সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিডিআরে বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে আরও ঘাঁটাঘাঁটি করতে গেলে কেঁচো খুঁড়তে বিষধর সাপের মতো বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার 'সম্পৃক্ততা' বেরিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরে শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, 'সর্বশেষ ২৫ ফেব্রম্নয়ারি সেই পিলখানা ট্র্যাজেডি, পিলখানা ট্র্যাজেডি নিয়ে বিএনপি এখনও মিথ্যার বেসাতি করে যাচ্ছে। বিএনপির মহাসচিব বলেছেন, তারা ক্ষমতায় এলে পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার করবে।
"ফখরুল সাহেব নতুন করে বিচার করতে গেলে ওই কেঁচো খুঁড়তে গেলে অনেক বিষধর সাপ বেরিয়ে আসবে। সেই ২৫ ফেব্রম্নয়ারি, যিনি বেলা ১২টার আগে ঘুম থেকে উঠেন না, সেই বেগম জিয়া সকাল ৭টায় ঘুম থেকে উঠে কোথায় পলায়ন করলেন? দুই দিন ধরে তার কোনো খবর নাই, খোঁজ নাই, হদিস নেই- সেই রহস্য নতুন বিচার করতে গেলে বেরিয়ে আসবে। কেঁচো খুঁড়তে গেলে সাপ বেরিয়ে আসবে।
"এবং বেরিয়ে আসবে যিনি দুপুর ১২টার আগে ঘুম থেকে উঠেন না, ভোর ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত তারেক রহমানের সাথে দুই ঘণ্টাব্যাপী ১১ বার টেলিফোনে কী কথা-বার্তা হয়েছে? নতুন বিচার করতে গেলে এই রহস্য উদঘাটন করা হবে। কী কথা হয়েছিল মা-ছেলের, সেটাও জাতি জানতে পারবে। কাজেই কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বিষধর সাপ বের করবেন না। এটা নিয়ে যতই ঘাঁটাবেন নিজেরাই জালে পড়বেন। ধরা পড়বেন। এই হত্যাকান্ডে আপনাদের সংশ্লিষ্টতা ভালোভাবে উদঘাটিত হবে।"
২০০৯ সালের ২৫-২৬ ফেব্রম্নয়ারি পিলখানায় ওই বিদ্রোহের ঘটনার বিচার করে বাংলাদেশ নজির সৃষ্টি করেছে বলে মনে করেন সড়ক পরিবহণমন্ত্রী কাদের।
"এত লোকের বিচার, এত দ্রম্নত বিচার দুনিয়ার ইতিহাসে নজিরবিহীন বিচার, যা শেখ হাসিনা করেছেন। পিলখানা হত্যাকান্ডের বিচার সারা দুনিয়ার জন্য একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, দ্রম্নত বিচার এবং অপরাধীদের বিচার এত দ্রম্নত ও এত নজিরবিহীন বিচার দুনিয়ার ইতিহাসে কোথাও হয়নি, যেটা বাংলাদেশে শেখ হাসিনা করেছেন।"
শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।