শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় আঙ্গুর

মহেশপুরে আঙ্গুর ফল চাষে স্বাবলম্বী রশিদ

মোঃ বাবর আলী, মহেশপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
  ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৬:২২

ফল ও সবজির চাষের পাশাপাশি শখের বসে আঙ্গুর ফল চাষে স্বাবলম্বী হয়েছেন আব্দুর রশিদ নামের এক কৃষক। তিনি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের যোগিহুদা গ্রামের বাসিন্দা। শখের বসে আঙ্গুর ফলের চাষ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে বাগানের সবগুলো গাছ জুড়েই রয়েছে,শুধু থোকায় থোকায় আঙ্গুর। এত পরিমান আঙ্গুর ধরেছে যে, পাতার ফাঁকে ফাঁকে শুধু আঙ্গুরই দেখা যাচ্ছে। তার দেখাদেশি এখন অনেকেই আগ্রহী হয়ে শুরু করেছেন আঙ্গুর ফলের চাষ।

জানা যায়, কৃষক আব্দুর রশিদ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ধরণের ফল ও সবজির চাষ করে আসছেন। পরে শখের বসে বিদেশি কয়েকটি জাতের আঙ্গুরের চারা সংগ্রহ করে তা রোপণ করেন। এর পর থেকেই আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, প্রথম দিকে ভারত ও ইতালি থেকে কয়েকটি জাতের আঙ্গুর সংগ্রহ করে নিজের ১০ কাঠা জমিতে আঙ্গুর চাষ শুরু করি। সাত মাস পরিচর্যার পর তার বেশিরভাগ গাছেই আঙুর ফল ধরেছে। প্রতিটি গাছে ৫ থেকে ৭ কেজি করে আঙ্গুর ধরেছে। আঙ্গুর চাষের জন্য তিনি সিমেন্টের খুঁটি ব্যহার করেছে। বাগানের ৬০টি গাছ থেকে আড়াইশ থেকে তিনশ কেজির মতো আঙ্গুর সংগ্রহ করতে পারবো বলে আশা করছি। তিনি আরও বলেন ভারত থেকে চারাগুলো সংগ্রহ করলেও, আমাদের দেশের আবহাওয়া, মাটি ও আদ্রতা ইত্যাদির বিবেচনায় গাছগুলো অনেক হৃষ্টপুষ্ট ও ভালো হচ্ছে। আঙ্গুরগুলো খুব মিষ্টি হওয়ার ফলে, আঙ্গুর চাষে বিদেশের উপর আঙ্গুর ফল আমদানি নির্ভরতা কমবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা বলেন,আব্দুর রশিদের আঙ্গুর ফলের বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন মানুষ আসছে, এবং ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছে। আঙ্গুর ফল চাষে সাবলম্বী আব্দুর রশিদের কারণে গ্রামের পরিচিতি দ্বিগুন বেড়েছে বলে জানান তারা। এবং তার দেখাদেশি এখন অনেকেই আগ্রহী হয়ে শুরু করেছেন আঙ্গুর ফলের চাষ।

মহেশপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, মহেশপুরের মাটিটা আঙ্গুরের জন্য উপযোগী। এখানে এই ফলটা হবে বলে আমরা আশা করছি। একজন চাষি সফল হয়েছেন। শুরু থেকেই তিনি আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেছেন এবং চলতি বছর তার বাগান আরও বিস্তৃত হয়েছে।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে