মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

নকলায় পরীক্ষামূলক ভাবে ১৭ জাতের বিদেশী আলু চাষ

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
  ০৭ মার্চ ২০২৩, ১২:০৩
ছবি যাযাদি

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বীজ আলু উৎপাদন জোনের আওতায় মাল্টিলোকেশন ট্রায়াল প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে পরীক্ষামূলক ভাবে ১৭টি জাতের বীজআলুর চাষ করা হয়েছে। উপজেলার বানেশ্বর্দী ইউনিয়নের বানেশ্বর্দী গ্রামের চাষী মো: শামসুজ্জামান জুয়েল তার ১ একর ৭০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে এই আলুর জাতগুলো চাষ করেন। জাতগুলো হল ক্যারোলাস, ল্যাবেলা, সান্তানা, সেভেন ফোর সেভেন, বারি-৪১, বারি-৬২, রশিদা, এলুইটি, এডিসন, বারি-৭৯, সানসাইন, ফন্টেইন, বারি-৪০, কুইন এ্যানি, এস্টারিক্স, অ্যালকেন্ডার ও ডায়মন্ড

মানসম্মত বীজ আলু উৎপাদন সংরক্ষন এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোড়দারকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের ২৮ টি জোনের প্রদশর্নীর মধ্যে নকলা জোনে একটি। ২রা ডিসেম্বরে বীজআলু মাঠে রোপন করা হয়েছে। প্রতিটি গাছে প্রচুর আলু ধরেছে। এসব আলু ৭৫-৮০ দিন বয়সে উত্তোলন করা হবে বলে জানান স্থানীয় চাষী। উপজেলার বানেশ্বর্দী গ্রামের আলু চাষী শামসুজ্জামান জুয়েল বলেন, বিএডিসি হিমাগার নকলার কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়ে আমি ১ একর ৭০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষা মূলক ভাবে ১৭টি জাতের উচ্চ ফলনশীল বীজঅলু চাষ করেছি। উৎপাদনও অনেক ভালো আশা করছি। বিএডিসি হিমাগামের কর্মকর্তা গনও নিয়িমিত মাঠ পরিদর্শন করে সঠিক পরামর্শ প্রদান করছেন। আশা করি ভাল ফলন পাব এবং চাষী পর্যায়ে উচ্চ ফলনশীল আলু চাষে আগ্রহ সৃষ্টি হবে।

বিএডিসি হিমাগার নকলা জোনের উপসহকারি পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, এই জাত গুলো সবই উচ্চ ফলনশীল। আমরা নিয়মিত চাষীকে পরামর্শ দিচ্ছি এবং মাঠ পরিদর্শন করিতেছি। আশা করছি ফলন খুবই ভাল হবে এবং চাষী পর্যায়ে গ্রহনযোগ্যতা পাবে। এই জাত গুলোর মধ্যে যেগুলো উৎপাদনে ভাল হবে সেগুলো বিএডিসি’র আলু বীজ হিমাগারের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে সরবরাহ করা হবে এবং বিদেশে রপ্তানীযোগ্য আলু চাষ করে চাষী আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারে ।

বিএডিসি হিমাগারের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো: শহীদুল ইসলাম বলেন, এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া আলু চাষের জন্য অনেকটা উপযোগী। বিএডিসি হিমাগার নকলার বাস্তবায়নে ২০২২-২০২৩ উৎপাদন মৌসুমে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন ও মাল্টি লোকেশন পারফরমেন্স যাচাইয়ের জন্য ১৭টি জাতের উচ্চ ফলনশীল শিল্পে ব্যবহার ও বিদেশে রপ্তানী যোগ্য আলু চাষ করা হয়েছে। আমরা সার্বক্ষনিক পর্যবেক্ষন করছি এবং কৃষককে নিয়মিত পরামর্শও দিয়ে যাচ্ছি। এসব উৎপাদিত আলুর কোয়ালিটি যাচাই করে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে চাষী আলু চাষে লাভবান হয়।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে