সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোদির বিরুদ্ধে লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে 'ইন্ডিয়া'

অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়ে ইন্ডিয়া জোটের সবক'টি দলই একমত হয়। দাঙ্গাবিধ্বস্ত মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কীভাবে কথা বলতে বাধ্য করা যায়-সেই বিষয়ে বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় বিরোধীরা। তারা মনে করছেন, এই বিষয়ে সরকারকে আলোচনা শুরু করতে বাধ্য করার জন্য এটিই একমাত্র কার্যকর উপায়
যাযাদি ডেস্ক
  ২৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর অনাস্থা জানিয়ে লোকসভায় প্রস্তাব এনেছে দেশটির নবগঠিত ২৬ দলের জোট ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া)। জাতি বিদ্বেষের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া মণিপুর নিয়ে আলোচনায় মোদি সরকারের ওপর চাপ বাড়াতেই বুধবার এই পথে হেঁটেছে 'ইন্ডিয়া'।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বিষয়ে প্রথম উদ্যোগ নেন দিলিস্নর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টির রাজ্যসভার সংসদ-সদস্য রাঘব চাড্ডা। প্রায় ২০ বছর পর লোকসভায় কোনো সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনল বিরোধীপক্ষ। এর আগে, ২০০৩ সালে অটল বিহারি বাজপেয়ির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে শেষবার অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল।

এদিন বুধবার সকালে সংসদে নিজেদের পরবর্তী কৌশল আলোচনায় বিরোধী দলগুলোর সংসদীয় নেতারা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস সভাপতি মলিস্নকার্জুন খাড়গের কার্যালয়ে এক বৈঠক করেন। সেখানেই লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাব আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ, প্রমোদ তিওয়ারি, আম আদমি পার্টির রাঘব চাড্ডা, তৃণমূল কংগ্রেসের ডেরেক ও'ব্রায়েন প্রমুখ।

বৈঠকে অনাস্থা প্রস্তাব আনার বিষয়ে ইন্ডিয়া জোটের সবকটি দলই একমত হয়। দাঙ্গাবিধ্বস্ত মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কীভাবে কথা বলতে বাধ্য করা যায়-সেই বিষয়ে বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে আলোচনার পরই এই সিদ্ধান্তে পৌঁছায় বিরোধীরা।

তারা মনে করছেন, এই বিষয়ে সরকারকে আলোচনা শুরু করতে বাধ্য করার জন্য এটিই একমাত্র কার্যকর উপায়। শুধু লোকসভাতেই নয়, মণিপুর ইসু্যতে রাজ্যসভার বিজেপি সরকারকে কীভাবে কোণঠাসা করা যায়, তারও কৌশল নির্ধারণ করছে বিরোধী দলগুলো।

কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলো মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে সংসদে বিশদ আলোচনা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করে আসছে। ২০ জুলাই সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হয়েছে। তারপর থেকে লোকসভা এবং রাজ্যসভা উত্তাল হয়েছে বিরোধীদের প্রতিবাদ এবং স্স্নোগানে।

বুধবার লোকসভার কাজ শুরু হচ্ছে সম্মিলিত বিরোধী দলের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদাভাবে অনাস্থা আনা হয় কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী প্রথম নোটিশটি দেন। তারপর একে একে অন্য দলের নেতারা। এ ব্যাপারে সংসদীয় প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেন, বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলে কি হবে, দেশের লোকের পূর্ণ আস্থা আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ওপর। বিরোধী দলের বক্তব্য, সরকার ফেলার মতো প্রয়োজনীয় নম্বর তাদের কাছে নেই, কিন্তু অনাস্থার জবাবী ভাষণে প্রধানমন্ত্রীকে মণিপুর নিয়ে কিছু বলতেই হবে- এটাই তাদের জয়। তার ওপর মণিপুর নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য জনমত সৃষ্টির সহায়ক হবে বলে তাদের ধারণা। বুধবার সংসদে এসেই সোনিয়া গান্ধী সাক্ষাৎ করেন আপের নির্বাসিত সদস্য সঞ্জয় সিং এর সঙ্গে। সঞ্জয়কে বাদল অধিবেশনের বাকি সময়ের জন্যে সাসপেন্ড করা হয়েছে অভব্য আচরণের কথা বলে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে