যাযাদি রিপোর্ট
'শিশুর কথা আটকে গেলে তাকে ধমক না দিয়ে আদরের সঙ্গে কথা বলুন। ধীরে ধীরে শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলতে শিখিয়ে দিন। মনে রাখতে হবে, তোতলামি কোনো শারীরিক ত্রম্নটিজনিত সমস্যা নয়। এর জন্য কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। এভাবেই যে কোনো মানুষের তোতলামি ভালো হয়ে যায়।'
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে স্ট্যামারিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি রতন কুমার পাল।
তিনি বলেন, আমরা দেশের তোতলামি বিষয়ে গত তিন বছর ধরে সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করে আসছি। পাশাপাশি এ বিষয়ে গত সাত বছর ধরে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছি।
তোতলামি বিষয়ে আমাদের ভুল ধারণা আছে। এ নিয়ে আমাদের সচেতনতা জরুরি। এ সচেতনতা হতে হবে পরিবার ও সমাজ থেকে।
তিনি বলেন, তোতলামির জন্য কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। এভাবেই যে কোনো মানুষের তোতলামি ভালো হয়ে যায়। কথা আটকে গেলে তাকে ধমক না দিয়ে ধীরে ধীরে শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলতে শিখিয়ে দিতে হবে। কথা শুরুর আগে গুছিয়ে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে। কথা বলার সময় নিজের কণ্ঠস্বরের কথা শুনতে হবে। সুযোগ পেলে অন্যদের সঙ্গে মিশতে হবে। এভাবেই যে কোনো ব্যক্তির তোতলামি ভালো হয়ে যায়।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন- স্ট্যামারিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রনি, কেন্দ্রীয় নেতা মো. মামুন আলীসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতা-কর্মীরা।