উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি ধনু নদীসহ বিভিন্ন নদীতে বেড়ে মোহনগঞ্জের ফসল রক্ষা বাঁধ হুমকিতে রয়েছে। ৬১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য হাইজধা বেড়িবাঁধের বরান্তর এলাকায় যুক্কা অংশটি অতি ঝুঁকিতে আছে। যুক্কা অংশের পাশে অতি গভীর কুঁড় থাকায় এ অংশটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বাঁধটি ভেঙে গেলে জেলার সবচেয়ে বড় ও দেশের প্রথম বোরো ফসল তোলার হাওড় ডিঙ্গাপোতায় পানি ঢুকে ১৬ হাজার ৯৯৮ হেক্টর আবাদি বোরো ফসল তলিয়ে যাবে। এরই মধ্যে মোহনগঞ্জের বরান্তর এলাকার বাঁধ সংলগ্ন গোপের হাওড় তলিয়ে প্রায় শত একর জমির ধান পানির নিচে চলে গেছে। পার্শ¦বর্তী খালিয়াজুরী উপজেলায় বিভিন্ন হাওড়ে পানি ঢুকে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় আতঙ্কে রয়েছে মোহনগঞ্জের হাওড় পাড়ের হাজার হাজার কৃষক।
গাগলাজুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, হাইজদা বাঁধের যুক্কা অংশ ঝুঁকিতে রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসো সোহাগ ফকির দুপুর ১২টায়ও হাওড়ে না এসে নেত্রকোনায় রয়েছে যা মোটেও ঠিক নয়। তাদের বাঁধ তদারকিতে হাওড়ে থাকা প্রয়োজন, অন্যথায় যেকানো সময় বাঁধ ভেঙ্গে সর্বনাশ হয়ে যাবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নেত্রকোনা জেলা ইঞ্জিনিয়ার এম এল সৈকত জানান, সুনামগঞ্জের বিভিন্ন নদীতে পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে ধনু নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পানি অতিরিক্ত বাড়লে হাওড় রক্ষা বাঁধ ঝুঁকিতে পড়বে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জি জানান, ফসল রক্ষা বাঁধের বরান্তর এলাকায় যুক্কা অংশের অবস্থা ঝুঁকিতে খবর পেয়ে ব্যবস্থা নিয়ে বাঁধে বস্তা দেওয়া হচ্ছে।
যাযাদি/ এস