শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১
সাক্ষাৎকার

হুমকির মাঝেও আশাবাদী বৈশাখী সাঈদ

ডিএসসিসি ওয়ার্ড ৯
নতুনধারা
  ২৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখী

যাযাদি রিপোর্ট

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ক্যাডাররা প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি এবং প্রচারণার কাজে বাধা দিলেও সুষ্ঠু নির্বাচনে হলে নিশ্চিত জয়ের আশা করছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ফারহানা আহম্মেদ বৈশাখী (বৈশাখী সাঈদ)। তিনি এ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা মমিনুল হক সাঈদের স্ত্রী। তার দাবি, তার স্বামী সাঈদ কাউন্সিলর থাকাকালীন স্থানীয় জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি এলাকার সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেছেন, যা সেখানকার ভোটারদের মনে দাগ কেটে আছে। তাই তারা সুযোগ পেলে নিশ্চিত তাকে ভোট দিয়ে কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত করবেন। এলাকাবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতেই তিনি প্রার্থী হয়েছেন বলে দাবি করেন বৈশাখী।

তিনি জানান, স্বামী দেশে না থাকায় প্রতিদিন মেয়েদের কয়েকটি দল নিয়ে নির্বাচনী এলাকায় ঘুরে ঘুরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে এ ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী নানাভাবে তাতে বাধা দিচ্ছেন। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য প্রচারণায় অংশ নেওয়া মেয়েদের ওপর হামলা ও কর্মী-সমর্থকসহ তাকে নানা হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এসব ঘটনায় মতিঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরি ও নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

সম্প্রতি তার স্বামী যুবলীগ নেতা মমিনুল হক সাঈদকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা চললেও এতে কান দিতে নারাজ বৈশাখী। তার দাবি, সাঈদ কাউন্সিলর থাকাকালীন এলাকাবাসীর নিরাপত্তাসহ সার্বিক উন্নয়ন করেছেন। তিনি দেশের বাইরে যাওয়ার পর থেকে পুরো ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার ফকিরাপুল এলাকায় মহিলাদের নিয়ে লিফলেট বিতরণ করার ফাঁকে যায়যায়দিনকে তিনি জানান, যুদ্ধ করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। নিজেদের মানুষের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি ও নানা ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। কিন্তু যেকোনো মূল্যে নির্বাচনী মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকবেন। তার ভাষ্য, তিনি এবং তার বেশির ভাগ কর্মী নারী হওয়ায় নানা ধরনের হুমকি আসছে। তবে এতে বিচলিত নন তিনি।

বৈশাখী বলেন, 'হুমকি, ভয়ভীতি যেমন আছে তেমনি সাধারণ জনগণের ভালোবাসাও পাচ্ছি। আমার স্বামী গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছিলেন। তিনি এলাকার উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। তার সাথে থেকে আমিও এলাকার মানুষের সেবা করেছি। এবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে জনগণকে আরও বেশি সেবা করতে চাই। আশা করি এলাকার মানুষ আমাকে বিমুখ করবেন না।'

বৈশাখী জানান, মমিনুল হক সাঈদ নিজের পকেটের টাকা দিয়েও এলাকার উন্নয়ন করেছেন। তাই মানুষ এখন তার অবদানের কথা উপলব্ধি করে। এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানো, ড্রেনেজ উন্নয়ন, রাস্তার মাথায় গেট লাগানো, চুরি ছিনতাই বন্ধে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে সাঈদ। তার স্ত্রী হিসেবে অন্তরাল থেকে তিনিও অনেক মানুষের উপকার করেছেন। তাই মানুষের প্রতিদান হিসেবে এখন ভালোবাসা ও সমর্থন পাচ্ছেন। প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে শেষ পর্যন্ত ভোটের মাধ্যমে নিজের বিজয় নিশ্চিত করতে চান তিনি।

প্রসঙ্গত, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ এ ওয়ার্ডে গতবার কাউন্সিলর ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মমিনুল হক সাঈদ। নানা বিতর্কে দল ও কাউন্সিলর পদ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তিনি। আসন্ন নির্বাচনে দলীয় সমর্থন থেকেও বাদ পড়েছেন। হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী। কিন্তু এখন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে নামেননি সাঈদ। তবে মাঠ ছাড়েননি তার স্ত্রী বৈশাখী। ঠেলাগাড়ি প্রতীক নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন তিনি। সাঈদ বর্তমানে চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে অবস্থান করছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<85728 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1