শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা আতঙ্কে ভুগছেন মুমিনুলও

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর উত্তম কাজ হলো, ঘর থেকে একদমই বের না হওয়া। চরম ও নির্মম সত্য হলো, বাইরে থেকে আসা কাউকে ঘরের ভিতরে ঢুকতে না দেয়া। তাহলেই অনেকটা নিরাপদ থাকা যাবে। এছাড়া বাসায় থাকলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর পর হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলাও গুরুত্বপূর্ণ কাজ -মুমিনুল হক
ক্রীড়া ডেস্ক
  ৩১ মার্চ ২০২০, ০০:০০
বাংলাদেশ দলের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক -ওয়েবসাইট

প্রাণঘাতী করোনার ভয়ে তটস্থ সবাই। শুরুতে অনুভব করতে বিলম্ব হলেও এখন সবাই প্রায় নিজের ঘরে থাকাকেই সর্বোত্তম ও নিরাপদ ভাবছেন। একদম 'দিন এনে, দিন খাওয়া'- মানুষগুলো জীবন-জীবিকার কারণে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েও বাইরে বের হচ্ছেন। এছাড়া বেশির ভাগই এখন করোনার ভয়ে, আতঙ্কে ও শঙ্কায় বাইরে বের হওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। সোমবার টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক জানিয়েছেন নিজের কথা। তিনি জানিয়েছেন, করোনা আতঙ্কে ভুগছেন তিনি।

মুমিনুল জানিয়েছেন, 'আর সবার মতো আমিও করোনা আতঙ্কে ভুগছি। বাসাতেই আছি। কোথাও যেহেতু বের হওয়ার উপায় নেই, চারদিক প্রায় জনমানবশূন্য, একদম খুব জরুরি দরকার ছাড়া যেখানে কেউ বাইরে বের হন না। বের হওয়া নিরাপদও নয়। সবাই প্রায় ঘরমুখো। সেখানে বাইরে গিয়ে পার্কে, রাস্তায় বা অন্য কোথাও দৌড়াদৌড়ি, হাঁটাহাঁটি করার উপায়ও নেই।'

নিজের অবস্থান জানিয়ে মুমিনুল বলেন, 'আমি বসুন্ধরার বাসাতেই অবস্থান করছি। যেহেতু বাসায়ই কাটছে সর্বক্ষণ, তাই বাইরে কোথাও গিয়ে রানিং করার সুযোগটাও পাচ্ছি না। কয়েকদিন ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ করেছি। কিন্তু ভেবে দেখলাম, শুধু খালি হাতে এক্সারসাইজ করলে চলবে না। অন্তত জিমওয়ার্কটা করা দরকার। তাই এখন ঘরেই ওয়েট ট্রেনিং করি। আরও কিছু জিমওয়ার্কও করি। জিমের কিছু সামগ্রী কিনে নিয়েছি; কিন্তু জিমের কাজগুলো করে ফেলছি। বাসায় জিমের কিছু সামগ্রী কিনে ফেলছি। সেগুলোতে জিমওয়ার্ক করি। এখন বাসায় বসেই সে ট্রেনিংগুলো করি। আর খাই-দাই, ঘুমাই- এইতো চলে যাচ্ছে সময়।'

করোনা নিয়ে রাজ্যের চিন্তা প্রকাশ করে বলেন, 'প্রতিনিয়ত প্রাণহানি ঘটছে অনেক দেশে। আমাদের দেশে সে তুলনায় কম হলেও আমরাও নিরাপদ না। করোনা আতঙ্কে সবাই উদ্বিগ্ন। 'কবে যে এ করোনাভাইরাসের প্রাণনাশক তান্ডব শেষ হবে?'

করোনা নিয়ে তিনি খুব সজাগ। তৎপর। সতর্ক ও সাবধানি। সেই সাথে সৃষ্টিকর্তার ওপর পূর্ণ বিশ্বাসী, আস্থাশীল এবং মহান আলস্নাহর দয়া ও রহমতের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল, 'সবাই যা করছেন আর যেগুলো বর্জন করার কথা বলছেন- আমিও সেভাবেই চলছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর উত্তম কাজ হলো, ঘর থেকে একদমই বের না হওয়া। চরম ও নির্মম সত্য হলো, বাইরে থেকে আসা কাউকে ঘরের ভিতরে ঢুকতে না দেয়া। তাহলেই অনেকটা নিরাপদ থাকা যাবে। এছাড়া বাসায় থাকলে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পরপর হাত ভালো করে ধুয়ে ফেলাও একটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ।'

মুমিনুলের স্থির বিশ্বাস, কেউ যদি এগুলো মেনে চলে, তাহলে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তার ভাষায়, 'আমার মনে হয় সতর্ক থাকা আর যা বললাম, বাসা থেকে বের না হয়ে আর কাউকে ঢুকতে না দিয়ে এবং বাকি সব আলস্নাহর ওপর ছেড়ে দেন। যা বললাম এই দুই থেকে তিনটি দরকারি ও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে সব আলস্নাহ রাব্বুল আলামিনের ওপর ছেড়ে দেয়া ছাড়া কিছু করারও নেই আমাদের।'

২৭ জাতীয় ক্রিকেটার মিলে করোনা ফান্ডে অর্থ দান করেছেন। সবাই সেটাকে ভালো কাজ বলে প্রশংসার চোখে দেখেছেন। অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত বলেও অভিহিত করেছেন কেউ কেউ। সেখানে মুমিনুলও রেখেছেন কার্যকর অবদান। তিনি টেস্ট ছাড়া ওয়ানডে ও টি২০ ফরম্যাটে জাতীয় দলের বাইরে। তাই এবারের বোর্ডের বেতন কাঠামোয় শুধু লাল বলের ক্যাটাগরিতে রয়েছেন তিনি। নিজের পারিশ্রমিকের অর্ধেকটা দিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার করোনা ফান্ডে।

তবে জাতীয় ক্রিকেটারদের অর্থ দেয়া নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করতে চান না মুমিনুল, 'কি আর বলব, আমার মনে হয় আমাদেরও একটা দায়িত্ব-কর্তব্য আছে। আমরা তাই করেছি। এটা নিয়ে আর কিইবা বলব বলুন? তার চেয়ে আমি বোর্ডের প্রশংসা করতে চাই। বোর্ড একটি ভালো কাজ করছে। বিসিবির সাথে বাৎসরিক চুক্তি ও মাসিক বেতনের বাইরেও অনেক জুনিয়র ক্রিকেটার আছে। তাদের হাতে একদমই অর্থ ছিল না। তারা বেশির ভাগ কোনো অগ্রিম পায়নি। একটি টাকাও হাতে না নিয়ে লিগ খেলতে শুরু করেছে এমন ক্রিকেটারের সংখ্যাও প্রচুর।'

পরক্ষণে মুমিনুল বলেন, 'করোনায় লিগ বন্ধ না হলে হয়তো তারা এতদিনের একটা ডাউন পেমেন্ট পেত; কিন্তু লিগ বন্ধ হওয়ায় তাদের অনেকেরই হাত খালি। আমি জানি ও চিনি অনেক পেস্নয়ারকে, তাদের এখন খাওয়া-পরায়ও সমস্যা হচ্ছে। তাদের হাতে এককালীন কিছু টাকা অন্তত জমা পড়বে। আমি বোর্ডের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। খুব ভালো ও সময়োচিত কাজ হয়েছে সেটা। তাদের জন্য বোর্ড ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<94700 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1