রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

উত্তাপ ছড়াচ্ছে ভোগ্যপণ্যের বাজার

চাল, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ দাম বেড়েছে আমদানি পণ্যে, সবজি ও মাংসের
যাযাদি ডেস্ক
  ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০২
উত্তাপ ছড়াচ্ছে ভোগ্যপণ্যের বাজার

নতুন বছরের শুরুতেই উত্তাপ ছড়াচ্ছে ভোগ্যপণ্যের বাজার। মাত্র এক সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে বেড়েছে বেশিরভাগ পণ্যের দাম। অন্যদিকে গত সপ্তাহের চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে সবজিসহ সব ধরনের আমদানি পণ্যে ও মাংসের বাজারে। এতে বাজারে ক্রেতার ব্যয় আরও এক দফা বাড়ল।

শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেটজাত আটা ও ময়দার দাম কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা বেড়েছে। এখন বাজারে প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এ দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এ হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেটজাত আটার দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ। উল্লেখ্য, ডলারের বাড়তি দামের কারণে গত নভেম্বরের শুরুতেই বেড়েছিল সব ধরনের আমদানি পণ্যের দাম।

এদিন কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১শ’ টাকার উপরে। টিসিবির হিসেবে সপ্তাহ ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম সাড়ে ৫ শতাংশ বেড়েছে। সেই সঙ্গে সপ্তাহের ব্যবধানে রসুনের দাম ৪ দশমিক ৩৫ শতাংশ এবং আদার দাম ২ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়েছে। তবে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে আরও বেশি। এদিন বাজারে প্রতি কেজি রসুনে প্রায় ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২৩০ টাকার উপরে এবং আদায় প্রায় ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ২৬০ টাকা দরে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে ময়দার দামও। প্যাকেটজাত প্রতি কেজি ময়দায় প্রায় ১০ টাকা বেড়ে এদিন বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে। গত সপ্তাহেও এ দাম ছিল ৬৫ থেকে ৭৫ টাকা। সে হিসাবে সপ্তাহের ব্যবধানে প্যাকেটজাত ময়দার দাম বেড়েছে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

এদিকে, গত কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে প্রায় সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে। এদিন সরু (মিনিকেট) চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকার উপরে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৬৮ টাকার মধ্যে। (বিআর-২৮, পায়জাম) চালের কেজিতে সর্বোচ্চ তিন টাকা বেড়ে বিক্রি হয়েছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা। দুই টাকা বেড়ে মোটা চালের কেজি বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা।

অন্যদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চড়া সবজির দাম। যা এ সপ্তাহে আরও এক দফা বেড়েছে। শীতের ভরা মৌসুমে এদিন প্রতি কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৫০ টাকা, লাউয়ের পিস ১শ’ টাকা, গোল বেগুনসহ ঝিঙ্গা, চিচিঙ্গা ও বরবটির কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। এমনকি টমেটোর কেজিও বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকার উপরে।

এছাড়াও চড়া দাম অব্যাহত রয়েছে মুরগির বাজারেও। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা এবং ১০ টাকা বেড়ে সোনালি মুরগি বিক্রি হয়েছে ৩৪০ টাকার উপরে। অন্যদিকে কেজিতে প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭শ’ টাকার উপরে।

তবে গত সপ্তাহের দামে অপরিবতির্ত রয়েছে মাছের বাজার। এদিন মাছবাজারে মাঝারি আকারের রুইয়ের কেজি বিক্রি হয়েছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, বড় কাতল ৪শ’ টাকা, বড় পাঙ্গাশ ২শ’ টাকা, চাষের কই (ছোট) ৩২০ টাকা, তেলাপিয়া আড়াইশ’ টাকা ও শিং মাছ ৬শ’ টাকা, শোল মাছ ৮শ’ টাকা, পাবদা ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, ট্যাংরা মাছের কেজি আকারভেদে ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা, মলা মাছ ৫শ’ টাকা, বাইলা ১ হাজার টাকা, পোয়া মাছ ৩৫০ থেকে ৪শ’ টাকা, মাঝারি আকারে বোয়াল ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা, গুড়ামাছ ৩শ’ টাকা, ছোট চিংড়ি ৫শ’ টাকা, গলদা ৭শ’ এবং বাগদা ৮শ’ থেকে ৯শ’ টাকা ও রূপচাঁদা ৯শ’ টাকা দরে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে