শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

বাজারে উঠছে অপরিপক্ক তরমুজ, আগুনে দাম

যাযাদি রিপোর্ট
  ১২ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫১
ছবি-যায়যায়দিন

আজ থেকে শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। সিয়াম সাধনার এই মাস ঘিরে এরই মধ্যে বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসাল ফল তরমুজ। তবে এখনো পরিপূর্ণ মৌসুম শুরু না হওয়ায় বাজারে ওঠা তরমুজ যেমন অপরিপক্ব, তেমনি দাম চড়া। সোমবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ফলের আড়ত ও বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, অন্যান্য ফলের পাশাপাশি বাজারে ছোট ও মাঝারি আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে। সেসব তরমুজের বেশির ভাগই অপরিপক্ব। আধা পাকা এসব তরমুজ কাটার পর কোনটি রঙলাল দেখা যাচ্ছে, কোনটি আবার সাদা-লাল। কিছু কিছু তরমুজের স্বাদ মিষ্টি হলেও, বেশির ভাগই পানসে স্বাদের। হাতেগোনা কয়েকটি দোকানে তরমুজ ওঠলেও এখনো বাজার সেভাবে সয়লাব হয়নি। আবার কারওয়ান বাজারের ফলের আড়তগুলোর মধ্যে মাত্র দু’টি আড়তে তরমুজ দেখা গেছে।

বাজারে ওঠা বেশির ভাগ তরমুজ অপরিপক্ব হলেও চাহিদা কম নয়। অনেক ক্রেতাকেই তরমুজ কিনতে দেখা গেছে।

মূলত, রমজানকে ঘিরে বাড়তি লাভের আশায় অনেক কৃষক পরিপক্ব হওয়ার আগেই তরমুজ বিক্রি করে ফেলছেন। যেগুলোর রং ও স্বাদ পরিপক্ব তরমুজের তুলনায় অনেক কম। তরমুজ এখনো পরিপক্ব না হলেও, দাম কিন্তু কম নয়। বরং বাড়তি দামে কেজি হিসেবে এই বাজারে তরমুজ বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বিক্রেতারা জানান, আকার ও মানভেদে প্রতি কেজি তরমুজ ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একেকটি তরমুজের ওজন দুই কেজি থেকে প্রায় ছয় কেজি পর্যন্ত। গত বছর এই সময় একই আকারের তরমুজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল। আরও ১৫ থেকে ২০ দিন পর পরিপক্ব তরমুজ ওঠবে বলে জানান বিক্রেতারা। তখন দামও কমবে আবার আকারও বড় হবে।

এখন বাজারে ওঠা বেশির ভাগ তরমুজ অপরিপক্ব বলে স্বীকার করেছেন খোদ কৃষকরা। পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে কারওয়ান বাজারের ফলের আড়তে তরমুজ বিক্রি করতে এসেছেন কৃষক মো. মিনহাজ। তিনি একটি ট্রাকে করে তার ক্ষেতের চার হাজার তরমুজ নিয়ে এসেছেন। তিনি বলেন, যারা আগে আবাদ করেছিল, তারা আগে তরমুজ ক্ষেত থেকে তুলছে। তরমুজ এখনো পুরোপুরি পরিপক্ব হয়নি। তারপরও রমজানে যেহেতু তরমুজের চাহিদা থাকে, সেজন্য বাড়তি লাভের আশায় অনেকে বিক্রি করে দিচ্ছেন। তবে আরও কয়েক দিন পর যেসব তরমুজ আসবে, সেগুলো পরিপক্ব হবে। কিন্তু তখন আর দাম পাওয়া যাবে না।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে