শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যাট পদ্ধতিতে পরিবর্তন চান না নৌযান মালিকরা

নতুনধারা
  ১৪ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট

যাত্রীবাহী নৌযান নির্মাণের ওপর মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) আগের পদ্ধতিতে আদায়ের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অ্যাসোসিয়েশন।

অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি দিয়ে এ দাবি জানিয়েছেন। চিঠির একটি কপি অর্থমন্ত্রীর কাছেও পাঠানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, যাত্রীবাহী নৌযান নির্মাণের ওপর প্রতিটি ৫০০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতার যাত্রীবাহী নৌযানের ট্যারিফ মূল্য ১২ লাখ টাকা নির্ধারণ করে ২০০০ সালের ৮ জুন আদেশ জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। সে হিসাবে প্রত্যেক যাত্রীর জন্য ৩৬০ টাকা ভ্যাট দিতে হতো।

পরে ২০১৬ সালে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ না করে বিশ লাখ টাকা ট্যারিফ মূল্য নির্ধারণ করে ৬৭ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়। ফলে প্রতি যাত্রীর জন্য ভ্যাট আসে ৬০০ টাকা। এরপরও সরকারের তথা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে মালিকরা কোনো প্রতিবাদ করেননি।

কিন্তু চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নৌযান মালিকদের সঙ্গে কোনো পরামর্শ না করে ট্যারিফ মূল্যের পরিবর্তে টোটাল মূল্যের ওপর ভ্যাট নির্ধারণের আদেশ জারি করে। ফলে নৌযান মালিকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। পূর্বের হিসাব বিবেচনা করে অনেক মালিক বাড়িঘর ব্যাংকে বন্ধক রেখে নৌযান নির্মাণ করেছেন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ভ্যাট জটিলতার কারণে অনেক নৌযানের রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার যেমন রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে, মালিকরাও আর্থিকভাবে তেমনই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। টোটাল মূল্যের ওপর ভ্যাট নির্ধারণ করায় ইতোমধ্যে অনেক মালিক তাদের নির্মিত জাহাজ স্ক্র্যাপে বিক্রির অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া এ পদ্ধতি অনেক জটিল। এত হিসাব রেখে কোনো মালিক এ খাতে বিনিয়োগ করতে আসবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<70965 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1