বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের লজ্জা বাংলাদেশের

যাযাদি ডেস্ক
  ২২ মে ২০২৫, ০৯:০২
আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের লজ্জা বাংলাদেশের
বাংলাদেশ-আমিরাত ম্যাচ

সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের রেকর্ড ২০৫ রান তাড়া করে জয়ের কীর্তি করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা।

এই জয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল আমিরাত। এতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের কীর্তির পাশাপাশি টেস্ট খেলুড়ে কোন দেশের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ইতিহাস লিখল স্বাগতিক দল।

1

বুধবার (২১ মে) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৬২ রান জড়ো করে বাংলাদেশ। জবাবে ৫ বল ও ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে স্বাগতিকরা।

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ধাক্কা খায় স্বাগতিকরা।<span;> আমিরাতের ইন-ফর্ম অধিনায়ক মুহাম্মদ ওয়াসিমকে ৯ রানে আউট করেন শরিফুল।

দ্বিতীয় উইকেটে আলিশান শারাফুর সাথে ৩৫ বলে ৪৪ রান যোগ করে বিদায় নেন আরেক ওপেনার মুহাম্মদ জোহাইব। স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে বোল্ড হবার আগে ২৩ বলে ২৯ রান করেন তিনি।

চার নম্বরে নেমে ব্যক্তিগত ১৩ রানে পেসার তানজিমের শিকার হন রাহুল চোপড়া। তবে চতুর্থ উইকেটে ৫১ বলে ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দলের জয় নিশ্চিত করেন শারাফু ও আসিফ খান।

৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৪৭ বলে ৬৮ রানে অপরাজিত থাকেন শারাফু। ৫ ছক্কায় ২৬ বলে ৪১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন আসিফ।

বাংলাদেশের হয়ে শরিফুল, তানজিম ও রিশাদ একটি করে উইকেট নেন।

এর আগে, ব্যাটিংয়ে নেমে পেসার আকিফ রাজার করা প্রথম ওভারে ১০ রান তোলেন ওপেনার তামিম। তবে অন্যপ্রান্তে গোল্ডেন ডাক খেয়ে ফেরেন প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ। স্পিনার ধ্রুব পরাশরের প্রথম ডেলিভারিতে লং অফে শারাফুর হাতে মুঠোবন্দি হন এই ওপেনার।

এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে দুই অঙ্ক পেরোলেও বেশিক্ষণ ক্রিজে থিতু হতে পারেননি লিটন। সমান ১ চার ও ১ ছক্কায় ১০ বলে ১৪ রানে থামেন টাইগার দলপতি।

তৃতীয় উইকেটে ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তাওহীদ হৃদয়। ২ বল মোকাবিলায় রানের খাতা খুলতে পারেননি মিডল-অর্ডার এই ব্যাটার। দলীয় হাফ-সেঞ্চুরি পেরোনোর আগে ৯ বল খেলে মাত্র ২ রানে ফেরেন শেখ মেহেদি।

সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রাখা তানজিদ তামিমও এরপর বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি। ১৮ বল মোকাবিলায় সমান ৪টি করে চার-ছক্কায় ৪০ রানে ফেরেন এই ওপেনার।

এরপর শামীম পাটোয়ারীর কাঁধে দলকে ম্যাচে ফেরানোর দায়িত্ব পড়েছিল। তবে এই অলরাউন্ডার-ও আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। ব্যক্তিগত দুই অঙ্কের কোটা পেরোনোর আগেই এক বাউন্ডারিতে দলীয় ৬৯ রানে ফেরেন তিনি। স্কোরশিটে আরও ২ রান যোগ হবার সাজঘরে ফেরেন রিশাদ। তিনিও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

আর ১২ বলে ৬ রান করে তানজিম ফিরলে দলীয় ৮৪ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে লেজের সারির ব্যাটারদের নিয়ে ইনিংস মেরামত করেন জাকের আলি অনিক। কিন্তু ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ৩ ছক্কায় ও এক চারে ৪১ রানে ফেরেন জাকির।

শেষদিকে ৩ ছক্কায় ১৫ বলে হাসান মাহমুদের ২৬ এবং ৭ বলে সমান এক চার ও ছক্কায় শরিফুলের ১৬ রানের ক্যামিওতে লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে