সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

কোরবানির পর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

যাযাদি ডেস্ক
  ২৫ জুন ২০২৩, ১৪:২০
আপডেট  : ২৫ জুন ২০২৩, ১৪:২৩

আর মাত্র তিনদিন পরেই মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-আযহা। আর এই ঈদে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে পশু কোরবানি। সবাই সাধ্য অনুযায়ী কোরবানি করে থাকেন।

তবে পশু জবাই করার পর স্থান ও ঘর পরিষ্কার করাটাই সবচেয়ে বড় কঠিন কাজ। তাই পশু কোরবানির পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। চলুন জেনে নেই পশু কোরবানির পর ওই স্থান কীভাবে পরিষ্কার করবেন—

১. এলাকার লোকজন আলাদা আলাদা জায়গায় কোরবানি না দিয়ে বেশ কয়েকজন মিলে একই স্থানে কোরবানি করা ভালো। এতে জায়গা নোংরা হবে কম।

২. কোরবানি শেষে যথাসম্ভব দ্রæত চারপাশের অংশ পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। চামড়া, রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, ময়লা ও পানি যতখানি সরিয়ে ফেলা সম্ভব হবে ততই ভালো। বিশেষ করে রক্ত ও পানি যেন কোথাও জমাটবদ্ধ হয়ে থাকতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

৩. ঘরের বাইরে যে স্থানে কোরবানি দেওয়া হয়, সেই স্থানটি প্রচুর পরিমাণ পানি দিয়ে ঝাড়ু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। গরম পানিতে অ্যান্টিসেপটিক লিকুইড (ডেটল, স্যাভলন, বিøচিং পাউডার ইত্যাদি) মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৪. পশুর মলমূত্র, রক্ত, আবর্জনা যেখানে-সেখানে না ফেলে গর্ত করে মাটি চাপা দিতে হবে অথবা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

৫. খোলা জায়গা ( যেখানে পশু কোরবানি দেওয়া হয়) পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে আশে-পাশে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দিতে হবে। এতে রক্তের গন্ধ ও দাগ দুই কম হবে।

৬. মাংস কাটার ছুড়ি ও বটি কোন অবস্থাতেই নোংরা অবস্থায় রাখা যাবে না। যথাসম্ভব পরিষ্কার করে গুছিয়ে তুলে রাখতে হবে।

৭. বিকালের আগেই কোরবানির মাংস গুছিয়ে ফেলতে পারলে ভালো। এরপর পুরো বাড়ি, বারান্দা ও সংযুক্ত সিঁড়ি স্যাভলন মিশ্রিত পানি দিয়ে মুছে নিতে হবে। খেয়াল করতে হবে, ঘর ও বারান্দার কোথাও রক্ত বা পানি জমে আছে কিনা।

৮. সকল কাজ শেষে জমাকৃত ময়লা-আবর্জনা একটি নির্দিষ্ট বড় ব্যাগে জমা করে ব্যাগের মুখ ভালোভাবে বন্ধ করে ময়লা ফেলার স্থানে ফেলতে হবে। যত্রতত্র ও উন্মুক্ত স্থানে ময়লা একদম রাখা যাবে না।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে