বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাচ্ছেন, থাকছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। ইডেন গার্ডেন্সে ভারত ও বাংলাদেশের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট আয়োজনের শেষ নেই। তবে এ দুই রাজনৈতিক ব্যক্তি ছাড়াও আরও অনেক তারকাকেই দেখা যেতে পারে এ টেস্টে। এর মধ্যে ভারতীয় কিংবদন্তি শচিন টেন্ডুলকারসহ পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দাবাড়ু বিশ্বনাথন আনন্দ ও টেনিস তারকা সানিয়া মির্জাও থাকতে পারেন। এমন সংবাদই প্রকাশ পেয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে।
শুধু তাই নয় প্রথম দিনের খেলার শেষে সংগীতানুষ্ঠান আয়োজন করার ইঙ্গিত দিয়েছে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি)। এর মধ্যেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাংলাদেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লাকে। আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে শ্রেয়া ঘোষালকেও। আগেই জানানো হয়েছিল ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার প্রথম টেস্টে মুখোমুখি হওয়া দলের অনেকেই থাকছেন এ টেস্টে। সবমিলিয়ে বেশ জমকালো আয়োজন করার চেষ্টাই করছে সিএবি।
ইডেন টেস্টের নানা আয়োজন নিয়ে সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত বিসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান সৌরভ গাঙ্গুলী বলেছেন, 'ভারত-বাংলাদেশ প্রথম টেস্টের দুই দলের সদস্যরা অনেকেই থাকছেন। চেষ্টা করছি শচিনকে হাজির করানোর। এ ছাড়াও অলিম্পিক পদকজয়ী এমসি মেরি কম, পি ভি সিন্ধুকেও সংবর্ধিত করব। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আসছেন। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ও মাননীয় রাজ্যপালকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।'
টেস্টের প্রথম দিন এইচআইভি ও ক্যানসারে আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে একটি চ্যারিটি ম্যাচও আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে সিএবির। এছাড়া আরও চমক থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন বিসিসিআই চেয়ারম্যান, 'আমরা দারুণ একটি আয়োজন করতে যাচ্ছি। কাজ চলছে। আগামী ৩-৪ দিনের মধ্যেই আপনারা জানতে পারবেন আর কী কী থাকছে। কী ঘটবে তার পুরো চিত্র তুলে ধরতে পারব।'
ভারতের দেওয়া দিবা-রাত্রির টেস্টের প্রস্তাবে খেলতে রাজি হওয়ায় গত মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে জানায় বিসিবি। যদিও এর আগে কখনোই গোলাপি বলে খেলেনি বাংলাদেশ। খেলেনি ভারতও। তারপরও একটি ভালো টেস্ট ম্যাচের প্রত্যাশা করছেন সবাই। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ঐতিহাসিক এ টেস্ট ম্যাচ।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে ম্যাচের জন্য মুখিয়ে আছে গোটা ভারত। কেননা, এর আগে গোলাপি বলে কোনো ম্যাচ খেলেনি তারা। বাংলাদেশও তাই। দিবারাত্রির এই টেস্ট ম্যাচকে অবশ্য ইতিবাচক ভাবেই দেখছেন শচীন টেন্ডুলকার।
সবই ঠিক আছে কিন্তু শচীনের ভাবনায় শিশির। যেহেতু এই ম্যাচটা নভেম্বরের শেষে। তাই শিশির ভোগাতে পারে দুই দলের স্পিনারদের।
'শিশির যতক্ষণ পড়বে না ততক্ষণ কোনো সমস্যা হবে বলে মনে করছি না। এছাড়া এটা ভালো সিদ্ধান্ত। তবে শিশির যদি ভূমিকা রাখতে শুরু করে, পেসারদের মতো স্পিনারদের জন্যও কাজটি চ্যালেঞ্জিং হবে। কেননা, বল ভিজে গেলে পেসার-স্পিনার কেউই কার্যকরী বোলিং করতে পারবে না।'
শচীন মনে করেন, দিবারাত্রির ম্যাচে গোলাপি বলের ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে উইকেটে ঘাস রাখা হয় তলনামূলক ভাবে বেশি। এই সুবিধাটা যদি নিতে পারে দুই দলের বোলাররা। তাহলে জমে উঠবে ইডেন টেস্ট।
'পিচে বাড়তি ঘাসের উপস্থিতি স্বাভাবিক ভাবেই পেসারদের বাড়তি সুবিধা দেয়। শুধু পেসাররাই নয়, দলে যদি মানসম্পন্ন স্পিনার থাকে তারাও সুবিধা আদায় করে নেবে ঠিকই।'
শিশিরের ভূমিকা বাদ দিলে এই ম্যাচ জমে উঠবে বলেও প্রত্যাশা শচীনের, 'দর্শকদের জন্য এটা দারুণ সুযোগ। সারাদিন কাজ শেষে সন্ধ্যায় মাঠে গিয়ে খেলা দেখতে পারবে। আশা করছি জমে উঠবে এই ম্যাচটা।'