পরেরটি এই ফঁাকে নিবিের্ঘœ চলে যেতে পারে। এই বুদ্ধি কাজে লাগাতে চেয়েছিলেন তারা। তবে তারা ব্যথর্ হন।

গ্রেপ্তার হওয়া চারজন বলেন, এই চক্রের সদস্য ১৫-২০ জন, যারা সবাই পরিবহন-সংশ্লিষ্ট খাতে কমর্রত। নিজেদের পেশার আড়ালে গোপনে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তারা। গত এক বছরে আটটি চালান পাচার করেছে এই দল।

এই চক্রের নিয়ন্ত্রণকারী টেকনাফের রফিক দালাল এবং ব্যবস্থাপনার সাবির্ক দায়িত্বে রয়েছে চালক মাসুম। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা জানান, পরিবহন খাতে এ ধরনের আরও বেশ কয়েকটি চক্র রয়েছে। কক্সবাজারের স্থানীয় কিছু দালাল মাদক ডিলারদের যোগসাজশে পণ্যবাহী পরিবহনের চালক ও সহকারীকে মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দেখিয়ে তাদের গাড়িতে ইয়াবা পরিবহনের জন্য প্রলুব্ধ করে থাকেন। এ জন্য ওই দালালরা একটি লভ্যাংশ পেয়ে থাকেন। মাদক লেনদেনের অথর্ সাধারণ ব্যাংক, ইলেকট্রনিক মানি ট্রান্সফার বা হুন্ডির মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়ে থাকে বলে জানান গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<7218 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1