সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

মণিপুরের ঘটনা তদন্তে দায়িত্ব পেল সিবিআই, গ্রেপ্তার ৭

যাযাদি ডেস্ক
  ২৯ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মণিপুর সম্প্রতি দুই নারীকে বিবস্ত্র করে জনতার হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে 'সেন্ট্রাল বু্যরো অফ ইনভেস্টিগেশন' বা কেন্দ্রীয় অনুসন্ধান সংস্থা (সিবিআই)। দেশব্যাপী ক্ষোভের জন্ম দেওয়ার পাশাপাশি রাজনৈতিক চাপের মুখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি সিবিআই-এর কাছে হস্তান্তর করে। এদিকে, সূত্র বলছে- উত্তর-পূর্ব রাজ্যের বাইরেও বিচার চালাতে চায় সরকার। রাজ্যটি গত তিন মাস ধরে সহিংসতায় জর্জরিত। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি

এই মামলায় এরই মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শেষ একজনকে সোমবার থাউবাল জেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। হলফনামায় বলা হয়েছে, শনাক্ত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক অভিযানের জন্য বেশ কয়েকটি পুলিশ দল গঠন করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত এসপি পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে অন্য ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের অবিচ্ছিন্ন তত্ত্বাবধানে মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিচার একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরিচালিত হওয়া উচিত বলেও মনে করছে কেন্দ্র সরকার।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার জানায়, নারীর বিরুদ্ধে যে কোনো অপরাধের প্রতি শূন্য সহনশীলতার নীতিতে (জিরো টলারেন্স) চলে তারা। এসব ঘটনাকে অত্যন্ত জঘন্য বলে মনে করে কেন্দ্র। বিষয়টি কেবল গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত নয়, বরং বিচার হওয়া উচিত।

পার্লামেন্টের বর্ষাকালীন অধিবেশনের আগে মণিপুরের ভিডিওটি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিবৃতি দাবি করে হাউসে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছিল বিরোধীরা। একপর্যায়ে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবও ওঠে। একটি সূত্র জানায়, অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর সরকার মণিপুর আলোচনার জন্য সহযোগিতা চাইতে পারে। এদিকে, বিরোধী ভারত ফ্রন্টের এমপিরা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে শনি ও রোববার মণিপুরে যাবেন।

মণিপুরে গত মে মাসে জাতিগত সহিংসতা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। হাজার হাজার মানুষ হয়েছে বাস্তুচু্যত। মণিপুরের সহিংসতা বিদেশেও মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট ভারতের মানবাধিকার পরিস্থিতির ওপর একটি রেজুলেশন গ্রহণ করেছে মণিপুরে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের কথা উলেস্নখ করে। তবে ভারত সরকার বলছে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের পদক্ষেপ ঔপনিবেশিক মানসিকতাকে প্রতিফলিত করে। এটা অগ্রহণযোগ্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে