আজকের যায়যায়দিন

বাঙালি ছাড়াও বাংলাদেশ ৪৫টির বেশি জাতিগোষ্ঠীর জনগণ রয়েছে। কিন্তু সংবিধানে বাঙালি ছাড়া অন্য জাতিগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দেয়া হয়নি বলে উলেস্নখ করেছে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।

শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল আয়োজিত 'পার্বত্য চট্টগ্রামের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা পরিস্থিতি' শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলা হয়।

বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর শেখ হাসিনার সরকার ও জনসংহতি সমিতির ভেতরে এক চুক্তি হয়। সরকারের পক্ষ থেকে সেসময় এই চুক্তিকে 'পার্বত্য শান্তি চুক্তি' বলা হয়। গত ২২ বছরেও এই চুক্তির বাস্তবায়িত না হওয়ায় এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগোষ্ঠীর জনগণের ওপর অঘোষিত সেনা শাসন জারি থাকায় তাদের ভেতরের চাপা ক্ষোভ বিস্তৃত হয়েছে। অপারেশন উত্তরণ, অপারেশন দাবানল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১১ দফা নির্দেশনা পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগোষ্ঠীর লোকজনের মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠন করার স্বাধীনতা ও চলাচলের স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছে।

তারা বলেন, জনগণের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র সরকার সংবিধান প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের পাহাড় ও সমতলের জনগণের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার রাজনৈতিক গুরুত্ব অপরিসীম। জনগণের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামই ফ্যাসিবাদী শাসন উচ্ছেদের পথ। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগোষ্ঠীর জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার পথে বাধা সরকার ও রাষ্ট্রের সব চক্রান্ত চূর্ণ করতে দেশের গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তির প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।

আলোচনা সভায় ড. হাছান মাহমুদ / জিয়া মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানের দোসর ছিলেন

আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাসদ সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি হাসিবুর রহমান, মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিচালক নাসির উদ্দিন এলাল প্রমুখ।